মুসল্লিরা দলে দলে ছুটে আসছে টঙ্গীর ইজতেমা ময়দানে

মুসল্লিরা দলে দলে ছুটে আসছে টঙ্গীর ইজতেমা ময়দানে

গাজীপুর প্রতিনিধি : বিশ্ব ইজতেমার ৫৭তম আসরে বিশ্ব তাবলীগ জামাতের শীর্ষস্থানীয় মুরব্বিগন ঢাকার কাকরাইল মসজিদে এসে জড়ো হওয়ার পর কাকরাইল মসজিদের পেশ ইমাম মুহাম্মদ জোবায়ের হোসাইনের নেতৃত্বে তারা আজ ভোর রাতে ময়দানে এসে উপস্থিত হবেন এবং বাদ ফজর থেকে আম বয়ানের মধ্যদিয়ে বিশ্ব ইজতেমার প্রথম পর্বে ৩ দিনের আনুষ্টানিকতা শুরু হচ্ছে। আজ শুক্রবার দুপুরে বাদ জুম্মার নামাজে অংশ নিতে লাখ লাখ মুসল্লী বৃহস্পতিবার সকাল থেকেই ময়দানে আসতে দেখা গেছে। বিশ্ব ইজতেমার প্রথমাংশের জুম্মার নামাজে যোগ দিতে হাজার হাজার ধর্মপ্রাণ মুসুল্লি তীব্র শীতসহ যানজট ও নানা বিড়ম্বনাকে উপেক্ষা করে ঢাকাসহ দেশের ৬৪ জেলা থেকে দলে দলে মুসল্লি টঙ্গীর ইজতেমা ময়দানে ছুটে আসছে। শুক্রবার প্রথম দিন জুম্মাবার হওয়ায় গতকাল সন্ধ্যা থেকেই টঙ্গী ও আশপাশ এলাকার লাখো মুসুল্লির ঢল নামে টঙ্গীর কহর দরিয়া তুরাগ নদের তীরে। নামাজের আগেই ইজতেমার পুরো প্যান্ডেল ও ময়দান কানায় কানায় ভরে উঠবে। অন্যান্য বছরের মতো এবারও উপস্থিত লাখ লাখ মুসল্লির উদ্দেশে যথারীতি তাবলিগের ৬ উসুল অর্থাৎ কালেমা, নামাজ, এলেম ও জিকির, একরামুল মুসলিমিন, সহিহ নিয়ত ও তাবলিগ বিষয়ে আমবয়ানের মাধ্যমে ইজতেমার প্রথম পর্বের ৩ দিনের কার্যক্রম শুরু হচ্ছে। তাবলীগ জামাত অনুসারীদের সকল মত-ভেদাভেদ ভূলে ঐক্যবদ্ধ ভাবে এবং শান্তিপূর্ণ ভাবে ইজতেমায় অংশ নিয়ে ইজতেমাকে সফল করতে ধর্মপ্রাণ মুসল্লীদের প্রতি আহবান জানিয়েছেন ইজতেমা আয়োজক কমিটির মুরব্বীগনসহ যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী, সিটি কর্পোরেশন ভারপ্রাপ্ত মেয়র এবং গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনারসহ আইন শৃংখলাবাহিনীর উর্দ্ধতন কর্মকর্তাগন। সূত্র মতে বিশ্ব ইজতেমাকে কেন্ত্র করে বিবাদমান জোবায়ের পহ্নি ও সাদ পহ্নিদের মধ্যে সৃষ্ট পরিস্থিতি মোকাবেলা করে স্বরাষ্ট্র ও ধর্ম মন্ত্রণালয়ের মধ্যস্থতায় তাবলিগের উভয় গ্রæপের উপস্থিতিতে এবারেও ইজতেমা দুই ধাপে আয়োজনের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়। তারপরও ইজতেমা ময়দানে বয়ান ও আখেরি মোনাজাতকে কেন্দ্র করে বিবাদমান পরিস্থিতি সামাল দিতে প্রশাসনিক ব্যবস্থা জোরদার করে সরকারের নিয়ন্ত্রনে একসঙ্গে অনুষ্ঠিত এ ইজতেমা দুই ধাপে আলাদা আলাদা বয়ান ও মোনাজাতের ব্যবস্থা করা হয়েছে। ইতিমধ্যে ইজতেমা ময়দান বিশ্ব মুসলিমদের মিলনমেলায় পরিণত হয়েছে। এ বছর দুই দফায় ১৫ এবং ২২ জানুয়ারী মোনাজাত অনুষ্ঠিত হবে। বিশ্ব ইজতেমা উপলক্ষে মুসল্লীদের নিরাপদ ভ্রমণ নিশ্চিতকরণ, সার্বিক আইনশৃঙ্খলা রক্ষার্থে