অনলাইন ডেস্ক : ক্রেন থেকে দড়ি দিয়ে ঝোলানো তিনটি মৃতদেহ। গুলিতে ঝাঁঝরা, ক্ষতবিক্ষত। অভিযোগ, আফগানিস্তানের হেরাত প্রদেশের একটি বাড়িতে হামলা চালিয়েছিলেন ওই তিন জন। তাই তালেবান প্রশাসন তাদের মৃত্যুদণ্ডের সাজা দিয়েছে!
ফায়ারিং স্কোয়াডে নিয়ে গিয়ে গুলি করে হত্যা এবং তারপর ক্রেনে ঝোলানো পর্যন্ত সবই হয়েছে হেরাতের ডেপুটি গভর্নর মৌলানা আহমেদ মুহাজিরের তত্ত্বাবধানে।
মুহাজিরের দাবি, লুঠপাটের উদ্দেশে হামলা চালিয়েছিল ওই তিন জন। তাই এমন সাজা। হেরাতের ওবে জেলার ওই ঘটনার ভিডিও প্রকাশ্যে আসার পরে ফের তৈরি হয়েছে বিতর্ক।
নব্বইয়ের দশকে (১৯৯৬-২০০১ মেয়াদে) মোল্লা মোহাম্মদ ওমরের নেতৃত্বাধীন তালেবান শাসনে আফগানিস্তানে ‘অপরাধীদের’ প্রকাশ্যে সাজা দেওয়ার ঘটনা ঘটত প্রায়শই। সে সময় দেশটির একাধিক স্টেডিয়ামকে বধ্যভূমিতে পরিণত করা হয়েছিল। এবার মোল্লা আখুন্দজাদার অনুগামীরাও এক পদ্ধতি অনুসরণ করছেন বলে অভিযোগ।
সপ্তাহ দুয়েক আগেও অপহরণে জড়িত থাকার অভিযোগে হেরাতে চারজনকে প্রকাশ্যে গুলি করে হত্যা করে তালেবান। পরে মৃতদেহগুলো একই কায়দায় ক্রেনে ঝুলিয়ে দেওয়া হয়।
সম্প্রতি তালেবানের অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা মোল্লা নুরউদ্দিন তুরাবি জানিয়েছেন, দ্বিতীয় দফার তালেবান শাসনেও চুরি-ডাকাতির মতো অপরাধের শাস্তি হিসেবে অপরাধীদের একটি হাত বা একটি পা কেটে দেওয়ার রীতি বজায় থাকবে।
