তিতাস (কুমিল্লা) প্রতিনিধি : কুমিল্লার তিতাসে ডাকাতি করতে এসে হাতের মোবাইল খুইয়ে গেলেন ডাকাত সদস্য । ধস্তাধস্তি করে নীজের মোবাইলটি ছাড়াতে না পেরে মানিক(২০)নামে এক যুবকের কপাল থেকে মুখের চেহারাসহ শরীরের বিভিন্ন যায়গায় ছুড়িকাঘাত করে চলে যায় ডাকাত সদস্য ।গুরতর আহত ও রক্তাক্ত অবস্থায় মানিককে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করানো হয়।এবং প্রায় ১২-১৪টি শেলাই লেগেছে মানিকের মুখমন্ডলে ।ঘটনাটি ঘটেছে গত শনিবার রাত আনুমানিক পৌনে ২টার দিকে উপজেলা সদর কড়িকান্দি ইউনিয়নের আলীরগাঁও ভূইয়া বাড়ির খিদু ভূঁইয়ার বাড়িতে।
আহত মানিক জানান,আমি একা থাকি আমাদের ছোট ঘরে আর বড় ঘরে থাকে আমার মাওবোন। রাত আনুমানিক পৌনে ২টার দিকে আমার বড় বোন বড় ঘর থেকে আমাকে কল দিয়ে বলে ভাইয়াকে যেন আমাদের ঘরের দরজা ধাক্কাধাক্কি করছে।এই কথা শুনে আমি সাথে সাথে বের হয়ে দেখি ১০/১২ জনের একটি ডাকাত আমাদের বড় ঘরের দরজা ভাঙার চেষ্টা করছে।এসময় আমি ডাকাত বলে চিৎকার দিলে ডাকাতরা পালানোর সময় আমি একজন ডাকাত সদস্যকে ঝাপটে ধরে ফেলি।ধস্তাধস্তির একপর্যায়ে ডাকাত সদস্য মাটিতে পড়ে যায়।
এসময় তার পকেটে থাকা মোবাইল ফোনটি মাটিতে পড়ে গেলে, আমি তা হস্তগত করে ফেলি। ডাকাত সদস্য মোবাইল ফোনটি আমার হাত থেকে ছাড়িয়ে নিতে না পেরে তার সাথে থাকা ছুরি দিয়ে আমার কপাল থেকে মুখের চোয়াল পর্যন্ত ও শরীরের বিভিন্ন অংশে আঘাত করে।এতে আমি মারাত্মকভাবে আহত ও রক্তাক্ত হই।তিতাস থানার অফিসার ইনচার্জ সুধীন চন্দ্র দাস বলেন,শনিবার রাতে আলিরগাঁও গ্রামে ছুরিকাঘাতে এক যুবক আহত হয়েছে, বিষয়টি জানতে পেরে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠিয়েছি। এবং আঘাতকারীর একটি মোবাইল ফোন আমাদের হাতে জব্দ রয়েছে।তবে ডাকাতি হয়েছে কি না সে বিষয়ে আমরা নিশ্চিত হতে পারি নাই,ঘটনার তদন্ত চলছে।