টঙ্গী আইনশৃংখলা বাহিনীর বিপুল পরিমান সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে। পোশাকে এবং সাদা পোশাকে পুলিশ, র‌্যাব, বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থা, আনসার-ভিডিপি, টুরিষ্ট পুলিশ, শল্পি পুলিশ, এপিবিএন ফায়ার সার্ভিসসহ সবাইকে প্রস্তুত রাখা হয়েছে। বিদেশী মেহমানদের নিরাপত্তায় আইনশৃংখলা বাহিনী বিশেষ ব্যবস্থা হাতে নিয়েছে। বৃহস্পতিবার দুপুরে টঙ্গীর বিশ্ব ইজতেমা ময়দানে প্রতিবারের ন্যায় এবারো লাখো মুসল্লীর স্বাস্থ্যসেবা প্রদানের লক্ষ্যে বিনামূল্য চিকিংসাসেবা প্রদানের ব্যবস্থ গ্রহন করেছে দেশের শীর্ষ ওষুধ প্রস্তুতকারি প্রতিষ্ঠান হামদর্দ ল্যাবরেটরীজ (ওয়াক্ফ) বাংলাদেশ ও ফ্রি মেডিকেল সেন্টার ইসলামিক মিশন, ইসলামিক ফাউন্ডেশন ইত্যাদি। এসব প্রতিষ্ঠান স্থানীয় এবং সংশিষ্ট মন্ত্রী, প্রতিমন্ত্রীগন উদ্বোধন করার কথা রয়েছে। বিশ্ব ইজতেমা পরিচালনা কমিটির মুরব্বী নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানান, শুক্রবার থেকে শুরু হবে তাবলিগ জামাত আয়োজিত মুসলিম উম্মাহর দ্বিতীয় বৃহত্তম সমাবেশ ৫৭তম বিশ্ব ইজতেমা। এবারের বিশ্ব ইজতেমায় যোগ দিতে দেশ-বিদেশের লাখ লাখ মুসল্লিরা ইতোমধ্যে ময়দানে অবস্থান নিয়েছেন। এছাড়া শতাধিক বিদেশী মুসল্লি অংশগ্রহন করবেন বলে জানা গেছে। ইতিমধ্যে বিদেশীদের আগমন অব্যাহত রয়েছে। ১০ জানুয়ারী থেকে দু’দফায় ইজতেমা শুরু হলেও দু’ধাপে দু’পক্ষের নেতৃত্ব থাকছে। প্রথম দুই দিনের নেতৃত্বে থাকবেন মাওলানা জোবায়ের হোসাইন অনুসারী তাবলীগ মুসল্লীরা। পরবর্তী দু’দিনে থাকবেন মাওলানা সা’দ পন্থী ওয়াসেফুল ইসলামের অনুসারী তাবলীগ মুসল্লীরা। দু’গ্রæপেরই আলাদাভাবে থাকছে আখেরী মোনাজাতের অনুষ্ঠান। প্রথম পক্ষের আখেরি মোনাজাত অনুষ্ঠিত হবে ১৫ জানুয়ারী রোববার এবং দ্বিতীয় পক্ষের আখেরী মোনাজাত ২২ জানুয়ারী রোববার।

বয়ান শুরু, কারা করবেন বয়ান : বৃহস্পতিবার বাদ মাগরিব এর পর থেকে বিশ^ ইজতেমা ময়দানে আগত মুসল্লীদের উদ্দেশ্যে ইমান আমলের উপর দিক নির্দেশনামূলক প্রাথমিক বয়ান শুরু হয়। শুক্রবার বাদ ফজর আম বয়ানের মাধ্যমে মূল ইজতেমার কার্যক্রম শুরু হচ্ছে। বাদ ফজর মাওলঅনা জিয়াউল হক সাহেব এবং বাদ জুম্মা নামাজ পড়াবেন মাওলানা ঈসমাইল হোসাইন, বাদ আছর মাওলানা যোবায়ের হোসাইন এবং বাদ মাগরিব মাওলানা লাট সাহেব বয়ান করবেন বলে জানা গেছে।
বিভিন্ন সড়ক-মহাসড়কে ইজতেমায় আগত মুসল্লিদের ভীড় : প্রথমাংশের বিশ্ব ইজতেমা ময়দানে আগতদের গত বুধবার সন্ধ্যা থেকে টঙ্গী, আব্দুল্লাহপুর, কামারপাড়া, টঙ্গী বাজার, স্টেশনরোড, চেরাগআলীর সড়ক-মহাসড়কসহ রেলওয়ে ষ্টেশন টঙ্গী, বিমানবন্দর, জয়দেবপুরে প্রচন্ড ভিড় এবং মুসল্লিদের ইজতেমা ময়দানে প্রবেশের তাগিদ লক্ষ্য করা গেছে।
