বাংলাদেশের রুদ্ধশ্বাস জয়

বাংলাদেশের রুদ্ধশ্বাস জয়

অনলাইন ডেস্ক : শেষ ওভারে জয়ের জন্য নিউজিল্যান্ডের দরকার ছিল ২০ রান। সেই ব্যবধান এক বলে নেমে আসে ৬ রানে। চেষ্টা করেও কিউইদের জেতাতে পারেননি টম লাথাম।

মোস্তাফিজুর রহমানের করা ইনিংসের শেষ বলে বাউন্ডারি হাঁকাতে পারেননি নিউজিল্যান্ড অধিনায়ক-উইকেটরক্ষক। কিউইরা লেগ-বাই থেকে ২ রান নিলে শেষ বলে ৪ রানের রুদ্ধশ্বাস জয় পায় বাংলাদেশ। এই জয়ে পাঁচ টি-টোয়েন্টি সিরিজে ২-০ ব্যবধানে এগিয়ে গেল টাইগাররা।

বাংলাদেশের দেওয়া ১৪২ রানের জবাবে ৫ উইকেটে ১৩৭ রানে থামে নিউজিল্যান্ড। এর আগে বাংলাদেশ ৬ উইকেটে করে ১৪২ রান।

জয় এনে দিতে পারলে ম্যাচ সেরা হতে পারতেন লাথাম। সতীর্থদের ব্যর্থতার মাঝে একাই ব্যাট হাতে লড়াই করেছেন তিনি। তার অধিনায়কোচিত দায়িত্বে লড়াইটা শেষ ওভার পর্যন্ত নিয়ে যেতে পারে কিউইরা। আর তাতেই ছড়ালো রোমাঞ্চ। ২ বলে যখন ১৩ রান দরকার তখন নো-বল দিয়ে বসেন মোস্তাফিজ। সঙ্গে উইকেটের পেছনে লাথামের বুদ্ধিদীপ্ত চার। কিন্তু ভুল থেকে শিক্ষা নিয়ে পরের দুই বলে কিউইদের চার রান নিতে দিলেন ‘ফিজ’।

দ্বিতীয় উইকেটে ব্যাটিংয়ে নেমে কিউইদের লড়াইয়ে রাখেন লাথাম। কিন্তু টানা দ্বিতীয় হারে বিফলে গেল তার ৪৯ বলে ৬ চার ও ১ ছয়ে সাজানো অপরাজিত ৬৫ রানের ইনিংসটি।

শুরুতে ২ উইকেট হারানোর পর উইল ইয়ংকে (২২) নিয়ে কিউইদের রানের চাকা সচল রাখেন লাথাম। সেই জুটি ভেঙে বাংলাদেশ শিবিরে স্বস্তি আনেন সাকিব আল হাসান। তার আগে ওপেনার রাচিন রবিন্দ্রকে (১০) বোল্ড করে দলকে ব্রেক-থ্রু এনে দেন তিনি।

ইয়ংয়ের বিদায়ের পর মেহেদি হাসান নিজের দ্বিতীয় শিকার হিসেবে হেনরি নিকলসকে (৬) ফেরালে জয়ের সম্ভাবনা উজ্জ্বল হয়ে ওঠে বাংলাদেশের। শেষদিকে কোল ম্যাকঞ্চিকে (১৫) সঙ্গে নিয়ে চেষ্টা করেও দলকে জয়ের বন্দরে পৌঁছে দিতে পারেননি লাথাম।

এর আগে মিরপুর শেরে বাংলা স্টেডিয়ামে টসে জিতে ব্যাটিংয়ে নেমে শুরুটা ভালোই করে বাংলাদেশ। মোহাম্মদ নাঈম ও লিটন দাস ওপেনিং জুটিতে স্কোরবোর্ডে জমা করেন ৫৯ রান। কিন্তু ইনিংসের দশম ওভার করতে এসে পরপর দুই বলে লিটন ও মুশফিকুর রহিমকে সাজঘরে ফেরান রবিন্দ্র।

রবিন্দ্রের করা ওভারটা ছক্কা মেরে শুরু করেছিলেন লিটন। তবে তৃতীয় বলেই বোল্ড হন তিনি। লিটনের ২৯ বলে ৩৩ রানের ইনিংসটি সাজানো ছিল ৩ চার ও এক ছয়ে। এর পরের বলেই নিজের দ্বিতীয় শিকার হিসেবে মুশফিককে (০) সাজঘরে ফেরান রবিন্দ্র।

হঠাৎ দুই উইকেট হারানো বাংলাদেশের রানের চাকা ব্যাটিংয়ে নেমে সচল রাখার চেষ্টা করেন সাকিব। কিন্তু দারুণ শুরুর পর বেশিক্ষণ স্থায়ী হননি তিনি। ৭ বলে ২ চারে ১২ রান করে ম্যাকঞ্চিকে উইকেট উপহার দেন সাকিব।

রবিন্দ্র নিজের তৃতীয় শিকার হিসেবে ফেরান ৩৯ বলে ৩ চারে ৩৯ রান করা ওপেনার নাঈমকে। নাঈমের বিদায়ের পরপরই অ্যাজাজ প্যাটেলের বলে বিদায় নেন আফিফ হোসেন (৩)।

এরপর উইকেটরক্ষক নুরুল হাসান সোহানকে নিয়ে (১৩) নিয়ে বাংলাদেশকে লড়াকু ইনিংস এনে দেন মাহমুদউল্লাহ। টাইগার অধিনায়কের ৩২ বলে অপরাজিত ৩৭ রানের ইনিংসটি সাজানো ছিল ৫ চারে। শেষ উইকেট হিসেবে ইনিংসের শেষ বলে হামিশ বেনেটকে উইকেট উপহার দেন সোহান। বিরুদ্ধ পরিবেশে দাঁড়িয়ে দলকে লড়াকু পুঁজি এনে দেওয়ার জন্য ম্যাচ সেরাও হয়েছেন মাহমুদউল্লাহ।

More News...

পৃথিবীর বৃহত্তম দুর্নীতিতে বিজেপি: ভারতের অর্থমন্ত্রীর স্বামীর মন্তব্য

খালেদা জিয়া গুরুতর অসুস্থ: মির্জা ফখরুল