৭৫ সালে আ. লীগের শীর্ষ নেতারাই প্রতিবাদের ডাক দেয়নি: নানক

৭৫ সালে আ. লীগের শীর্ষ নেতারাই প্রতিবাদের ডাক দেয়নি: নানক

নিজস্ব প্রতিবেদক : ৭৫ সালে বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যার পরে আওয়ামী লীগের শীর্ষ নেতাদের কাছ থেকে প্রতিরোধ বা প্রতিবাদে ডাকা আসেনি বলে মন্তব্য করেছেন দলটির সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য অ্যাডভোকেট জাহাঙ্গীর কবির নানক।

তিনি বলেন, প্রতিবাদের ডাক আসেনি বলে সেই সময় খুনিদের বিরুদ্ধে সেসময় প্রতিরোধ গড়ে তোলা যায়নি।

শনিবার ঢাকা মহানগর দক্ষিণের ডেমরা থানা আওয়ামী লীগ আয়োজিত জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভায় তিনি এ কথা বলেন। এ সময় দোয়া মাহফিল ও ত্রাণ বিতরণ করা হয়।

বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমান পাকিস্তানের গুপ্তচর ছিলেন দাবি করে জাহাঙ্গীর কবির নানক বলেন, ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্টের মর্মান্তিক হত্যাকাণ্ড আমাদের জন্য চরম শিক্ষা। বঙ্গবন্ধুসহ তার পরিবারের নিহত সকল সদস্যদের প্রতি বিনম্র শ্রদ্ধা জানাই। আর এ শিক্ষা নিয়েই মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাসী দেশপ্রেমিকদের দলের কর্মী বানাতে হবে। তাহলেই একটি আদর্শ দল হিসেবে আওয়ামী লীগ পুনর্গঠন হবে।

তিনি বলেন, ৭৫ এর এ ঘটনা কেন ঘটল এটা খুঁজতে হলে ৭১ কে খুঁজতে হবে। জেনারেল জিয়া পাকিস্তানের গুপ্তচর হিসেবে মুক্তিযুদ্ধকে ধ্বংস করতে চেয়েছিলেন। কিন্তু ব্যর্থ জিয়া ও তার সকল সহযোগী স্বাধীনতা বিরোধীরা বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যার পরিকল্পনা করে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও তার বোন শেখ রেহানা বিদেশে থাকায় প্রাণে বেঁচে যায়। আজকে শেখ হাসিনা বেঁচে আছেন বলেই তার নেতৃত্বে বাংলাদেশ বিশ্বের দরবারে রোল মডেলের পরিচিতি পেয়েছে।

তিনি বলেন, বিএনপির নেত্রী বেগম খালেদা জিয়া, গোলাম আযম ও নিজামীর নেতৃত্বে ২১ আগস্ট শেখ হাসিনাকে হত্যার উদ্দেশে গ্রেনেড হামলা চালানো হয়েছিল।

সরকারকে পরাজিত করতে হবে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এমন বক্তব্যের সমালোচনা করে নানক বলেন, তারা আবারও এই ধরনের কর্মপরিকল্পনা করলে দাঁত ভাঙা জবাব দেওয়া হবে।

ডেমরা থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি রফিকুল ইসলাম মাসুদ এর সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় আরও বক্তব্য রাখেন ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মো. হুমায়ুন কবির, ঢাকা ৫ আসনের এমপি মনিরুল ইসলাম মনুসহ ওয়ার্ড এবং ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের নেতারা।

More News...

ওবায়দুল কাদেরের মস্তিষ্ক অলস-হৃদয় দুর্বল : রিজভী

বিএনপি বাঙালি সংস্কৃতিকে সহ্য করতে পারে না: কাদের