ময়দানের আশপাশে পরিস্কার পরিছন্নতা : ইজতেমা ময়দানের উত্তর পাশে টঙ্গী-আশুলিয়া রোডের ফুটপাতে, পশ্চিম ও দক্ষিণ দিকে তুরাগ নদের তীরসংলগ্ন এলাকা, টঙ্গী ষ্টেশন রোড এলাকাসহ ঢাকা ময়মনসিংহ রোড, ঢাকা সিলেট রোডে ধুলোবালি থাকলেও প্রতিবারের চেয়ে শতভাগ পরিস্কার পরিছন্নতার ছাপ লক্ষ্য করার মতো।
ভিক্ষুক, চোর, ছিনতাইকারীদের আনাগোনা বৃদ্ধি : বিশ্ব ইজতেমা শুরু হওয়ার আগেই ময়দানের চারপাশের ফুটপাত গুলোতে চোর, ছিনতাইকারী ও ভিক্ষুকের আনাগোনা বেড়ে গেছে। নোংরা ও ময়লা কাপড় পরে সাহায্যের জন্য ইজতেমায় আগত মুসল্লিদের পথ আগলে ধরায় অনেক মুসল্লিরা বিব্রতবোধ করতে দেখা গেছে। এদিকে বিদেশী মুসল্লিদের নিবাস এলাকায় ভিক্ষুকদের ভিড়তে নিষেধ থাকা সত্তে¡ও ভিক্ষুকদেরকে ষ্টেশন রোড এলাকায় বিদেশীদের পথ আগলে ধরে ভিক্ষা চাইতে দেখা গেছে। তাছাড়া এবছর শিশু ও মহিলা ভিক্ষুকদের আনাগোনা নজরে পড়ার মতো। এছাড়া ষ্টেশন রোডে, আশরাফ সেতুর সামনে, মিল গেইট, কাদেরিয়া টেক্সটাইল মিলের সামনে, কামারপাড়া রোডের পশ্চিম মোড়, রেলওয়ে ষ্টেশন এলাকায় চোর, ছিনতাইকারী ও অজ্ঞান পাটির সদস্যরা সক্রিয় হয়ে উঠতে দেখা গেছে।
অবৈধ দোকানপাট মুসল্লিদের যাতায়াতে কষ্ট : পর্যাপ্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থা থাকা সত্বেও ময়দানের চারপাশে ভাসমান দোকানদাররা হরেক রকমের দোকানের পসরা সাঁজিয়ে বসায় ইজতেমায় আগত মুসল্লিদের যাতায়াতে বেশ কষ্ট পোহাতে হচ্ছে। মুসল্লিদের মালামাল কেনার জন্য বিভিন্নভাবে ডাকচিৎকার করে আহŸান করছেন ফুটপাত ব্যবসায়ীরা। পুলিশ বার বার তাদের বাধা প্রদান করলেও থামছে না হকাররা। অপরদিকে ইজতেমাকে কেন্দ্র করে টঙ্গীর মন্নু টেক্সটাইল মিলস, অলিম্পিয়া টেক্সটাইল মিলস, আশরাফ টেক্স টাইলস মিলস, হোন্ডা রোড এলাকায় বিভিন্ন শ্রেনীর ব্যবসায়ীরা বিভিন্ন দোকানের পসরা সাজিয়ে বসেছেন। ব্যবসায়ীরা জানান, স্থানীয় ইজারাদার গন তাদের কাছ থেকে দ্বিগুন ভিটভাড়া, বিদ্যুৎ বিল, পানির বিলসহ বিভিন্ন অজুহাতে চাঁদা আদায় করছে। এভাবে চলতে থাকলে ইজতেমায় ব্যবসা করা যাবে না বলে ব্যবসায়ীরা অভিযোগ করেন।
ইজতেমা ময়দানে মোবাইল নেটওয়ার্ক সমস্যা : বৃস্পতিবার সকাল থেকে ইজতেমা ময়দান ও টঙ্গী আশপাশ এলাকা থেকে দেশের বিভিন্নস্থানে নেটওয়ার্ক যোগাযোগ ছিলো খুবই দূর্বল। মাঝে মধ্যে লাইন পেলেও মূহুর্তেই কেটে যাচ্ছে। মোবাইল ফোন কোম্পানীগুলো নেটওর্য়াক সুবিধা দিতে ইজতেমার আশপাশ এলাকায় অতিরিক্ত মোবাইল টাওয়ার সংযোগ করেও সমস্যার সমাধান দিতে পারছে না।
