নির্মাণের চার বছর হলেও হয়নি সংযোগ সড়ক, ভোগান্তিতে পাঁচ গ্রামের মানুষ

নির্মাণের চার বছর হলেও হয়নি সংযোগ সড়ক, ভোগান্তিতে পাঁচ গ্রামের মানুষ
Exif_JPEG_420

মেলান্দহ প্রতিনিধি : জামালপুরের মেলান্দহ উপজেলায় চার বছর আগে ব্রীজটি নির্মাণ হলেও হয়নি সংযোগ সড়ক না থাকায় কাজে লাগেনি একদিনও। এতে ভোগান্তিতে রয়েছে ৫ গ্রামের ১০ হাজার মানুষ।

দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের অর্থায়নে উপজেলার নাংলা ইউনিয়নের বাগুরপাড়া এলাকায় কনক রাইচ মিলের পাশে ২০১৯-২০ অর্থ বছরে ব্রীজটি নির্মাণ করা হয়।

স্থানীয়দের অভিযোগ, চার বছর আগে ব্রীজটি নির্মাণ হলেও হয়নি এক পাশের সংযোগ সড়ক না হাওয়ায় ভোগান্তিতে রয়েছে এলাকাবাসী।

উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তার কার্যালয় সুত্রে জানা গেছে, ২০১৯-২০২০ অর্থ বছরের দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের অর্থায়নে ব্রীজ নির্মাণ করা হয়। ৩৮ ফুট দৈর্ঘ্যের সেতুটির নির্মাণ ব্যয় ধরা হয়েছে প্রায় ৩২ লক্ষ টাকা।

স্থানীয়রা জানান,ব্রীজ নির্মাণ করার পরে সংযোগ সড়ক হয়নি। ব্রীজের পাশ দিয়ে এই ধানখেতের আইন দিয়ে যাতায়াত করতে হচ্ছে। খেতের যাতায়াত করতে গিয়ে পড়ে গিয়ে ব্যথাও পেয়েছেন।
সেতুর সংযোগ সড়ক না থাকায় বয়রাডাঙ্গা, উত্তর পাড়া ও বাগুরপাড়া সহ পাঁচ গ্রামের মানুষ যাতায়াত করে।

বাগুরপাড়া এলাকার দশম শ্রেণীর শিক্ষার্থী জিহাদ মিয়া বলেন,’ব্রীজ হলেও ব্রীজ দিয়ে যাতায়াত করতে পারি না সড়ক না থাকায়। ধান ক্ষেতে আইল দিয়ে যাতায়াত করতে হয়। বৃষ্টির দিনে আইল দিয়ে যাওয়া যায় না খুব কষ্ট করে যেতে হয়। ব্রীজের সংযোগ সড়ক হলে আমাদের জন্য খুব যাতায়াতের সহজ হবে। আমরা গাড়ি নিয়ে যাতায়াত করতে পারব।

কৃষক হামেদ আলী বলেন,’সরকারের আমাদের এ ধরনের ব্রীজ আরও লজ্জিত করেছে। চার বছর আগেও ব্রীজ হলেও একদিনও চলতে পারি নাই ওই ব্রিজ দিয়ে।

এবিষয়ে প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা আব্দুর রাজ্জাক বলেন,’মাটি কাটা হয়েছিল বন্যায় ভেঙে গেছে। উপজেলা নিবার্হী কর্মকর্তা ইউএনও সেলিম মিঞা বলেন, সরেজমিনে দেখে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

More News...

ওবায়দুল কাদেরের মস্তিষ্ক অলস-হৃদয় দুর্বল : রিজভী

ট্রেনে ঢাকায় ফিরছেন অনেকে, স্টেশনে ভিড়