শীতকালীন অসুখ-বিসুখ প্রতিরোধে যা করবেন

শীতকালীন অসুখ-বিসুখ প্রতিরোধে যা করবেন

অনলাইন ডেস্ক : শীতে অসুখ-বিসুখ লেগেই থাকে। এ সময় ঠান্ডা -কাশি, শ্বাসকষ্ট, নাক বন্ধ, নাক দিয়ে পানি পড়া ইত্যাদি রোগে অনেকেই আক্রান্ত হয়। শীতের দিনের এমন কিছু স্বাস্থ্য সমস্যার কারণ ও তার প্রতিকার রইলো-

ঠান্ডা ও খুসখুসে কাশি

শীতের শীতল হাওয়া আমাদের অনেকের ঠান্ডা-কাশি গ্রাস করে, নাক দিয়ে পানি পড়া শুরু করে। এ সমস্যার মূল কারণ হলো অদৃশ্যমান হাতের জীবাণু, সাধারণত যা ভাইরাসঘটিত।

করণীয়

– নিয়মিত সাবান দিয়ে সঠিক উপায়ে হাত ধুতে হবে। হাতের নখ ছোট ও পরিষ্কার রাখতে হবে।

– রুমালের পরিবর্তে টিস্যু ব্যবহার করতে হবে, যাতে একবার ব্যবহার করার পর তা ফেলে দেওয়া যায়।

– খালি পায়ে হাঁটার অভ্যাস বাদ দিন

– তাৎক্ষণিকভাবে খুসখুসে কাশি দূর করার জন্য এক গ্লাস হালকা গরম পানিতে এক চা চামচ লবণ দিয়ে কুলকুচি করা যেতে পারে।

হাঁপানি ও অন্যান্য শ্বাসকষ্ট

শৈত্যপ্রবাহ হাঁপানি রোগীদের শ্বাসকষ্ট বহুগুণে বাড়িয়ে দেয়। এ জন্য সব সময় সতর্ক থাকতে হবে ।

এ ছাড়া ঠান্ডা ও ধুলোবালি এড়িয়ে চলার চেষ্টা করতে হবে।

করণীয়

– তীব্র শীতে শ্বাসকষ্টের রোগীদের বাসায় থাকাই শ্রেয়। খুব প্রয়োজনে মাফলার ও মুখে মাস্ক দিয়ে নাক-মুখ ঢেকে বের হওয়া উচিত।

– ধুলোবালু, ধোঁয়া, কার্পেট, গৃহপালিত পশুপাখি বাদ দিয়ে চলতে হবে।

– শ্বাসকষ্ট কমানোর ওষুধ ইনহেলার, নেবুলাইজেশনসহ ডাক্তারের নির্দেশ মোতাবেক অন্যান্য প্রয়োজনীয় ওষুধ হাতের নাগালে রাখতে হবে।

– যারা বারবার তীব্র শ্বাসকষ্টে ভোগেন, তারা ভ্যাকসিন নিতে পারেন।

হৃদ্‌রোগ

বয়স্ক ও হৃদ্‌রোগে ঝুঁকিপূর্ণ ব্যক্তিদের শীতকালে হৃদ্‌রোগের প্রকোপ বেড়ে যেতে পারে। এর কারণ হিসেবে বলা হয়, অতিরিক্ত ঠান্ডায় মানুষের রক্তচাপ স্বাভাবিকের চেয়ে বেড়ে যায় এবং হৃদ্‌যন্ত্রকে এই উচ্চ রক্তচাপের বিপক্ষে কাজ করতে হয়।

সমস্যায় করণীয়

– শীতে নিয়ম করে ওষুধ খেতে হবে।

– ঘরের তাপমাত্রা নিম্নে ১৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস রাখার চেষ্টা করতে হবে। প্রয়োজনবোধে রুম হিটার, ইলেকট্রিক কম্বল ব্যবহার করতে হবে।

– বাইরে বের হওয়ার সময় পর্যাপ্ত পরিমাণ শীতবস্ত্র পরিধান করে বের হতে হবে।

– অতিরিক্ত ঠান্ডা জাতীয় খাবার খাওয়া বাদ দিতে হবে।

হাত-পায়ের রক্ত চলাচলে বাধা

কারও কারও অতিরিক্ত শীতে শরীরের শিরা-উপশিরাগুলো সংকুচিত হয়ে হাত-পায়ের দূরবর্তী স্থানে রক্ত চলাচল বাধাপ্রাপ্ত হয়। ফলে হাত-পায়ের বর্ণ পরিবর্তনসহ তীব্র ব্যথা অনুভূত হয়।

করণীয়

হাতমোজা, পা-মোজা ব্যবহারের অভ্যাস করতে হবে।

– নেশাজাতীয় দ্রব্য ও ধূমপান বর্জন করতে হবে।

– বারবার হলে ডাক্তারের কাছে যেতে হবে।

ডা. আইভি আক্তার সম্পা

এমবিসিএস, পিজিটি (মেডিসিন) সিসিডি

ডিএসইউ মেডিকেল অফিসার

আনোয়ার খান মডার্ন মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল

More News...

হার্ট অকেজো হওয়ার কারণ জানলে অবাক হবেন –

চার বছরে যক্ষ্মামুক্ত ৭ হাজার রোগী