পরিবহনে অতিরিক্ত ভাড়া আদায় : অন্যদিকে দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে বিশ্ব ইজতেমার আগত ধর্মপ্রাণ মুসুল্লিদের কাছ থেকে পরিবহন মালিকসহ তাদের শ্রমিক কর্মচারীরা বাংলাদেশ সরকারের বেঁধে দেয়া ভাড়াকে উপেক্ষা করে দ্বিগুন ভাড়া আদায় করায় মুসুল্লিরা চরম দুর্ভোগ ও হয়রানীর শিকার হচ্ছে বলে মুসল্লিরা অভিযোগ করেন।
ইজতেমা ঘিরে মহাসড়কে তীব্র যানজট : গাজীপুরে ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কে বৃহস্পতিবার ভোর থেকে তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়েছে। এতে অফিসগামী কর্মজীবী মানুষ ও স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীরা চরম বিপাকে পড়েছেন। যানজট নিরসনে পুলিশের কোনো পদক্ষেপই কাজে দিচ্ছে না বলে অভিযোগ করেছেন এ সড়কে যাতায়াতকারী যাত্রীরা। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কে যানজটের কারণে ঢাকা-বাইপাস ও ঢাকা-টাঙ্গাইল সড়কেরও যানজট লেগে থাকে। সকালে চান্দনা চৌরাস্তা থেকে টঙ্গী পর্যন্ত সড়কের উভয় দিকে যানজটের সৃষ্টি হয়। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে এ যানজট আরও তীব্র হতে থাকে। চান্দনা চৌরাস্ত থেকে টঙ্গী থেকে ময়মনসিংহগামী যাত্রী অঅবুল কাশেম জানান, সকাল সাড়ে ৬টার দিকে তিনি বাসে উঠেছেন মহাখালী থেকে ময়মনসিংহ যাবেন বলে। সাড়ে ৮টায় দুই ঘণ্টায় তিনি মাত্র টঙ্গী আসতে পেরেছেন। বাকি পথ যেতে কত সময় লাগবে তা অনিশ্চিত। এদিকে টঙ্গী ব্রিজের পর থেকে, স্টেশন রোড, চেরাগআলী, গাজীপুরা, বোর্ড বাজার, ছয়দানা, বাসন সড়ক, ভোগড়া বাইপাস ও চান্দনা চৌরাস্তা মোড় পর্যন্ত বিভিন্ন স্থানে তীব্র যানজট লেগেই রয়েছে। বাস চালক জলিল ড্রাইভার জানান, ভোর ৬টার দিকে টঙ্গী থেকে রওয়ানা দিয়ে সাড়ে ৯টায় দেড় ঘণ্টায় চান্দনা চৌরাস্তায় এসেছি। রাস্তায় খানাখন্দ এবং যানবাহনের চাপ বেশী থাকায় যানজটের সৃষ্টি হয়েছে। সকালে মহাসড়কে পুলিশের সংখ্যা কম, সে কারণে যানজট বেশী। এ ব্যাপারে টঙ্গী থানা পুলিশের অফিসার্স ইনচার্জ (ওসি) আশরাফুল বলেন, সকাল থেকেই মুসল্লিরা ইজতেমা ময়দানে বিভিন্ন যানবাহনে করে আসতে থাকায় সড়কে মানুষের সংখ্যা বাড়ছে। যানজট নিরসনে ট্রাফিক পুলিশ, হাইওয়ে পুলিশ ও থানা পুলিশ একযোগে কাজ করছে।
ক্যামেরা স্থাপন : গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে পুরো ময়দানে প্রায় ৩০০ ক্লোজ সার্কিট ক্যামেরা বসানো হয়েছে। সার্বিক নিরাপত্তায় সাড়ে সাত হাজার পুলিশ মোতায়ন থাকবে। র‌্যাব ও আনসারসহ বিভিন্ন সংস্থা কাজ করবে।
বিদেশী ও ভারতীয় মুসল্লিদের আগমন : টঙ্গী বিশ্ব ইজতেমায় যোগ দিতে আগরতলা স্থলবন্দর সীমান্ত পথে দলে দলে আসছেন ভারতীয় মুসল্লী। ভারতীয় মুসল্লীরা ব্রাহ্মনবাড়িয়া আখাউড়া চেকপোস্ট দিয়ে বাংলাদেশে এসেছেন। এখান থেকে বাসে কিংবা ট্রেনযোগে ইজতেমার ময়দানে আসছেন। এছাড়াও প্রায় ১০০ দেশের ২ হাজার বিদেশী মেহমান ইতিমধ্যে ইজতমো ময়দানসহ দেশের বিভিন্ন এলাকায় ইসলামের দাওয়া কাজে রয়েছেন বলে জানান, ইজতেমা ময়দানের মিডিয়া উইং কর্মকর্তা মুফতি জহির ইবনে মুসলিম।
