রাঙ্গামাটি প্রতিনিধি: পার্বত্য চট্টগ্রামের সীমান্ত সড়ক প্রকল্পের কাজ পরিদর্শন করেছেন সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল এস এম শফিউদ্দিন আহমেদ।সোমবার (৩০ জানুয়ারি) দুপুরে রাঙামাটির রাজস্থলী উপজেলার বাংলাদেশ-ভারত সীমান্তবর্তী দুর্গম দুমদুম্যা ইউনিয়নের সাইসল আর্মি ক্যাম্প এলাকায় প্রকল্পটির কাজ পরিদর্শন করেন তিনি।
সীমান্ত সড়ক পরিদর্শনকালে সেনা প্রধান বলেন,বাংলাদেশ সেনা বাহিনী কাজের গুনগতমান ঠিক রেখে অত্যন্ত গুরুত্বের সাথে সীমান্ত সড়ক নির্মাণ কাজ চালিয়ে যাচ্ছে।কাজের গুণগত মান অত্যন্ত ভাল।
তিনি বলেন, ‘দেশের উন্নয়নে অনেকগুলো কাজ আমরা করছি। যার মধ্যে রয়েছে সীমান্ত সড়ক নির্মাণ। এই সড়ক নির্মাণের কাজের অগ্রগতি দেখে আমি যথেষ্ট খুশি। যেভাবে এগিয়ে যাচ্ছে আমরা আশা করছি, নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে কাজের গুণগত মান ঠিক রেখে কাজ শেষ হবে।’
এসময় তার সফর সঙ্গী ছিলেন, চিফ অব জেনারেল স্টাফ , এডজ্যুডেন্ট জেনারেল, চট্টগ্রাম এরিয়ান কমান্ডার মিজানুর রহমান শামীম, ২৬ ইসিবি’র অধিনায়ক লে. কর্নেল এইচএম মুহায়মিন বিল্লাহ চৌধুরী, সীমান্ত সড়ক প্রকল্পের পরিচালক কর্নেল ভূঁইয়া গোলাম কিবরিয়া এবং পার্বত্য চট্টগ্রামের ঊর্ধ্বতন সেনা কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
উল্লেখ্য, পার্বত্য চট্টগ্রামে উন্নয়নের অংশ হিসেবে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় পার্বত্য চট্টগ্রামের উন্নয়নের অংশ হিসেবে পার্বত্য তিন জেলা রাঙামাটি, খাগড়াছড়ি এবং বান্দরবান পার্বত্য জেলা সীমান্ত সড়ক নির্মাণ করা হচ্ছে। বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর সার্বিক তত্ত্বাবধানে সীমান্ত সড়ক প্রকল্পের কাজ চলমান রয়েছে।
কাজটির তত্বাবধানে রয়েছেন সেনাবাহিনীর কোর অব ইঞ্জিনিয়ার্স এর ৩৪ ইঞ্জিনিয়ার কনস্ট্রাকশন ব্রিগেডের অধীন ১৬, ২০ এবং এডহক ২৬ ইঞ্জিনিয়ার কনস্ট্রাকশন ব্যাটালিয়ন। সীমান্ত সড়কের মোট দৈর্ঘ্য ১০৩৬ কিলোমিটার এর মধ্যে প্রথম পর্যায়ে একনেকে ৩১৭ কিলোমিটার সড়ক নির্মাণের প্রস্তাব গৃহীত হয়। প্রকল্পটির প্রথম পর্যায়ের কাজের মধ্যে ৯৫ কিলোমিটার সড়ক নির্মাণ কাজ সম্পন্ন এবং এ বছরে প্রকল্পটির আরও ১৩২ কিলোমিটার সড়ক নির্মাণ কাজ চলমান রয়েছে। যা চলতি বছরের এপ্রিল মাসে শেষ হবে। অবশিষ্ট ৯০ কিলোমিটার কাজ ২০২৪ সালের জুন মাসে সম্পন্ন করা হবে বলে সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে জানানো হয়।
প্রকল্পটির নির্মাণ কাজ সমাপ্ত হলে পার্বত্য জেলাসমূহের সীমান্ত বরাবর নিরাপত্তা নিশ্চিত করাসহ যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নতি সাধন, সীমান্তের দুই পাশের অবৈধ ব্যবসা (অবৈধ অস্ত্র, মাদক, মানব পাচার ইত্যাদি) বন্ধ, পার্শ্ববর্তী দেশের সঙ্গে সড়ক যোগাযোগের মাধ্যমে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়াতে ব্যবসা ও বাণিজ্যের প্রসার এবং সীমান্ত এলাকার কৃষি পণ্য দেশের মূল ভূখণ্ডে পরিবহনের মাধ্যমে পার্বত্য চট্টগ্রামের আর্থ-সামাজিক অবস্থার উন্নতিতে অগ্রণী ভূমিকা রাখবে। পাশাপাশি পার্বত্য জেলাসমূহের মধ্যে আন্তঃআঞ্চলিক সংযোগ স্থাপন হবে, যা নিরাপত্তা কার্যক্রম ও শান্তি রক্ষায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে।