বাগেরহাট জেলা প্রতিনিধি: রাতের আঁধারে পান বরজ উধাও করে ঘর তুলে জমি দখলের অভিযোগ পাওয়া গেছে। ঘটনাটি ঘটেছে বাগেরহাটের চিতলমারী উপজেলার পুরানবাড়ী এলাকায়।এলাকার মৃত দলিল উদ্দিন শেখের ছেলে মুজিবুর রহমান শেখ গত ২২ জানুয়ারি পুরান বাড়ি গ্রামের তৈয়ব আলীর ছেলে ছবর আলীসহ পুরান বাড়ি ও চরশৈলদাহ আদর্শ গ্রামের ৯ জনকে অভিযুক্ত করে চিতলমারী থানায় এই অভিযোগ দায়ের করা হয়। অভিযোগে তিনি ঘর সরিয়ে নেওয়া সহ ক্ষতি সাধনের হাত থেকে রক্ষা পেতে প্রতিকারের ব্যবস্থা নিতেও আবেদনে উল্লেখ করেন। অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে এলাকার মুজিবুর রহমানের ক্রয়-কৃত সম্পত্তিতে একটি পানের বরাজ ছিল। একই এলাকার তৈয়বুর রহমান শেখের ছেলে অভিযুক্ত ছবর আলী শেখ ও তার সঙ্গীয় আরো ৯ জন দুষ্কৃতকারী রাতের আঁধারে পানের বরজটি সম্পূর্ণ বিনষ্ট করে এবং রাতারাতি ওই জমিতে একটি ঘর তুলে জমি দখল করে নেয়। বিষয়টি নিয়ে স্থানীয়ভাবে কোন সমাধান না হওয়ায় , ঘরটি সরিয়ে নেওয়া এবং ক্ষতি সাধনের হাত থেকে পরিত্রাণ পাওয়ার জন্য অভিযোগকারী থানা পুলিশের শরণাপন্ন হন।
এ বিষয়ে এলাকার মোসলেম খা’য়ের ছেলে ওলি খা বলেন, এলাকার মুজিবুর রহমানের কাছ থেকে জমি লিজ নিয়ে আমি পানের বরজ করে জীবিকা নির্বাহ করি। সবর আলী ও তার আত্মীয়-স্বজন বাঁশ, গুনো, সুতো, বাঁশের শলা সহ পান গাছ রাতের আঁধারে তুলে নিয়ে যায়। খবর পেয়ে আমি ছুটে এলে ওরা আমাকে হুমকি ধামকি দিয়ে তাড়িয়ে দেয়। বিষয়টি আমি জমির মালিককে জানায়। তারা আমার প্রায় ৯ থেকে ১০ লক্ষ টাকার প্রতি সাধন করেছে। আমি এর প্রতিকার চাই।
ছবর আলীর আপন ভাই আক্কাস আলী বলেন, ওই জমি দখল করতে আমি আমার ভাই ভাবীকে অনেক নিষেধ করেছি। তারা বলে আমরা আদালত থেকে রায় পেয়েছি। এবিষয়ে স্থানীয় গন্যমান্য ব্যক্তিদের সাথে নিয়ে কাগজপত্র পর্যালোচনা করার জন্য আমি তাদের পরামর্শ দিয়েছি। অভিযোগের বিষয়ে সবর আলীর স্ত্রী রানু বেগম বলেন, উক্ত জমি আমার কবলা সম্পত্তি। আমি ওই জমিতে পান বরাজ করেছি। আদালতের রায় অনুযায়ী ওই জমি আমার দখলে রয়েছে। ৮-১০ দিন আগে ঘর নির্মাণ করেছি তা’ও দিনের বেলায়।
অভিযোগকারী মুজিবুর রহমান জানান, বিরোধীয় জমি স্থানীয় তহসিলদার মাপঝোপ করে সীমানা নির্ধারণ করে আমাকে বুঝিয়ে দিয়েছে। আমি ওই জমির খাজনাও পরিশোধ করেছি। অভিযুক্তরা সন্ত্রাসী দাঙ্গাবাজ, আমার জমিতে রাতের আঁধারে পান বরাজ লুট করে অবৈধ ভাবে ঘর তুলে দিয়েছে। স্থানীয় গন্যমান্য ব্যক্তিদের বিষয়টি জানিয়েছি। প্রতিকার না পেয়ে থানায় অভিযোগ দায়ের করেছি।
অভিযোগের বিষয়ে চিতলমারী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এ এইচ এম কামরুজ্জামান খান বলেন, পুরানবাড়ি গ্রামের মুজিবুর রহমান শেখের অভিযোগের বিষয়ে তদন্ত করা হয়েছে। উভয় পক্ষ একই খতিয়ানে জমি দাবি করছে। স্থানীয় ভাবেও শালিস হয়েছে। বিষয়টি মীমাংসা হয়নি। বিরোধীয় জমি সংক্রান্ত একটি মামলা আদালতে চলমান রয়েছে। সেকারণে আদালতের সিদ্ধান্ত পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে। তবে স্থানীয় আইন শৃঙ্খলা রক্ষার বিষযে কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না।