পুলিশের মাঝে প্লাাষ্টিক সামগ্রী বিতরণ : গাজীপুরের টঙ্গীতে বিশ্ব ইজতেমায় আগত পুলিশ সদস্যদের ব্যবহারের জন্য প্লাাষ্টিক সামগ্রী বিতরণ করেছেন, ন্যাশনাল পলিমার ইন্ড্রাষ্টিজ লিমিটেড। গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের উপ-পুলিশ কমিশনার অপরাধ (দক্ষিণ) মাহবুব-উজ-জামানের কাছে বালতি, মগসহ দেড় হাজার প্লাষ্টিক সামগ্রী তুলে দেয়া হয়েছে। এসময় উপস্থিত ছিলেন গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার অপরাধ (দক্ষিণ-টঙ্গী জোন) মো. হাফিজুল ইসলাম, পশ্চিম থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. শাহ আলম, টঙ্গী ন্যাশনাল পলিমার ইন্ডাষ্ট্রিজ লিমিটেডের কর্মকর্তা শরিফুল ইসলাম, শামীম ইকবাল, পারভেজ হোসেন প্রমুখ।
গ্যাস সংযোগ : ইজতেমা ময়দানের উত্তর-পশ্চিম কোণে বিদেশি মেহমানদের জন্য নির্ধারিত কামরার পাশে ১৪০ থেকে ১৫০ পিএসআই উচ্চচাপ সম্পন্ন গ্যাসের লাইন সংযোগ দেয়া হয়েছে। সেখানো শুধু বিদেশী মেহমানদের রান্নাবান্নার কাজ হয়ে থাকে।
ইজতেমায় ফায়ার সার্ভিসের প্রস্তুতি : শুক্রবার থেকে ইজতেমা শুরু হওয়া উপলক্ষ্যে ব্যাপক প্রস্তুতি নিচ্ছে ফায়ার সার্ভিস। অগ্নিদুর্ঘটনা মোকাবেলায় ময়দানে প্রতিটি খিত্তায় ফায়ার এক্সটিং গুইসার, ফায়ার হুক, ফায়ার বিটারের ব্যবস্থা করা হয়েছে। ময়দানে চারপাশে ১৪টি পোর্টেবল পাম্প প্রস্তুতি রাখা হয়েছে। মাঠের বিভিন্ন স্থানে ফায়ার সার্ভিসের তিনশতরও অধিক কর্মকর্তা দায়িত্ব পালন করবেন। ময়দানে ফায়ার কন্ট্রোল রুম স্থাপন করা হয়েছে।
মাসলেহাল জামাত : ইজতেমা ময়দানের ভান্ডার সংলগ্নস্থানে বরাবরের মতো এবারও মাসলেহাল জামাতের কামরা স্থাপনা করা হয়েছে। ময়দানে আগত কোনো মুসলির মৃত্যু হলে সেখানে মৃত ব্যক্তির গোসল দেয়া ও কাফন দাফনের ব্যবস্থা করা হয়। মাসলেহাল জামাতের মুরুব্বিরা মৃতের নাম ঠিকানা সংগ্রহ করে নিজ এলাকায় পাঠানো ব্যবস্থা করে থাকেন।
ময়দানে সুপেয় পানির ব্যবস্থা : ময়দানে আগত মুসলিল্লদের ওজু গোসলসহ অন্যান্য কাজে প্রতিদিন প্রায় সাড়ে ৪ কোটি লিটার পানির প্রয়োজন হয়। সে জন্য পূর্বের স্থাপন করা ১৪টি গভীর নলকূপের পাশাপাশি এবার জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের পক্ষ থেকে ময়দানে নতুন করে ১হাজার ফুট গভীর ২টি নলকূপ স্থাপন করা হয়েছে।
অস্থায়ী দোকানপাট ও অবৈধ বস্তি উচ্ছেদ : ইজতেমা উপলক্ষে ময়দানের চারপাশের অবৈধভাবে গড়ে তোলা দোকানপাট ও বস্তি ইতিমধ্যে উচ্ছেদ করা হয়েছে। এছাড়াও ময়দানের চারপাশে দেয়াল ও রাস্তার মোড়ে লাগানো অশ্লীল পোস্টার-ব্যানার, সাইনবোর্ড অপসারণ করা হয়েছে।
