কক্সবাজারে রানওয়েতে বিমান ওঠা-নামার সময় দুপাশে থাকবে সাগরের জলরাশি

কক্সবাজারে রানওয়েতে বিমান ওঠা-নামার সময় দুপাশে থাকবে সাগরের জলরাশি

নিজস্ব প্রতিবেদক : কক্সবাজার পর্যটকদের কাছে সৌন্দর্যের অবারিত লীলাভূমি হিসেবে সুপরিচিত। এখানেই হতে যাচ্ছে দেশের সবচেয়ে বড় রানওয়ে।

রবিবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কক্সবাজার বিমানবন্দরের সম্প্রসারণ কর্মসূচির উদ্বোধন করবেন।

সোনাদিয়া দ্বীপের মহেশখালী চ্যানেলের কিছু অংশে এই কক্সবাজার বিমানবন্দরের রানওয়েটি কক্সবাজারের প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের সাথে যুক্ত করতে যাচ্ছে ভিন্নতর এক মাত্রা। রানওয়েতে যখন উড়োজাহাজ ওঠা-নামা করবে তখন দুপাশে দেখা যাবে চোখ ধাঁধানো বঙ্গোপসাগরের বিস্তৃত জলরাশি।

জানা যায়, দশ হাজার সাত শ ফুট দীর্ঘ এই রানওয়ের তেরো শ ফুট থাকবে সমুদ্রের ভেতরে। কক্সবাজার বিমানবন্দরের এই রানওয়েটির একটি অংশ থাকবে বঙ্গোপসাগরের ভেতরে।

মহেশখালী চ্যানেলের দিকে ভূমি অধিগ্রহণ করে রানওয়ের সম্প্রসারণ কাজ করা হবে। যে অংশ সমুদ্রের ভেতর জুড়ে হবে সেখানে পানিতে ব্লক, জিওটিউব ইত্যাদি ব্যবহার করে শুরুতেই একটি বাঁধের মতো তৈরি করা হবে। পরে ভেতরকার পানি সেচের মাধ্যমে বের করা হবে। তারপর গভীর সমুদ্র থেকে ড্রেজিং করে বালি দিয়ে ভরাট করা হবে। ভরাটের পর এই অংশটিতে ‘স্যান্ড পাইলিংয়ের মাধ্যমে রানওয়ের ভিত তৈরি করা হবে। সবশেষে পাথরের স্তর বসিয়ে পুরো রানওয়ে সিল করে দেওয়া হবে। এরপর হবে রানওয়ের শোভাবর্ধন ও নির্দেশক বাতি স্থাপনের কাজ।

তিন বছরের মধ্যে রানওয়ের সম্প্রসারণের কাজ শেষ করা হবে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ। কাজটির দায়িত্বে আছে দুটি চীনা প্রতিষ্ঠান। এ বছরের ৯ই ফেব্রুয়ারি সরকার প্রতিষ্ঠান দুটির সঙ্গে চুক্তি স্বাক্ষর সম্পন্ন করে।

উল্লেখ্য, রানওয়েটি সম্প্রসারিত হলে এখানে বিশ্বের সবচেয়ে বড় যাত্রী বোঝাই উড়োজাহাজও ওঠা-নামা করতে পারবে। বিমানবন্দরটিতে দেশি-বিদেশি ফ্লাইট সংখ্যা যেমন বাড়বে তেমনি এই পর্যটনকেন্দ্রে দেশি-বিদেশি পর্যটকের আগ্রহও বাড়বে, এমনটাই আশা করা হচ্ছে।

More News...

ওবায়দুল কাদেরের মস্তিষ্ক অলস-হৃদয় দুর্বল : রিজভী

ট্রেনে ঢাকায় ফিরছেন অনেকে, স্টেশনে ভিড়