কাবুলে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ১১০, যুক্তরাষ্ট্রের প্রত্যাহার কার্যক্রম ফের শুরু

কাবুলে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ১১০, যুক্তরাষ্ট্রের প্রত্যাহার কার্যক্রম ফের শুরু

অনলাইন ডেস্ক : আফগানিস্তানের রাজধানী কাবুলের হামিদ কারজাই আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের বাইরে জোড়া বিস্ফোরণে নিহত বেড়ে ১১০ জনে দাঁড়িয়েছে। যাদের মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রের ১৩ জন সৈন্যও রয়েছে।

ওদিকে আরো হামলার আশঙ্কার মধ্যেই নিজেদের সৈন্য ও নাগরিক এবং তালেবান শাসন থেকে পালিয়ে যেতে চাওয়া আফগানদেরকে সরিয়ে নিতে ফের কাজ শুরু করছেন মার্কিন সেনারা।

আফগানিস্তানে থাকা নিজেদের টিমের বরাতে এই খবর দিয়েছে আল জাজিরা।

আল জাজিরার চার্লস স্ট্র্যাটফোর্ড, কাবুল থেকে রিপোর্ট করেছেন যে, যুক্তরাষ্ট্রের কাছে আশ্রয়প্রার্থী আফগানদের সরিয়ে নেওয়ার কাজ আবার শুরু হয়েছে।

তিনি বলেন, “আমরা দেখেছি বেশ কয়েকটি বিমান উড্ডয়ন করেছে। গতকাল থেকে বিমানবন্দরের আশেপাশের মানুষের সংখ্যা নাটকীয়ভাবে বেড়ে গিয়েছে। আমরা দেখেছি হাজার হাজার মানুষ সেখানে একটি প্রাচীরের উপর ঝাঁপিয়ে পড়ছে। তারা প্লেনে ওঠার জন্য মরিয়া হয়ে উঠেছে।”

ওদিকে বৃহস্পতিবারের হামলার দায় স্বীকার করে আইএসআইএল (আইএসআইএস) এর আফগান শাখা আইএসকেপি (আইএসআইএস-কে) বলেছে যে, তারা মূলত “আমেরিকান সেনাবাহিনী এবং তাদের আফগান সহযোগী ও অনুবাদকদের” টার্গেট করে ওই আত্মঘাতি হামলা চালায়।

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন বলেছেন, হামলা সত্ত্বেও কাবুল থেকে লোকজনকে মার্কিন বিমানে করে সরিয়ে নেয়ার অভিযান অব্যাহত থাকবে।

বাইডেন বলেন, “আমাদেরকে এই অভিযান সম্পন্ন করতেই হবে এবং আমরা তা করবো”। তিনি হামলাকারীদের চিহ্নিত করে শাস্তি দেওয়ারও অঙ্গীকার করেন।

বাইডেন বলেন, “আমরা ক্ষমা করব না। আমরা ভুলবো না। আমরা তোমাদের খুঁজে বের করবো এবং এজন্য তোমাদের চরম মূল্য দিতে হবে।”

২০২০ সালের ফেব্রুয়ারির পর আফগানিস্তানে এই প্রথম মার্কিন সেনা হতাহতের ঘটনা ঘটলো।

গত ১৫ই অগাস্ট কাবুল তালেবানের দখলে চলে যাওয়ার পর সেখান থেকে এখন পর্যন্ত এক লাখেরও বেশি মানুষকে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে।

যুক্তরাষ্ট্র তাদের সেনাদের ৩১শে অগাস্টের মধ্যেই আফগানিস্তান থেকে সরিয়ে নেওয়ার সময়সীমা ঠিক করেছে। অনেক আফগানও এই সময়ের মধ্যে দেশ ছাড়তে বিমানবন্দরে ছুটে আসছেন।

জেনারেল ম্যাককেঞ্জি বলেন, এখনও আইসিস-কে-র কাছ থেকে বড় ধরণের হামলার হুমকি রয়েছে। এ ধরণের হামলা বন্ধে তালেবানদের সঙ্গে মার্কিন বাহিনী কাজ করে যাচ্ছে এবং তালেবান ইতিমধ্যেই অনেক হামলায় বাধা দিয়েছে।

কিন্তু ওই হামলার কারণে ৩১শে অগাস্ট সময়সীমার মধ্যে মার্কিনীদের প্রত্যাহারের অভিযান বেশ জটিল হয়ে পড়েছে।

বর্তমানে কাবুল বিমানবন্দরের মাটিতে ৫,৮০০ মার্কিন সৈন্য এবং আরও ১,০০০ ব্রিটিশ সৈন্য রয়েছেন।

এখন পর্যন্ত আফগানিস্তান থেকে এক লাখ চার হাজার বেসামরিক নাগরিককে সরিয়ে নেয়া হয়েছে। তার মধ্যে ৬৬,০০০ জনকে যুক্তরাষ্ট্রে এবং ৩৭,০০০ জনকে বিভিন্ন মিত্র এবং অংশীদার দেশে পাঠানো হয়েছে।

প্রায় ৫,০০০ মানুষ বিমানবন্দরে এখনও অপেক্ষা করছেন এবং আরও অনেকে তল্লাশি চৌকি পার হওয়ার চেষ্টা করছেন।

কানাডা, বেলজিয়াম, নেদারল্যান্ডস এবং ডেনমার্কসহ বেশ কয়েকটি দেশ ইতিমধ্যে তাদের কার্যক্রম বন্ধ করে দিয়েছে।

More News...

ওবায়দুল কাদেরের মস্তিষ্ক অলস-হৃদয় দুর্বল : রিজভী

ট্রেনে ঢাকায় ফিরছেন অনেকে, স্টেশনে ভিড়