মাঘের শুরুতেই কনকনে শীতে কাঁপছে দক্ষিণের জেলা যশোর

মাঘের শুরুতেই কনকনে শীতে কাঁপছে দক্ষিণের জেলা যশোর

হাফিজুর শেখ, যশোর : পৌষের শেষে মাঘের শুরুতেই কনকনে শীতে কাঁপছে দক্ষিণের জেলা যশোর। ঘন কুয়াশা আর হিমেল হাওয়ায় ব্পির্যস্ত হয়ে পড়েছে জনজীবন। শীতের তীব্রতা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে কর্মহীন হয়ে পড়েছে নিম্ন আয়ের মানুষেরা।

ব্যাহত হচ্ছে বেনাপোল স্থলবন্দরের কার্যক্রম। দিনের বেলায়ও হেডলাইট জ্বালিয়ে চলেছে যানবাহনগুলো। ঘন কুয়াশার কারণে বিঘ্ন ঘটছে ট্রেন চলাচলেও।কয়েক দিন ধরে সূর্যের দেখা মিলছে না। ঘন কুয়াশায় ঢেকে থাকছে সারা দিন। উত্তরের হিমেল হাওয়া শীতের তীব্রতা বাড়িয়ে দিয়েছে কয়েক গুণ। খড়কুটো জ্বালিয়ে শীত নিবারণের চেষ্টা করছে অনেকে। শীতবস্ত্রের অভাবে কষ্ট পাচ্ছে দরিদ্র ছিন্নমূল মানুষ। প্রতিদিনই কমছে তাপমাত্রা। সব মিলিয়ে বাঘ কাঁপানো মাঘেরই আভাস দিচ্ছে।

হঠাৎ হাড়কাঁপানো শীতে দুর্ভোগে পড়েছেন নানা শ্রেণি-পেশার মানুষ। বেলা বাড়লেও ঘর থেকে বের হতে বেগ পেতে হচ্ছে তাদের। তীব্র শীতে কাহিল হয়ে পড়েছে জনজীবন। বিশেষ করে বেনাপোল স্থলবন্দরে কর্মরত শত শত শ্রমিকরা পণ্য লোড আনলোডে মারাত্মক সমস্যায় পড়ছে। কনকনে শীতে স্থবির হয়ে পড়ছে জনজীবন।

ফুটপাতের ব্যবসায়ীদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, এখানে নিম্ন ও মধ্যবিত্ত শ্রেণির ক্রেতাই বেশি। একই সঙ্গে ভ্যানচালক, রিকশাচালক, দিন মজুরসহ হতদরিদ্র ও শীতার্ত মানুষরাও এখান থেকে শীতবস্ত্র কিনছেন।শীত বস্ত্র কিনতে আসা জমির হোসেন বলেন, তিনদিন ধরে সূর্যের দেখা নেই। কোনো কাজ কর্ম নেই। সারাদিন বাসায় থাকতে হয়। শীত নিবারণের জন্য কমদামে গরম কাপড় কিনতে আসছি।

ভ্যানচালক মাহাবুব বলেন, গত তিন-চারদিন যে পরিমাণ শীত পড়ছে তাতে ভ্যান চালাতে অনেক কষ্ট হচ্ছে। কিন্তু ভ্যান না চালালে পেট চলবে না, তাই বাধ্য হয়ে পথে নামতে হয়েছে।এদিকে, শীতের তীব্রতা বাড়ার ফলে বেড়েছে ঠান্ডাজনিত রোগের প্রকোপ। জ্বর, হাঁচি, কাশিসহ ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হচ্ছে মানুষ।

শার্শা উপজেলা হাসপাতালের স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডাক্তার ইউসুফ আলী বলেন, শীতজনিত রোগে আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে। শিশু ও বৃদ্ধরা বেশি আক্রান্ত হচ্ছে। রোগীর চাপ থাকলেও হাসপাতালে চিকিৎসা দিতে কোনো সমস্যা হচ্ছে না।

More News...

আ.লীগের এমপি হতে চান অপু বিশ্বাস

ডেঙ্গুতে একদিনে ২৪ জনের মৃত্যু