নির্বাচন কমিশনের চিঠি সরকারের নতুন কৌশল: ফখরুল

নির্বাচন কমিশনের চিঠি সরকারের নতুন কৌশল: ফখরুল

সিজস্ব প্রতিবেদক : নির্বাচন কমিশনকে দিয়ে রাজনৈতিক দলকে সংলাপের চিঠি দেওয়া সরকারের নতুন কৌশল বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

তিনি বলেন, ‘নির্বাচন কমিশনের চিঠির বিষয়ে দলের স্থায়ী কমিটির সভায় সিদ্ধান্ত হবে। নির্বাচন কমিশন দিয়ে চিঠি সরকারের নতুন কৌশল, কমিশনের কোনো ক্ষমতা নেই কিছু করার। এ সরকারের অধীনে সুষ্ঠু নির্বাচন হবে না, তাই আসল জায়গায় কাজ করুন। নিরপেক্ষ সরকারের ঘোষণা দিতে হবে।’

শনিবার (২৫ মার্চ) দুপুরে রাজধানীর গুলিস্তানের মহানগর নাট্যমঞ্চে স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে বিএনপির আয়োজিত আলোচনা সভায় সভাপতির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

মির্জা ফখরুল বলেন, ‘আওয়ামী লীগ পরিকল্পিতভাবে নতুন খেলায় নেমেছে। আবারও একই পায়তারা করছে, পশ্চিমা বিশ্ব আগের মতো নির্বাচন চায় না।’

তিনি বলেন, ‘বিএনপিকে নয় জনগণকে ক্ষমতায় আসতে দেওয়ার সুযোগ করতে হবে। মানে মানে তত্বাবধায়ক সরকার মেনে নিয়ে ক্ষমতা থেকে সরে দাঁড়াতে হবে।’

দ্রব্যমূলের ঊর্ধ্বগতির সমালোচনা করে তিনি বলেন, সরকার প্রতিটি জিনিসের দাম বাড়িয়ে দিয়েছে, বিশ্বে দাম কমলেও দেশে কমে না।

বিএনপির মহাসচিব বলেন, ‘আজ যারা জোর করে ক্ষমতায় বসে আছে তারা ভয়ংকর মিথ্যা ইতিহাস দিক্ষা দিচ্ছে। স্বাধীনতার চেতনা কি চুরি করা? লুট করা ভোট কেড়ে নেওয়া? সিন্ডিকেট করে রমজানে বিভিন্ন নিত্যপণ্যের মুল্যবৃদ্ধি করা? সেদিন আওয়ামী লীগের রাজনৈতিক শূন্যতা ও ব্যর্থতার কারণেই ১৯৭১ সালে ২৫ মার্চ রাতে গণহত্যা ঘটেছিল।’

প্রধান অতিথির বক্তব্যে স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেন, স্বাধীনতার চেতনা আজ ধূলিসাৎ করে দিয়েছে বর্তমান সরকার। একটি মহলের স্বার্থ রক্ষা করতে জনগণের আশা- আকাঙ্খা লুট করছে আওয়ামী লীগ সরকার। আজীবন ক্ষমতায় থাকতে গণহত্যা করেছে। ভোটের অধিকার সব জায়গায় কেড়ে নিয়েছে সরকার। ভোটে নির্বাচিত নয় বলেই জনগণের কাছে দায়বদ্ধতা না থাকায় সিন্ডিকেট করে অর্থনীতি ধ্বংস করে দেওয়া হয়েছে।’

বিএনপি মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠা করে চায় উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘নিরপেক্ষ সরকারের দাবিতে আন্দোলন আরও বেগবান করতে হবে ও সরকারকে বিদায় করতে বাধ্য করতে হবে। জনগণ তাই আওয়াজ তুলেছে। মুক্তিযুদ্ধের দল হিসেবে বিএনপিকে দায়িত্ব বেশি নিতে হবে। সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠা করা।’

স্থায়ী কমিটির সদস্য আবদুল মঈন খান বলেন, বিএনপি ধোঁকাবাজির রাজনীতি করে না, যা বলে তাই করে। বিএনপি মানুষের জন্য কাজ করে। দেশের মানুষের টাকা কেনো লুটপাট করে পাচার করা হচ্ছে, এমন স্বাধীনতা চায়নি বাংলার জনগণ। স্বাধীনতার উদ্দেশ্য ও আদর্শ আবারও প্রতিষ্ঠা করা হবে।

স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান বলেন, সবাইকে কারাগারে বন্দি করে নির্যাতন চালাচ্ছে সরকার। আবারও দেশে গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনা হবে।

স্থায়াী কমিটির সদস্য সেলিমা রহমান বলেন, আগামী নির্বাচনে ভোট ছাড়া ক্ষমতায় এসে বাংলাদেশকে ধ্বংস করার চক্রান্ত লিপ্ত সরকার। এটা জনগণ হতে দিবে না।

দলের প্রচার সম্পাদক শহীদ উদ্দিন চৌধুরী সঞ্চালনায় অন্যদের মধ্যে বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শাজাহান ওমর, আহমেদ আজম খান, এজএড এম জাহিদ হোসেন, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আব্দুস সালাম প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।

More News...

কোন ক্ষেপণাস্ত্র দিয়ে ইরানে হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল?

সোনার দাম আবার বাড়লো, ভরি ১ লাখ ১৯ হাজার ৪২৮ টাকা