গানটি লিখেছেন ঢাকার অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ কেশব রায় চৌধুরী, আর সুর ও সংগীতায়োজন করেছেন কিশোর দাশ। গানটিতে কণ্ঠ দিয়েছেন দুই বাংলার জনপ্রিয় কণ্ঠশিল্পী কুমার বিশ্বজিৎ, রূপঙ্কর বাগচী, ইমন চক্রবর্তী, পিন্টু ঘোষ, চন্দন সিনহা, অবন্তী সিঁথি, বাঁধন সরকার পূজা, সুকন্যা মজুমদার ও কিশোর দাশ। গানটির মিউজিক ভিডিও নির্মাণ করেছেন হালের জনপ্রিয় নির্মাতা চন্দন রায় চৌধুরী।
গানটি প্রসঙ্গে কণ্ঠশিল্পী এবং গানছবি এন্টারটেইনমেন্টের কর্ণধার কুমার বিশ্বজিৎ বলেন, কলকাতায় দুর্গাপূজা নিয়ে প্রতিবছরই অনেক গান হয়, সে তুলনায় বাংলাদেশে তেমন একটা হয় না। আর আদিকাল থেকে আমরা যেভাবে দুর্গা প্রতিমার সঙ্গে শিব, লক্ষ্মী, সরস্বতী, গণেশ ও কার্তিকের প্রতিমাকে একসঙ্গে পূজা করি, দুই বাংলা মিলিয়েই এভাবে সবাইকে নিয়ে এ যাবৎকালে কোনো গান রচিত হয়নি, যেটা কেশব রায় চৌধুরী বেশ প্রাসঙ্গিকভাবে নিয়ে এসেছেন এ গানে। তাছাড়া গানটিতে কালে কালে দেবী দুর্গার নব নব রূপে ধরাধামে আগমনের বিষয়টিও স্পষ্টভাবে প্রতিফলিত হয়েছে।
গানটির সুর এবং তাল প্রসঙ্গে তিনি বলেন, কিশোর দাশ বরাবরই ভালো সুর এবং সংগীতায়োজন করে থাকেন এবং এই গানটিতেও তিনি চমৎকার সুরারোপ করেছেন৷
তিনি আরও যোগ করেন, পূজা-উৎসবের বেলায় যে তালের গান আবশ্যক হয় সেই ঝুমুর তালেই ঢাক, শঙ্খ, কাঁসা আর সানাইয়ের সমন্বয়ে সংগীতায়োজনটি করা হয়েছে। আর গানটির চিত্রায়ন প্রসঙ্গে তিনি বলেন, গানটির চিত্রায়নে গুণী নির্মাতা চন্দন রায় চৌধুরী দুর্গাপূজার যে চিরায়ত প্রথা বা ঐতিহ্য রয়েছে সেটিকে সুনিপুণভাবে ফুটিয়ে তুলেছেন। আমার বিশ্বাস দুই বাংলার দুর্গাপূজা উৎসবেই গানটি একটি আইকনিক গান হয়ে উঠতে পারে।
গানটি প্রসঙ্গে কলকাতার কণ্ঠশিল্পী রূপঙ্কর বাগচী বলেন, গানটিতে দুই বাংলার শিল্পীদের নিয়ে যেভাবে কথার গাঁথুনি, সুর আর সংগীতায়োজনের মাধ্যমে দেবী দুর্গার আরাধনা করা হয়েছে, তা শ্রোতাদের মন কাড়বে বলে আমি নিশ্চিত।