কেসিসি মনোগ্রাম সম্বলিত স্টীকার মটর সাইকেলসহ বিভিন্ন গাড়িতে ব্যবহৃত হচ্ছে যত্রতত্র

কেসিসি মনোগ্রাম সম্বলিত স্টীকার মটর সাইকেলসহ বিভিন্ন গাড়িতে ব্যবহৃত হচ্ছে যত্রতত্র

খুলনা প্রতিনিধি : খুলনা সিটি কর্পোরেশনের (কেসিসি) মনোগ্রাম সম্বলিত স্টীকার মটর সাইকেলসহ বিভিন্ন যন্ত্রচালিত গাড়িতে ব্যবহৃত হচ্ছে যত্রতত্র। এ স্টীকার ব্যবহারের ক্ষেত্রে কোন নীতিমালা না থাকায় এ অপব্যবহার বাড়ছে। এতে করে অসাধু একটি মহল এ স্টীকার ব্যবহার করে অবৈধ মটর সাইকেল সড়কে ব্যবহার করে সুবিধা ভোগ করছে।

সড়কে বের হলেই চোখে পড়বে কেসিসির মনোগ্রাম সম্বলিত স্টীকার লাগানো মটর সাইকেল। স্টীকার ব্যবহৃত বড় একটি অংশ মটর স্ইাকেলের কোন বৈধ কাগজপত্র নেই। পুলিশী হয়রানী থেকে বাঁচতে চক্রটি এ পথ বেছে নিয়েছে বলে কেউ কেউ মনে করেন। কারণ হিসেবে একজন কর্মচারি নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, বিগত মেয়র মোঃ মনিরুজ্জামানের সময় ট্রাফিক পুলিশ কেসিসির মনোগ্রাম সম্বলিত স্টীকার লাগানো মটর সাইকেল পেলেও বৈধতা খুঁজতো। কাগজপত্র না থাকায় কেসিসির স্টাফদেও ব্যবহৃত নিজস্ব মটর সাইকেলের বিরুদ্ধে ট্রাফিক পুরিশ ওই সময় একাধিক মামলা দেয়ার রেকর্ড আছে। পুলিশী হয়রানী থেকে বাঁচতে ওই মেয়রের আমলে কাগজপত্র ছাড়া কর্মচারিরা মটর সাইকেল রাস্তায় বের করতে চাইতো না। কিন্তু মেয়র তালুকদার ক্ষমতায় আসার পর পুলিশ তার অবস্থান থেকে সরে এসেছেন।

ট্রাফিক পুরিশ মেয়রের প্রতি সম্মান দেখিয়ে তার অধিনস্থ কর্মকর্তা ও কর্মচারির অবৈধ মটর সাইকেল আটক করছেন না। এ সুবাধে অসাধু চক্রটি কেসিসির মনোগ্রাম সম্বলিত স্টীকার মটর সাইকেলে ব্যবহার কওে অনৈতিক সুবিধা ভোগ করছে বলে সংশ্লিষ্ট একটি সূত্র জানায়। ওই সূত্র মতে, কেসিসির একজন মহিলা ঠিকাদার তার ব্যবহৃত মটর সাইকেলে কেসিসির মনোগ্রাম সম্বলিত স্টীকার লাগিয়ে চলাচল করছেন।

একজন কাউন্সিলর অবৈধ একটি মটর সাইকেলে কেসিসির মনোগ্রাম সম্বলিত স্টীকার লাগিয়ে তিনি নিজে চলছেন। পাশাপাশি তার কর্মচারিরা ব্যবহার করছেন। একজন কাউন্সিলরের চাচাতো ভাই প্রাইভেট কারে কেসিসির মনোগ্রাম সম্বলিত স্টীকার লাগিয়ে ধাপিয়ে বেড়াচ্ছেন। একজন কর্মচারি চোরাই মটর সাইকেলে কেসিসির মনোগ্রাম সম্বলিত স্টীকার লাগিয়ে নিয়মিত অফিস করছেন। কিন্তু এসব চালকদের পথ চলতে কোন সমস্যা হচ্ছে না।

কেসিসির সচিব মোঃ আজমুল হক বলেন, মেয়র, চীফ, সচিবসহ হাতে গোনা কয়েকজন গাড়ি বা মটর সাইকেলে কেসিসির মনোগ্রাম সম্বলিত স্টীকার ব্যবহার করতে পারেন। আর কেউ পারেন না। এ ব্যাপারে নীতিমালা থাকা উচিত বলে তিনি মনে করেন।

সুশাসনের জন্য নাগরিক সুজন জেলা কমিটির সম্পাদক এড. কুদরত ই খুদা বলেন, কোন সংস্থারই মনোগ্রাম সম্বলিত স্টীকার গাড়িতে ব্যবহার ঠিক নয়। এ প্রাক্টিস অনৈতিক সুবিধা নেয়ার কৌশল মাত্র। এ ব্যাপারে কেসিসিকে আরো সর্তক হওয়ার উচিত। এই সাথে গাড়ীতে স্টীকার ব্যবহারে বিধি নিষেধ আরোপ করা উচিত। পাশাপাশি পুলিশ প্রশাসনকে এ ব্যাপারে কঠোর পদক্ষেপ নেয়া উচিত। বিষয়টি পুলিশকে আরো কঠোরভাবে দেখা দরকার। তা না হলে স্টীকার ব্যবহার করে অবৈধ সুবিধাভোগীদের পার পেয়ে যাচ্ছে। তারা অবৈধ সুবিধা ভোগ করতে আরো উৎসাহিত হচ্ছে। এখনই এদের লাগাম টেনে ধরা উচিত।

খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশের উপ পুলিশ কমিশনার (ট্রাফিক) মনিরা সুলতানা জানান, অবৈধ মটর সাইকেলে কেসিসির স্টীকার লাগিয়ে পার পেয়ে যাওয়ার রেকর্ড নেই। তারপরও অভিযোগ এসেছে তাই তিনি বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে দেখবেন বলে আশ্বাস্ত করেন।

More News...

আ.লীগের এমপি হতে চান অপু বিশ্বাস

বিস্ফোরণে উড়ে গেল পুলিশের কব্জি, রণক্ষেত্র গাজীপুর