ডমিঙ্গোর সঙ্গে চুক্তির মেয়াদ বাড়ানোর কারণ জানালেন পাপন

ডমিঙ্গোর সঙ্গে চুক্তির মেয়াদ বাড়ানোর কারণ জানালেন পাপন

ক্রীড়া প্রতিবেদক : টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের আগেই রাসেল ডমিঙ্গোর সঙ্গে নতুন চুক্তি সম্পন্ন করেছিল বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। বৈশ্বিক আসরটিতে দলের ভরাডুবিতে প্রোটিয়া এই কোচের কোচিং নিয়ে প্রশ্ন ওঠার পরও তাকে চাইলে বরখাস্ত করতে পারছে না বোর্ড। কারণ তার চুক্তি অনুযায়ী এক বছর আগে তাকে চাকরিচ্যুত করতে হলে দিতে হবে ওই বছরের পুরো পারিশ্রমিক।

বাংলাদেশ দলের পারফরম্যান্সের কোনো প্রকার উন্নতির দেখা মিলছে না। কিন্তু এমন কঠিন পরিস্থিতির পরও তাকে রাখা না রাখা নিয়ে আলাদা করে ভাবতে হচ্ছে বিসিবিকে। কিন্তু তাড়াহুড়ো করে ঠিক কী কারণে বিশ্বকাপের আগেই তার সঙ্গে চুক্তির মেয়াদ বাড়ানো হলো তা স্পষ্ট করেছেন বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন।

আজ শনিবার বিকেলে মিরপুরে ঢাকা টেস্টের প্রথমদিনের খেলা শেষে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন বিসিবি সভাপতি। এ সময় ডমিঙ্গোকে নিয়ে একাধিকবার প্রশ্ন করা হলেও সে বিষয়ে খোলাসা কোনো উত্তর দেননি বিসিবি সভাপতি। তবে এখনো তিনি দলের সঙ্গেই আছেন বলে জানান পাপন।

কী কারণে বিশ্বকাপের আগে আগেই ডমিঙ্গোর সঙ্গে চুক্তির মেয়াদ বাড়ানো হয়েছিল তা নিয়ে পাপন বলেন, ‘বিশ্বকাপ শুরুর ঠিক আগ মুহূর্তে রাসেল ডোমিঙ্গো আমাদের কাছে লিখিতভাবে জানায় যে তার একটা ভালো প্রস্তাব আছে। ও (ডমিঙ্গো) জানতে চাচ্ছিলো যে আমরা তাকে টেনে নেব নাকি নেব না? যদি আমরা তাকে এক্সটেন্ড করি তাহলে সে থাকবে। আর যদি না করি তবে সে ওই ঝুঁকির মধ্যে থাকবে না। সে ওই জায়গায় কমিটমেন্ট দিয়ে দেবে।’

ডমিঙ্গোর এমন দাবির মধ্যে বিপাকে পড়ে বিসিবি। তাড়াহুড়ো করে ভালো কোচও পায়নি জানিয়ে বিসিবি সভাপতি বলেন, ‘এরকম একটা পরিস্থিতি ছিলো আরকি। আমরা অনেক খোঁজাখুঁজি করেছিলাম, যতটুকু সম্ভব আরকি। এরপর একটা সিদ্ধান্তে পৌঁছাই যে এ সময়ে আমরা কোনো কোচ পাবো না। আর যদি পাইও বিশ্বকাপের পরপর একজন নতুন কোচ আনবো কিনা এ নিয়ে দ্বিধায় ছিলাম। আমরা যাদের খুঁজছিলাম তাদের মধ্যে বেশিরভাগই আগামী টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ পর্যন্ত চুক্তিবদ্ধ। এসব বিষয় চিন্তা করে বোর্ড সেসময় সিদ্ধান্ত নেয় তার মেয়াদ বাড়ানোর।’

কোচের সঙ্গে ক্রিকেটারদের দূরত্ব নিয়ে গণমাধ্যম থেকে শুরু করে সব জায়গায় আলোচনা হচ্ছে। বিষয়টি অবগত আছেন বিসিবি প্রধানও। তিনি বলেন, ‘কোচের সঙ্গে দূরত্ব, মনোমালিন্য আপনারা যেমন জানেন আমিও তেমন জানি। কিন্তু এটা আসল জায়গা থেকে বলতে হবে। তা না হলে লাভ নেই। শোনা যায় অনেক কিছু। কিন্তু আসল জায়গা থেকে যদি না বের হয় তাহলে কোনো লাভ নেই। অধৈর্য হওয়ার কিছু নেই। আমাদের হাতে জানুয়ারি মাসটা আছে। এ মাস পর আমরা যা যা সিদ্ধান্ত নেওয়ার নেব।’

More News...

সল্টের ‘কালবৈশাখী ঝড়ে’ নববর্ষ বরণ কলকাতার

নেইমার পেলেন বড় সুখবর