তবে খবরটি মোটামুটি ভুয়া। মুশফিককে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেয়া হয়নি। জাগোনিউজেই প্রকাশ হয়েছে, মুশফিকের সঙ্গে আলোচনার জন্যই তাকে বিসিবিতে ডাকা হয়েছে। সেটা অবশ্যই, মিডিয়াতে দেয়া বক্তব্যের বিষয়েই।
আকরাম খান জাগো নিউজকে জানিয়েছেন, ‘মূলতঃ তিনটি বিষয়ে মুশফিকের সঙ্গে কথা হয়েছে। প্রথমটি হলো, মুশফিককে বলা হয়েছে এটা ছিল (টি-টোয়েন্টিতে বিশ্রাম দেয়া নাকি বাদ দেয়া) স্রেফ ভুল বোঝাবুঝি। দ্বিতীয় ব্যাপার হলো, নির্বাকরা কখনো কোনো প্রেস কনফারেন্স কিংবা মিডিয়া- কোথাও বলেনি যে, তুমি (মুশফিক) টি-টোয়েন্টি খেলতে চাওনি। সব কিছু বাদ দিয়ে মুশফিককে টেস্টে মনযোগী হওয়ার পরামর্শ দেয়া হয়েছে।’
মূলতঃ টি-টোয়েন্টি থেকে বাদ পড়ার পর মিডিয়ায় মুশফিক যে কথা বলেছেন, সে সব বিষয় নিয়েই মুশফিকের সঙ্গে কথা বলেছেন আকরাম। বিসিবি থেকে বুঝিয়ে দেয়া হয়েছে, আগামীতে মুশফিক মিডিয়ার সাথে যেন রয়ে-সয়ে বা সমজে কথা বলা বলেন। সে পরামর্শই জাতীয় দলের এই ব্যাপারকে দিয়েছেন আকরাম।
প্রসঙ্গতঃ বিশ্বকাপে ব্যর্থতার পর বাংলাদেশ টি-টোয়েন্টি দলে ব্যাপক পরিবর্তন আনা হয়। সে হিসেবে মুশফিককেও দল থেকে বাদ দেয়া হয়। যদিও প্রধান নির্বাচক মিনহাজুল আবেদিন নান্নু দাবি করেছেন, মুশফিককে বাদ নয়, বিশ্রাম দেয়া হয়েছে। কিন্তু কয়েকটি মিডিয়ার সঙ্গে সাক্ষাৎকারে মুশফিক দাবি করেন, তাকে বিশ্রাম নয়, বাদ দেয়া হয়েছে। আর বাদ পড়েছেন ধরে নিয়েই তিনি ফেরার জন্য অনুশীলন করছেন। এছাড়া মুশফিক দাবি করেন, নির্বাচকরা নাকি বলেছেন, তিনি নিজেই টি-টোয়েন্টি খেলতে চাননি।
পাকিস্তানের বিপক্ষে টেস্ট খেলার জন্য, আকরাম খানের সঙ্গে কথা বলেই মুশফিক চট্টগ্রামের উদ্দেশ্যে রওয়ানা হয়েছেন বলে জানা গেছে। কারণ, টি-টোয়েন্টির বাইরে যারা টেস্ট দলে রয়েছে, চট্টগ্রামে তাদের অনুশীলন শুরু হয়েছে।