নাইক্ষ্যংছড়ির দুর্গম পাহাড়ে গোলাগুলিতে ১ সন্ত্রাসী নিহত, গুলিবিদ্ধ ৪ বিজিবি

নাইক্ষ্যংছড়ির দুর্গম পাহাড়ে গোলাগুলিতে ১ সন্ত্রাসী নিহত, গুলিবিদ্ধ ৪ বিজিবি

নাইক্ষ্যংছড়ি (বান্দরবান) প্রতিনিধি : নাইক্ষ্যংছড়ি সীমান্তে সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিজিবি) সঙ্গে সন্ত্রাসীদের দিনভর গোলাগুলি হয়েছে। আজ বুধবার হওয়া এ গোলাগুলিতে এক সন্ত্রাসী নিহত হয়েছে। আহত হয়েছেন বিজিবির একজন ক্যাপ্টেনসহ মোট চারজন।

গুলিবিদ্ধ বিজিবি ক্যাপ্টেন জাহিদকে হেলিকপ্টারে করে চট্টগ্রামের সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে আনা হয়। তাঁর পায়ে গুলি লেগেছে। গুলিবিদ্ধ সৈনিক নজরুল, ল্যান্স নায়েক আল আমিন ও সৈনিক রহিমকে হেলিকপ্টারে করে নিকটস্থ রামু সেনানিবাসের সামরিক হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।

গোলাগুলির সময় উভয় পক্ষে তিন শতাধিক গুলিবিনিময় হয়। বিজিবি বেশ কিছু মর্টার শেলও ব্যবহার করেছে।

নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলা সদরের অন্তত ১২ কিলোমিটার দূরের যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন পাহাড়ি জনপদ ও দুর্গম বাঁকখালী নদীর কামিখালের চাকপাড়া ও ত্রিপুরাপাড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

স্থানীয়রা জানান, কয়েক দিন ধরে পাহাড়ি সন্ত্রাসীদের আনাগোনা এবং অপহরণ আশঙ্কা দেখা দিলে বিজিবি টহলে নামে বাঁকখালী নদীর ছাগলখাইয়া, লংগদু ও কামিখাল এলাকায়। একপর্যায়ে গতকাল মঙ্গলবার সকালে বিজিবি খবর পায় সন্ত্রাসীরা কামিখাল এলাকায় অবস্থান করছে। আজ বুধবার ভোরে বিজিবি এলাকাটি চারদিক থেকে ঘেরাও করে ফেলে। সন্ত্রাসীরা পালিয়ে যাওয়ার সময় শুরু হয় গোলাগুলি। এ সময় পুরো এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। কৃষক ও কাঠুরিয়ারা পালিয়ে আশ্রয় নেন নিরাপদ জায়গায়।

বনে কাঠ কাটতে যাওয়া শফিক, জসিম ও ছব্বির আহমদ বলেন, ঘটনার সূত্রপাত মঙ্গলবার হলেও গোলাগুলির ঘটনা ঘটে বুধবার সকালে। সন্ত্রাসীরা বিজিবির উপস্থিতি টের পেয়ে এলোপাতাড়ি গুলি ছুড়তে শুরু করে। বিজিবি পাল্টা জবাব দেয়। এভাবে সারা দিন দফায় দফায় গোলাগুলি হয়। এতে সন্ত্রাসীদের একজন নিহত হলেও অনেকেই আহত হয়েছেন বলে জানিয়েছে বিজিবি। সন্ত্রাসীরা সংখ্যায় ৪০ থেকে ৫০ জন ছিল বলে জানায় বিজিবি।

১১-বিজিবি নাইক্ষ্যংছড়ি জোনের কর্মকর্তারা ঘটনার সত্যতা স্বীকার করলেও বিস্তারিত কিছু জানাননি।

More News...

ট্রেনে ঢাকায় ফিরছেন অনেকে, স্টেশনে ভিড়

দ্বীপ উন্নয়ন-কৃষি জমি সুরক্ষা আইন করতে সংসদকে হাইকোর্টের পরামর্শ