নিজস্ব প্রতিবেদক : মুহূর্তেই ভেঙে ফেলতেন গাড়ির লক, যে কোনো গাড়ি স্টার্ট দিতে পারে তাদের মাস্টার কি (চাবি) এবং গাড়ি শনাক্তের জিপিএস ট্র্যাকিং ডিভাইসও অকেজো করে ফেলতে পারে চক্রটি। গাড়ির চোর চক্রের পাঁচ সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)। আজ শনিবার দুপুরে রাজধানীর কারওয়ান বাজার র্যাব মিডিয়া সেন্টারে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান র্যাবের লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া উইংয়ের পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন।
গ্রেপ্তারকৃতরা হল-আজিম উদ্দিন, রফিক উল্লাহ, সেলিম, কামরুল হাসান ও ওমর ফারুক।
খন্দকার আল মঈন আরও জানান, চক্রটি দেশের বিভিন্ন এলাকা থেকে শতাধিক গাড়ি ছিনতাই ও চুরি করেছে। গাড়ি মালিককে ফিরিয়ে দেওয়ার বিনিময়ে অন্তত এক কোটি টাকা আদায় করেছে। তাদের কাছ থেকে ছিনতাই করা তিনটি পিকআপ, একটি সিএনজি, একটি পিস্তলসহ দেশীয় অস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে।
গাড়ির চুরির কৌশল হিসেবে তাঁরা বলেন, চক্রের কয়েকজন সদস্য ছদ্মবেশে গাড়ি সম্পর্কে তথ্য সংগ্রহ করে। তাদের তথ্যের ভিত্তিতে আরেকটি দল গাড়ি ছিনতাই কিংবা চুরি করে। চক্রে অভিজ্ঞ চালক ও মেকানিক থাকে। যাতে ছিনতাই বা চুরি করা গাড়ি নিয়ে দ্রুত পালিয়ে যেতে পারে। তারা মূলত ভাড়া করার গাড়ির চালককে চেতনানাশক মেশানো খাবার খাইয়ে গাড়ি নিয়ে পালিয়ে যেতো। সুযোগ বুঝে পার্কিং অবস্থায় গাড়ির লক ভেঙে নিয়ে যায় চক্রের সদস্যরা। পরের ধাপে সেসব গাড়ি ঢাকা, নারায়ণগঞ্জসহ বিভিন্ন এলাকায় লুকিয়ে রাখে। গাড়ির মালিকের সঙ্গে যোগাযোগ করে টাকা নিয়ে গাড়ি ফেরত দেয়। আবার কখনো গাড়ির রং পরিবর্তন করে কিংবা যন্ত্রাংশ খুলে বিক্রি করে।
তিনি আরও বলেন, গত ১১ আগস্ট রাজধানীর দারুস সালাম থেকে গাড়ি ছিনতাই চক্রের পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল। জিজ্ঞাসাবাদে তাদের কাছ থেকে প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতে নারায়ণগঞ্জ থেকে মূল হোতা আজিমসহ পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করা হয়। এ চক্রে ১৫-২০ জন জড়িত। রাজধানীসহ নারায়ণগঞ্জ, নরসিংদী, কুমিল্লা ও গাজীপুরের বিভিন্ন থানায় বেশ কয়েকটি মামলা রয়েছে। তারা বিভিন্ন মামলায় আটক হয়ে জেলে গিয়ে একে অপরের সঙ্গে পরিচয়ের মাধ্যমে চক্রের সদস্যের সংখ্যা বৃদ্ধি করে।