ইজতেমায় ট্র্রেন ও বাস সার্ভিস : ইজতেমা উপলক্ষে বিশেষ ট্র্রেন চলাচলের ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। ঢাকা-টঙ্গী, ময়মনসিংহ-টঙ্গী ও টাঙ্গাইল-টঙ্গী রুটে ১৩টি অতিরিক্ত ট্রেন পরিচালিত হবে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন টঙ্গী রেলওয়ে স্টেশন মাস্টার রাকিবুর রহমান। তিনি আরও বলেন শুক্রবার জুমার দিন স্পেশাল ট্রেন চলাচল করবে। এই রুটে চলাচলরত প্রতিটি ট্রেন ইজতেমা চলাকালীন সময়ে টঙ্গী রেলওয়ে জংশনে যাত্রা বিরতি করবে। এছাড়াও ইজতেমা উপলক্ষে ১২ জানুয়ারি থেকে ১৬ জানুয়ারি পর্যন্ত ৫দিন বিআরটিসি’র পক্ষ থেকে ৩শ’টি বিশেষ বাস চালু থাকবে। প্রগতিসরনি, আশুলিয়া বাইপাস এবং গাজীপুর চৌরাস্তা থেকে বিমানবন্দর পর্যন্ত সাটল বাস চালু থাকবে। আখেরী মোনাজাতের পর মুসল্লিদের বিভিন্ন জেলায় পৌছে দেয়ার জন্য একতলা বিশেষ বাস পরিষেবা চালু থাকবে। বিদেশি মেহমানদের জন্য একটি স্টীকারযুক্ত এসি বাস বিমানবন্দর থেকে ইজতেমা ময়দান পর্যন্ত নিয়মিত চলাচল করবে।
উল্লেখ্য, ১৩ জানুয়ারি শুরু হয়ে ১৫ জানুয়ারি রোববার আখেরি মোনাজাতের মধ্যদিয়ে প্রথম পর্বের (আলমি শূরার) বিশ্ব ইজতেমার সমাপ্তি ঘটবে। মাঝে ৪ দিন বিরতি দিয়ে ২০ জানুয়ারি দিল্লির নিজামুদ্দিন মারকাযের অনুসারী (ওয়াসিফুল ইসলামপন্থী) মুসল্বিলরা বিশ্ব ইজতেমার দ্বিতীয়পর্বে অংশ নেবেন। ২২ জানুয়ারি আখেরি মোনাজাতের মাধ্যমে এবারের বিশ্ব ইজতেমার সমাপ্তি ঘটবে।
বিশ্ব ইজতেমা উপলক্ষে গাড়ি পার্কিং ও ডাইভারশন সংক্রান্তে ডিএমপির নির্দেশনা : মুসলিম বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম ধর্মীয় সমাবেশ ঐতিহাসিক বিশ্ব ইজতেমা। বিশ্বের বিভিন্ন দেশের সম্মানিত মুসল্লীবৃন্দসহ দেশের বিভিন্ন অ ল থেকে কযেক লক্ষাধিক ধর্মপ্রাণ মানুষ বিশ্ব ইজতেমায় সমবেত হন। ধর্মীয় জমায়েত নির্বিঘœ করতে ইতোমধ্যে বিশ্ব ইজতেমা ২ (দুই) পর্বে সম্পন্ন করার সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছে। এ বিপুল সংখ্যক ধর্মপ্রাণ মানুষের যাতায়াত নির্বিঘœ করতে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ যানবাহন পার্কিংয়ের জন্য নিম্নোক্ত স্থানসমূহ নির্ধারণ করেছে ।
গাড়ি পার্কিং সংক্রান্ত তথ্যাদি : ১। খিলক্ষেত হতে আদুল্লাহপুর হয়ে ধউর ব্রীজ পর্যন্ত রাস্তার দু-পার্শ্বে কোন যানবাহন পার্কিং করা যাবে না।
২। ইজতেমায় আগত সম্মানিত মুসল্লীদের যানবাহনসমূহ নিম্নবর্ণিত স্থানসমূহে (বিভাগ অনুযায়ী) যথাযথভাবে পার্কিং করবেন।
ক) ঢাকা ও চট্টগ্রাম বিভাগ পার্কিং : ১৬ নং সেক্টর এলাকাধীন বিজিএমইএ ভবন, ১০ নং, ১১ নং ৫ নং ব্রিজের ঢালে।
