বার বার সংবাদ প্রকাশের পরেও সংস্কার হচ্ছে না ঝুঁকিপুর্ন ব্রীজটি

বার বার সংবাদ প্রকাশের পরেও সংস্কার হচ্ছে না ঝুঁকিপুর্ন ব্রীজটি
বার বার সংবাদ প্রকাশের পরেও সংস্কার হচ্ছে না ঝুঁকিপুর্ন ব্রীজটি

নবাবগঞ্জ (দিনাজপুর) প্রতিনিধি : দিনাজপুরের নবাবগঞ্জ উপজেলার মাহমুদপুর ইউনিয়নের দারিয়া গ্রামে খালের উপর দাড়িয়ে আছে একটি ঝুঁকিপূর্ণ সেতু,যার উপর দিয়ে চলাচল করছে হাজার হাজার মানুষ ঝুকিপূর্ণ সেতুটির দুইপার্শ্বের দারিয়াসহ প্রায় ৫০ গ্রামের মানুষের প্রাণের দাবি সেতুটি ভেঙ্গে নতুন সেতু নির্মাণ করা হোক। দীর্ঘদিন থেকে এই দাবি জানানো হলেও এখনও সাড়া পাননি বলে জানান স্থানীয়রা।

ভাদুরিয়া-পীরগঞ্জ আঞ্চলিক সড়কের ঝুকিপূর্ণ এই দারিয়া সেতুর উপর দিয়ে প্রতিনিয়ত পারাপার হচ্ছে ৫০ গ্রামের কয়েক হাজার মানুষ। ঝুকিপূর্ণ এই দারিয়া সেতুুটি যে কোন মুহুর্তে ভেঙ্গে পড়ে প্রাণহানির আশংকা করছেন স্থানীয় এলাকাবাসী। জানা যায় , ১৯৬৭-৬৮ অর্থ বছরে ওই ইউনিয়ন পরিষদের ইউপি চেয়ারম্যান মরহুম সলিমুদ্দিন সেতুটি নির্মাণ করেন। দীর্ঘদিন অতিবাহিত হওয়ার ফলে সংস্কার ও মেরামত না করায় সেতুর বিভিন্ন স্থানে সিমেন্ট বালি খুলে পড়ে, রড বের হয়েছে এবং একাধিক স্থানে বড় ধরনের ফাটল দেখা দিয়েছে। এরপরও সেতুর ওপর দিয়ে ঝুঁকি নিয়ে ছোট যানবাহন ও এলাকাবাসী চলাচল করছে।

এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, সেতুটির প্রশস্ততা কম থাকায় শুরু থেকেই বড় ধরনের কোনো যানবাহন চলাচল করতে পারেনি। এতে আশপাশের গ্রামের কৃষকদের উৎপাদিত ধান, পাট, তামাক, সরিষাসহ অন্যান্য জিনিস ছোট ছোট ট্রলি, টেম্পো কিংবা রিকশা-ভ্যানে করে হাটবাজারে নিতে হয়। এছাড়াও ইট,বালি, সিমেন্ট ট্রাক্টরের মাধ্যমে ঝুঁকি নিয়ে যাতায়াত করতে হচ্ছে সেতুর উপর দিয়ে। ট্রাক্টর উঠলেই সেতুটি কেঁপে ওঠে। সেতুটি পুনঃনির্মাণ হলে রংপুরের পীরগঞ্জ উপজেলার কয়েক গ্রাম ছাড়াও নবাবগঞ্জের মাহমুদপুর ইউনিয়নের সকল গ্রামসহ দাউদপুর ভাদুরিয়া, রানীগঞ্জ, ঘোড়াঘাট, গোবিন্দগঞ্জ, নবাবগঞ্জ বাংলাহিলি হয়ে জয়পুরহাট, বিরামপুর হয়ে দিনাজপুরসহ গোটা দেশের সাথে যোগাযোগ ব্যবস্থা উন্নতি হবে।

একজন স্থানীয় বাসিন্দা জানান, এই ব্রীজ দিয়ে প্রতিদিন অসংখ্য লোকজন চলাফেরা করে। ব্রীজটি ভেঙে যাওয়ার পর থেকে বিভিন্ন জায়গা থেকে এসে শুধু মেপে যায় কিন্তু কোন কাজ হয় না আমরা চাই যাতে দ্রুত সংস্কার করা হয়। স্থানীয় আরেক বাসিন্দা জানান, এই ব্রীজটা অনেক মাপা মাপি হয়েছে। অনেক সংবাদ প্রকাশও হয়েছে তার পরেও কোন শুরহা হয়নি। ব্রীজটির দিকে তাকালে মনে হয় কখন জানি ভেঙে পড়ে দুর্ঘটনা ঘটে।

More News...

১৭৩ জন বাংলাদেশী মিয়ানমার কারাগার থেকে মুক্ত হয়ে দেশে ফিরেছেন

বিড়ির শুল্ক প্রত্যাহারসহ চার দাবিতে পাবনায় মানববন্ধন ও স্মারকলিপি প্রদান