যশোর প্রতিনিধি : যশোরের বেনাপোল মহসড়কে, ঝিকরগাছায় রোড ডিভাইডারে বেড়েই চলেছে সড়ক দুর্ঘটনা যশোর-বেনাপোল মহাসড়কের ঝিকরগাছার লাউজনি লেভেলক্রসিংয়ে বাংলাদেশ রেলওয়ের নির্মিত সরু রোড ডিভাইডারের কারণে প্রতিনিয়ত যানবাহন দুর্ঘটনার শিকার হচ্ছে। ভুক্তভোগীরা সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সহযোগিতা কামনা করেছে।
সোমবার পুলিশি উদ্যোগে রিফল্যাক্টিং স্টিকারের ব্যবস্থা করা হয়েছে। বেনাপোল দেশের বৃহত্তম স্থলবন্দর হওয়ার কারণে এটি দেশের অন্যতম ব্যস্ততম মহাসড়ক। পরিবেশবাদীদের বাধার কারণে এই রাস্তাটি প্রয়োজনের তুলনায় যথেষ্ট সরু হয়ে গেছে। গত ডিসেম্বর মাসেই লাউজানি লেভেলক্রসিংয়ে সাতটি মারাত্মক দুর্ঘটনা ঘটেছে। আর নতুন বছরে এক সপ্তাহে ঘটেছে দুটি মারাত্মক ট্রাক দুর্ঘটনা। প্রতিনিয়ত দুর্ঘটনার ফলে জানমালের ব্যাপক ক্ষতি হচ্ছে।
রবিবার (৮ জানুয়ারি) রাত ১টায় ঘন কুয়াশার কারণে একটি কাভার্ডভ্যান ডিভাইডারে ধাক্কা খেয়ে রাস্তায় উল্টে গেছে। প্রতিনিয়ত এরূপ দুর্ঘটনা থেকে রেহাই পেতে দুর্ঘটনাকবলিত ভারতীয় পণ্যবাহী ট্রাক ড্রাইভার জানান, রোড ডিভাইডারের স্থানটি আরো আধুনিক করা দরকার। তবেই দুর্ঘটনা কমবে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে বাংলাদেশ রেলওয়ের (রাজশাহীর) নির্বাহী প্রকৌশলী নাজিব কায়সার বলেন, আমিও ঘটনাস্থলে দুর্ঘটনাকবলিত গাড়ি দেখেছি। তবে রাতে কুয়াশার কারণে দুর্ঘটনা বেশি ঘটছে। দুর্ঘটনাটা রোধে আমরা প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করবো। ডিভাইডার তুলে দেয়ার কোনো পরিকল্পনা নেই।এদিকে একই স্থানে দুর্ঘটনা ঘটার কারণে ঝিকরগাছা থানার অফিসার ইনচার্জ সুমন ভক্তের উদ্যোগে আজ সোমবার ডিভাইডারে রিফল্যাক্টিং স্টিকার লাগানো হয়েছে।এ সময় সেখানে উপস্থিত নাভারণ সার্কেল এএসপি নিশাত আল নাহিয়ান বলেন, আমরা ডিভাইডারে স্টিকার লাগিয়ে চালকদের দৃষ্টি আকর্ষণ করার চেষ্টা করছি। এ ব্যাপারে আরো পদক্ষেপ গ্রহণ করার জন্য ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সাথে কথা বলবেন বলে তিনি জানান।