আবারও মুমিনুল বাহিনীর ভাগ্য মুশফিক-লিটনের হাতে!

আবারও মুমিনুল বাহিনীর ভাগ্য মুশফিক-লিটনের হাতে!
স্পোর্টস ডেস্ক : পরপর তিনদিন প্রথম ঘণ্টা তথা সকালের সেশনে ছড়ি ঘোরালেন বোলাররা। প্রথম দু’দিন পাকিস্তানের শাহিন শাহ আফ্রিদি আর হাসান আলি। তাদের ফাস্ট বোলিং তোড় সামলাতে পারেনি মুমিনুলের দল। আর আজ রোববার তৃতীয় দিনের প্রথম সেশনের নায়ক বাংলাদেশের বাঁ-হাতি স্পিনার তাইজুল। তার স্পিন ঘূর্ণিতে বেসামাল পাকিস্তানীরা।

এখন প্রশ্ন হলো আগামীকাল চতুর্থ দিনের প্রথম সেশনে কী হবে? পাকিস্তানী ফাস্টবোলাররা আবার বল হাতে আগুন ঝরাবেন? আগের ৩ দিনের মত চতুর্থ দিনের প্রথম সেশনটিও হবে বোলারদের?

এ ম্যাচে নিজেদের অস্তিত্ব ধরে রাখার পাশাপাশি সম্ভাবনা জিইয়ে রাখতে সোমবারের সকালটি দাঁতে দাঁত চেপে লড়াই-সংগ্রাম করে উইকেটে টিকে থাকা ছাড়া পথ নেই হবে মুশফিক, ইয়াসির আলী, লিটন দাস আর মিরাজ- তাইজুলদের।

তারা কী তা পারবেন? প্রথম ইনিংসে লিটন আর মুশফিকের ২০৬ রানের দীর্ঘ পার্টনারাশিপে কেটেছিল শুরুর বিপর্যয়? এবার দ্বিতীয় ইনিংসে অমন একটি কিংবা অন্তত দেড়শো রানের একটি জুটি হলেও সম্ভাবনার প্রদীপ জেলে থাকবে মুমিনুলদের।

লিটন দাসের অনবদ্য শতরান (১১৪), মুশফিকের লড়াকু ৯২ আর বাঁ-হাতি স্পিনার তাইজুলের ৭ উইকেট- এ ম্যাচে টাইগারদের বড় অর্জন। যার ফলশ্রুতিতে এখনো লড়াইয়ে টিকে আছে মুমিনুল বাহিনী। স্বাগতিকদের শেষ পরিণতি কী? তা অনেকটাই জানা যাবে কাল সকালের সেশনে।

আজ পড়ন্ত বিকেলে দ্বিতীয় ইনিংসের শুরুতে আবার সেই ভাঙ্গাচোরা অবস্থা টাইগারদের। ২৫ রানে ৪ ফ্রন্টলাইনার সাদমান, সাইফ, শান্ত আর অধিনায়ক মুমিনুল সাজঘরে। মুশফিক আর ইয়াসির আলী প্রাণপন লড়াই চালিয়ে যাচ্ছেন।

এখন চতুর্থ দিন সকালে তারা সে লড়াই অব্যাহত রাখতে পারলেই কেবল জিইয়ে থাকবে জয়ের আশা। অন্যথায় বালির বাঁধের মত ভেঙ্গে পড়বে সব প্রতিরোধ।

আগের দিন ৫৭ ওভারেও একটি উইকেটের পতন ঘটেনি। দুই পাকিস্তানি ওপেনার আবিদ আলি আর আব্দুল্লাহ শফিক ১৪৫ রানের অবিচ্ছিন্ন জুটি গড়লে রাজ্যের হতাশা এসে ভর করে সমর্থকদের মনে; কিন্তু আজ সে হতাশা কেটে গেছে।

আজ রোববার তাইজুল-মিরাজ আর এবাদত চোখে আঙ্গুল দিয়ে দেখিয়ে দিয়েছেন একটুখানি উইকেটের সহায়তা পেলে পাকিস্তানের এই দলটির ব্যাটিং মেরুদণ্ড ভেঙ্গে দেয়া সম্ভব। তাইজুলের স্পিন জাদুতে তৃতীয় দিন ৫৮.৪ ওভারে ১৪১ রানে ১০ উইকেট খোয়া গেছে পাকিস্তানিদের।

চতুর্থ দিন শেষ সেশন আর পঞ্চম ও শেষ দিন এই উইকেটে দাঁড়িয়ে থাকা এবং স্বচ্ছন্দে রান করা হবে আরও কঠিন।

তার মানে পাকিস্তানিদের আড়াইশোর মত টার্গেট দিতে পারলেই একটা চ্যালেঞ্জ ছোঁড়া যাবে। ব্যাটাররা কী শেষ পর্যন্ত সে চ্যালেঞ্জ ছুড়তে পারবেন?

More News...

সল্টের ‘কালবৈশাখী ঝড়ে’ নববর্ষ বরণ কলকাতার

নেইমার পেলেন বড় সুখবর