সিলেট-৩ উপনির্বাচন: বেশিরভাগ কেন্দ্রই ফাঁকা

সিলেট-৩ উপনির্বাচন: বেশিরভাগ কেন্দ্রই ফাঁকা

নিজস্ব প্রতিবেদক
ভোটগ্রহণ চলছে। তবে প্রথমবারের মতো এ আসনে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনে (ইভিএম) ভোট গ্রহণ করা হলেও কেন্দ্রগুলোতে ভোটারদের তেমন জটলা নেই। শনিবার (৪ সেপ্টেম্বর) সকাল ৮টায় এ ভোটগ্রহণ শুরু হয়েছে। চলবে বিকেল ৪টা পর্যন্ত।
সকাল থেকে ভোটগ্রহণের শুরুতে কয়েকটি কেন্দ্রে ভোটারদের মোটামুটি উপস্থিতি থাকলেও বেশিরভাগ কেন্দ্র প্রায় ফাঁকা দেখা গেছে। তবে যেসব কেন্দ্রে ভোটার উপস্থিতি আছে সেগুলোতে পুরুষের চেয়ে নারী ভোটার বেশি ছিল। এছাড়া কেন্দ্রে কেন্দ্রে দায়িত্ব পালন করছেন আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পর্যাপ্ত সংখ্যক সদস্য।
সকাল সাড়ে ৮টায় ও পৌনে ৯টার দিকে দক্ষিণ সুরমা উপজেলার পূর্বভাগ সরকারি মডেল প্রাথমিক বিদ্যালয় ও হাজী মোহাম্মদ রাজা উচ্চবিদ্যালয় কেন্দ্রে গিয়ে ভোটারের দেখা মেলেনি। তবে বেলা বাড়ার পর হাতেগোনা কিছু ভোটার কেন্দ্রে গিয়ে প্রথমবারের মতো ইভিএম মেশিনে নিজেদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করেন।
সকাল সোয়া ৮টায় ভোট দেন এই নির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী হাবিবুর রহমান হাবিব। তিনি তার নিজ কেন্দ্র দক্ষিণ সুরমার কামালবাজারের ধরগাঁও সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ভোট দেন। এসময় সঙ্গে ছিলেন তার সহধর্মিণী ও দলীয় নেতাকর্মীরা। এছাড়াও অন্যান্য প্রার্থীরা নিজ নিজ কেন্দ্রে ভোট দিয়েছেন।
সিলেট-৩ আসনে উপ-নির্বাচনে চারজন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। তারা হলেন- আওয়ামী লীগের প্রার্থী যুক্তরাজ্য প্রবাসী হাবিবুর রহমান হাবিব (নৌকা), জাতীয় পার্টির আতিকুর রহমান আতিক (লাঙ্গল), বিএনপির বহিষ্কৃত প্রার্থী শফি আহমদ চৌধুরী (মোটরগাড়ি) এবং বাংলাদেশ কংগ্রেসের প্রার্থী যুক্তরাজ্য প্রবাসী জুনায়েদ মোহাম্মদ মিয়া (ডাব)।
সিলেট আঞ্চলিক নির্বাচন অফিস সূত্রে জানা যায়, দক্ষিণ সুরমা, ফেঞ্চুগঞ্জ ও বালাগঞ্জ উপজেলার ভোটকেন্দ্রগুলোতে পর্যাপ্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। এসব কেন্দ্রে পুলিশ, আনসার ও গ্রাম পুলিশের ১৭ থেকে ১৮ জন সদস্য দায়িত্ব পালন করছেন। আর গুরুত্বপূর্ণ কেন্দ্রে নিয়োজিত রয়েছেন আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ১৮ থেকে ১৯ জন করে সদস্য। এছাড়া পুলিশ, এপিবিএন ও ব্যাটালিয়ন আনসারের সমন্বয়ে গঠিত ২১টি মোবাইল ফোর্স, ১২টি স্ট্রাইকিং ফোর্স, র‌্যাবের ১২টি টহল টিম ও ১২ প্লাটুন বিজিবি নিরাপত্তার দায়িত্বে রয়েছে। যে কোনো অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা মোকাবিলায় বিজিবির সঙ্গে ২১ জন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট দায়িত্ব পালন করছেন। তাদের মনিটরিং করছেন তিনজন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক।
সিলেটের দক্ষিণ সুরমা, ফেঞ্চুগঞ্জ ও বালাগঞ্জ উপজেলা নিয়ে গঠিত সিলেট-৩ আসনটিতে মোট ভোটার তিন লাখ ৫২ হাজার ও ভোটকেন্দ্র ১৪৯টি। গত ১১ মার্চ করোনায় সংসদ সদস্য আওয়ামী লীগ নেতা মাহমুদ উস সামাদ চৌধুরী করোনা আক্রান্ত হয়ে মারা গেলে আসনটি শূন্য হয়। তফসিল অনুযায়ী গত ২৮ জুলাই এই আসনের উপ-নির্বাচন হওয়ার কথা থাকলেও করোনা পরিস্থিতি বিবেচনায় এর দুইদিন আগে ভোটগ্রহণ স্থগিত ঘোষণা করেন আদালত। পরবর্তীকালে নির্বাচন কমিশন ৪ সেপ্টেম্বর ভোটগ্রহণের দিন নির্ধারণ করে।

 

More News...

৪ মে থেকে বাড়ছে ট্রেনের ভাড়া

তীব্র তাপপ্রবাহ হাসপাতালগুলোতে জরুরি রোগী ছাড়া ভর্তি না করার নির্দেশ