খ) সিলেট বিভাগ পার্কিং : উত্তরা ১৫ নং সেক্টর ২নং ব্রিজের ঢাল হতে উলোদাহা মাঠ পর্যন্ত।
গ) খুলনা বিভাগ পার্কিং : উত্তরাস্থ ১৭ এবং ১৮ নং সেক্টরের খালি জায়গা (বউবাজার মাঠ)।
ঘ) রংপুর, রাজশাহী ও ময়মনসিংহ বিভাগ পার্কিং : প্রত্যাশা হাউজিং।
ঙ) বরিশাল বিভাগ পার্কিং : ধউর ব্রিজ ক্রসিং সংলগ্ন বিআইডবিউটিএ ল্যান্ডিং স্টেশন।
চ) ঢাকা মহানগরী পার্কিং : ৩০০ ফিট রাস্তা এলাকায় খালি জায়গা।
৩। নির্ধারিত পার্কিং স্থানে মুসল্লীবাহী যানবাহন পার্কিংয়ের সময় অবশ্যই গাড়ির চালক/হেলপার গাড়িতে অবস্থান করবেন এবং মালিক ও চালক একে অপরের মোবাইল নম্বর নিয়ে রাখবেন যাতে বিশেষ প্রয়োজনে তাৎক্ষণিকভাবে পারস্পরিক যোগাযোগ করা যায়।
ডাইভারশন সংক্রান্ত তথ্যাদি :
৪। ডাইভারশন পয়েন্টসমূহ : (শুধুমাত্র আখেরী মোনাজাতের দিন অর্থাৎ আগামী ১৫ জানুয়ারি, ২০২৩ ইং. ও ২২ জানুয়ারি, ২০২৩ ইং ভোর ০৪.০০ টা থেকে) ধউর ব্রীজ, ১৮ নং সেক্টর প বটী ক্রসিং,পদ্মা ইউলুপ, ১২ নং সেক্টর খালপাড়, মহাখালী ক্রসিং, হোটেল রেডিসন বø-ক্রসিং, প্রগতি স্বরনী (বিশ্বরোড), কুড়াতলী ফ্লাইওভার লুপ-২, মহাখালী ফ্লাইওভার পশ্চিম পার্শ্ব, মিরপুর দিয়াবাড়ী বাসস্ট্যান্ড ক্রসিং, আশুলিয়া বাজার ক্রসিং।
৫। ডাইভারশন চলাকালীন : আখেরী মোনাজাতের পূর্ব রাত অর্থাৎ ১৪/০১/২০১৩ ইং ও ২১/০১/২০২৩ ইং দিবাগত রাত্র ০২.০০ ঘটিকা হতে আন্ত:জেলা বাস, ট্রাক, কভার্ডভ্যান ও অন্যান্য ভারী যানবাহনসমূহ আব্দুল্লাহপুর, ধউর ব্রীজ মোড় পরিহার করে মহাখালী-বিজয় স্বরনী-গাবতলী হয়ে চলাচল করবে। আগুলিয়া হতে আব্দল্লাহপুরগামী যানবাহনসমূহ আব্দুল্লাহপুর না এসে ধউর ব্রিজ ক্রসিং দিয়ে ডানে মোড়- নিয়ে মিরপুর বেড়িবাঁধ দিয়ে চলাচল করবে। মহাখালী বাসটার্মিনাল হতে আব্দুল্লাহপুরগামী আন্ত:জেলা বাস, ট্রাক, কাভার্ডভ্যানসহ সকল প্রকার যানবাহন মহাখালী ক্রসিং-এ বামে মোড় নিয়ে বিজয় স্বরণী-গাবতলী দিয়ে চলাচল করবে। কাকলী ও মিরপুর হতে উত্তরাগামী বড় বাস, ট্রাক, কাভার্ডভ্যান সমূহকে হোটেল র‍্যাডিসন গ্যাপে ডাইভারশন প্রদান করা হবে। উল্লেখিত যানবাহন সমূহকে বিকল্প সড়ক ব্যবহারের জন্য বলা হয়েছে। আখেরী মোনাজাত অর্থাৎ ১৫/০১/২০২৩ইং এবং ২২/০১/২০২৩ইং. ভোর ০৪.০০ ঘটিকা হতে প্রগতি কাকলী ও মিরপুর হতে উত্তরাগামী প্রাইভেটকার, মাইক্রোবাস, সিএনজি সমূহকে নিকুঞ্জ-১ গেটের সামনে ডাইভারশন প্রদান করা হবে। উল্লেখিত যানবাহন সমূহকে বিকল্প সড়ক ব্যবহারের জন্য বলা হলো। প্রগতি স্মরণী হতে আব্দুল্লাহপুরগামী যানবাহন সমূহকে কুড়িল ফ্লাইওভারের নিচে লুপ-২ এ ডাইভারশন প্রদান করা হবে। উল্লেখিত যানবাহন সমূহকে বিকল্প সড়ক ব্যবহারের জন্য বলা হয়েছে। আগামী ১৫/০১/২০২৩ ইং. ও ২২/০১/২০২৩ ইং. তারিখে উত্তরার বাসিন্দা, বিমান যাত্রী ও বিমান ক্রু বহনকারী যানবাহন, ফায়ার সার্ভিসের গাড়ী, আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর গাড়ী ও এ্যাম্বুলেন্স ব্যতিত সকল প্রকার যানবাহনের চালকগণকে বিমানবন্দর সড়ক পরিহার করে বিকল্প হিসেবে মহাখালী, বিজয় স্বরণী হয়ে মিরপুর-গাবতলী সড়ক ব্যবহার করার জন্য অনুরোধ করা হলো।
