ঢাকা টেস্টে অভিষেক হচ্ছে জয়ের?

ঢাকা টেস্টে অভিষেক হচ্ছে জয়ের?

ক্রীড়া প্রতিবেদক : বেশ কয়েক মাস ধরে ইনজুরিতে তামিম ইকবাল। এই ওপেনার না থাকায় ওপেনিং জুটিতে বেশ কয়েকজনকে দিয়ে পরীক্ষা চালিয়েছে টিম ম্যানেজমেন্ট। কিন্তু ফল আশানুরূপ হয়নি। টেস্টে সাদমান ইসলামের বিপরীতে বেশ কয়েকবার ওপেনিংয়ের সুযোগ পেয়েও নিজেকে মেলে ধরতে পারেননি সাইফ হাসান। এই ব্যাটারের ব্যর্থতার পর আবারও এই জায়গা নিয়ে নতুন করে ভাবছে টিম ম্যানেজমেন্ট।

পাকিস্তানের বিপক্ষে টেস্ট স্কোয়াডে ডাক পান মাহমুদুল হাসান জয়। অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপজয়ী এই ব্যাটার ঘরোয়া ক্রিকেটে তিন নম্বরে ব্যাট করে থাকলেও তাকে দলে নেওয়া হয় ব্যাকআপ ওপেনার হিসেবে। প্রথম ম্যাচের আগেও অধিনায়ক মুমিনুল হক জানিয়েছিলেন, জয় খেললে ওপেনার হিসেবেই খেলবে। অবশ্য সেই টেস্টে জয় খেলেননি, খেলেছিলেন সাইফ।

চট্টগ্রাম টেস্টের আগে দুদিন অনুশীলনে জয়কে নিয়ে প্রচুর কাজ করেন ব্যাটিং কোচ অ্যাশলে প্রিন্স। যদিও ওই টেস্টে জয়কে একাদশে দেখা যায়নি। দ্বিতীয় টেস্টের আগেও এই ব্যাটারকে নিয়ে বেশ কাজ করেছেন প্রোটিয়া এই কোচ। এবার সাইফ হাসান টাইফয়েডে আক্রান্ত হওয়াতে এই ব্যাটারের সুযোগ মিলতে পারে। এমনটাই আভাস দিয়ে রেখেছেন অধিনায়ক।

ম্যাচের আগের দিন সংবাদ সম্মেলনে দলের ওপেনিং কম্বিনেশন নিয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘ওপেনিং কম্বিনেশন ডান হাতি বাঁ হাতি হতে পারে। হয়তো দুজনই হতে পারেন বাহাতি। তবে ডান-বাম হওয়ারই চান্স বেশি।’

যেহেতু সাইফ হাসান নেই, সেহেতু সাদমানের বিপরীতে জয়েরই একাদশে সুযোগ পাওয়ার সম্ভাবনা বেশি। ব্যাকআপ হিসেবে নাঈম শেখকে ডাকা হলেও নানা বিতর্ক এবং এই ব্যাটারের সবশেষ জাতীয় লিগের পারফর‌ম্যান্স বিবেচনায় তার একাদশে আসার সম্ভাবনা ক্ষীণ।

প্রথম শ্রেণি অভিষেক হওয়ার পর বাংলাদেশ ইমার্জিং দলের হয়ে চলতি বছর আয়ারল্যান্ড উলভসের বিপক্ষে খেলেছিলেন জয়। এখনো পর্যন্ত এই ব্যাটার খেলেছেন ছয়টি প্রথম শ্রেণির ম্যাচ, রান করেছেন ৪৬ গড়ে ৪৬০। দুই সেঞ্চুরির সঙ্গে আছে এক ফিফটি। দুটি সেঞ্চুরিই সদ্য সমাপ্ত জাতীয় ক্রিকেট লিগে (এনসিএল) চট্টগ্রাম বিভাগের হয়ে।

More News...

সোনার দাম আবার বাড়লো, ভরি ১ লাখ ১৯ হাজার ৪২৮ টাকা

ওবায়দুল কাদেরের মস্তিষ্ক অলস-হৃদয় দুর্বল : রিজভী