খালেদা জিয়ার লিভার কিডনির জটিলতা বৃদ্ধি

খালেদা জিয়ার লিভার কিডনির জটিলতা বৃদ্ধি

নিজস্ব প্রতিবেদক : রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালের সিসিইউতে চিকিৎসাধীন বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার লিভার ও কিডনির জটিলতা বেড়েছে। লিভারের সমস্যা নির্ণয়ে ফ্লুইড (তরল) নেওয়া হয়েছে। কিডনিও ঠিকভাবে কাজ করছে না। হার্টের সমস্যাও ভোগাচ্ছে। বিএনপির একটি সূত্র জানিয়েছে, লিভারের ফ্লুইড পরীক্ষার রিপোর্ট পেলে চিকিৎসা শুরু হবে।

গত শনিবার থেকে এভারকেয়ার হাসপাতালের সিসিইউতে চিকিৎসাধীন খালেদা জিয়া। এর আগে বৃহস্পতিবার তাকে বিদেশে নিয়ে উন্নত চিকিৎসা গ্রহণের সুযোগ দিতে পরিবারের পক্ষ থেকে আবেদন জানান তার ভাই শামীম এস্কান্দার। এ বিষয়ে গতকাল মঙ্গলবার জাতীয় সংসদে আইনমন্ত্রী বলেন, খালেদা জিয়া আবার জেলে গিয়ে চিকিৎসার জন্য বিদেশ যাওয়ার আবেদন করলে তা বিবেচনা করা হবে। এখন যে অবস্থায় আছেন তাতে আবেদন নতুন করে বিবেচনার কোনো সুযোগ নেই। আবেদনটি ইতোমধ্যে নিষ্পত্তি হয়ে গেছে। নিষ্পত্তিকৃত দরখাস্তের ওপর আর কোনো পদক্ষেপ নেওয়া যাবে না।

বিএনপির একটি সূত্র জানিয়েছে, খালেদা জিয়াকে বিদেশে চিকিৎসা করাতে সরকারের সঙ্গে বিএনপির যোগাযোগ হচ্ছে। বিএনপি চেয়ারপারসনের এক কর্মকর্তার সঙ্গে সরকারসংশ্লিষ্ট কয়েকজন কর্মকর্তার আলোচনা হয়েছে। বিএনপি গ্রহণযোগ্য একটি প্রক্রিয়ায় তাদের চেয়ারপারসনকে বিদেশ পাঠাতে রাজি আছে।

মানবিক কারণে অনুমতির আহ্বান ‘শত নাগরিক’র

মানবিক কারণে খালেদা জিয়াকে বিদেশে উন্নত চিকিৎসা গ্রহণের অনুমতি দিতে সরকারের প্রতি অনুরোধ জানিয়েছে বিএনপি সমর্থিত বিশিষ্টজনদের সংগঠন ‘শত নাগরিক’। বিএনপি চেয়ারপারসনের অবস্থা ‘প্রায় সংকটাপন্ন’ উল্লেখ করে গতকাল মঙ্গলবার শত নাগরিক-এর এক বিবৃতিতে বলা হয়, ‘সরকারের কাছে আমাদের সনির্বন্ধ অনুরোধ, সব প্রকার প্রতিহিংসাপরায়ণতা, সংকীর্ণ দল ও ব্যক্তিস্বার্থ পরিহার করে সম্পূর্ণ মানবিক কারণে জনগণের প্রিয় নেত্রীকে যত দ্রুত সম্ভব, অত্যাধুনিক চিকিৎসা নেওয়ার জন্য বিদেশে যাওয়ার অনুমতি দিন। এতে আরও বলা হয়, ‘আমরা প্রত্যাশা করি, সরকারের মধ্যে কল্যাণ ও মঙ্গলবোধ জেগে উঠবে। সত্যিকারের দায়িত্বশীলতার সঙ্গে শুভ চেতনার পরিচয় দিয়ে সাবেক এ প্রধানমন্ত্রীর বিদেশযাত্রার ব্যবস্থা নেবে। যে কোনো ধরনের বিলম্ব ও অজুহাত বড় বিপর্যয় ডেকে আনতে পারে বলে আমাদের আশঙ্কা। যা কারও জন্যই ভালো বার্তা বহন করবে না।’

অধ্যাপক আনোয়ারউল্লাহ চৌধুরী, অধ্যাপক এসএমএ ফায়েজ, অধ্যাপক মাহবুব উল্লাহ, অধ্যাপক জেডএম তাহমিদা বেগম, অধ্যাপক ওয়াকিল আহমদ, অধ্যাপক মনসুর মুসা, অধ্যাপক আবদুল কুদ্দুস, কবি আবদুল হাই শিকদার, অধ্যাপক ওবায়েদুল ইসলাম, অধ্যাপক লুতফর রহমান, অধ্যাপক আবদুর রহমান সিদ্দিকী, অধ্যাপক রেজাউল করিম, অধ্যাপক ইফতেখারুল আলম মাসুদ, অধ্যাপক মজাদ্দেদী আল ফেসানী, অধ্যাপক কামরুল আহসান, অধ্যাপক গোলাম হাফিজ কেনেডী, অধ্যাপক ফরহাদ হালিম ডোনার এ বিবৃতি দেন।

More News...

পৃথিবীর বৃহত্তম দুর্নীতিতে বিজেপি: ভারতের অর্থমন্ত্রীর স্বামীর মন্তব্য

খালেদা জিয়া গুরুতর অসুস্থ: মির্জা ফখরুল