বিদেশগামী যাত্রীদের বিমানবন্দরে আনা-নেয়ার জন্য আখেরী মোনাজাতের দিন অর্থাৎ আগামী ১৫/০১/২০১৩ ইং. ও আগামী ২২/০১/২০২৩ ইং. ট্রাফিক-উত্তরা বিভাগের ব্যবস্থাপনায় ১টি বড় মাইক্রোবাস পদ্মা ইউলুপ, ২টি মিনিবাস নিকুঞ্জ-১ আবাসিক এলাকার গেইটে এবং ১টি বড় মাইক্রোবাস কুড়াতলী লুপ-২ এ ফ্রি পরিবহন সার্ভিসের জন্য ভোর ০৪.০০ ঘটিকা হতে মোতায়েন থাকবে।
ট্রাফিক সম্পর্কিত যে কোন তথ্যের জন্য প্রয়োজনে : উপ-পুলিশ কমিশনার (ট্রাফিক-উত্তরা): ০১৩২০-০৪৩৯৪০,অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার (ট্রাফিক-উত্তরা): ০১৩২০-০৪৩৪১,সহকারী পুলিশ কমিশনার (ট্রাফিক-উত্তরা পূর্ব জোন): ০১৩২০-০৪৩৯৫২,সহকারী পুলিশ কমিশনার (ট্রাফিক-উত্তরা পশ্চিম জোন): ০১৩২০-০৪৩৯৫৫,সহকারী পুলিশ কমিশনার (ট্রাফিক-উত্তরা এয়ারটপোর্ট জোন): ০১৩২০-০৪৩৯৫৮,ট্রাফিক-উত্তরা বিভাগের পুলিশ পরিদর্শক (প্রশাসন): ০১৩২০-০৪৩৯৭৩,টিআই (আব্দুল্লাহপুর): ০১৩২০-০৪৩৯৬৮,টিআই (কামার পাড়া): ০১৩২০-০৪৩৯৭১, টিআই (ধউর ব্রীজ): ০১৩২০-০৪৩৯৭০, টিআই (বিমানবন্দর): ০১৩২০-০৪৩৯৬২ ও ট্রাফিক কন্ট্রোল রুম: ০১৭১১-০০০৯৯০, ০১৭০৭-৮০৬১১১, ০১৭০৭-৮০৬২২২, ০১৭০৭-৮০৬৮৮৮। এছাড়া, পুলিশি সহায়তার জন্য কল করতে পারেন জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯-এ। ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের ট্রাফিক বিভাগ বিশ্ব ইজতেমা উপলক্ষে যানবাহন চলাচলে শৃঙ্খলা রক্ষা ও যানজট এড়ানোর লক্ষ্যে সম্মানিত ধর্মপ্রাণ নাগরিকবৃন্দের সর্বাত্মক সহযোগিতা কামনা করছেন। ময়দানের আশপাশের রাস্তায় রং-বেরংয়ের দৃষ্টিনন্দন সড়কবাতি শোভা পাচ্ছে। আগত মুসল্লীদের নিরাপত্তা নিশ্চিতে ময়দানের চারপাশে বৃহস্পতিবার দুপুর ২টা থেকে আইনশৃংখলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা অবস্থান নিয়েছেন বলে নিশ্চিত করেছেন পশ্চিম থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. শাহ আলম। এদিকে বিশ্ব ইজতেমাকে সামনে রেখে টঙ্গী সরকারি হাসপাতালে কর্মরত সকল চিকিৎসক, কর্মকর্তা ও কর্মচারিদের সকল ধরনের ছুটি বাতিল করা হয়েছে। ময়দানে পানি সংকট নিরসনে নতুন গভীর নলকূপ স্থাপন করা হয়েছে। এছাড়াও ইজতেমা উপলক্ষে বিশেষ ট্রেন, বাস, ফায়ার সার্ভিস, ট্রাফিক পুলিশ, বিদ্যুৎ, তিতাস গ্যাস কর্তৃপক্ষ ব্যাপক প্রস্তুতি হাতে নিয়েছে।

More News...

আ.লীগের এমপি হতে চান অপু বিশ্বাস

ডেঙ্গুতে একদিনে ২৪ জনের মৃত্যু