নিজস্ব প্রতিবেদক : ঢাকাই চলচ্চিত্রের আলোচিত নায়িকা পরীমনিকে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে করা মামলায় তৃতীয় দফায় রিমান্ড শুনানির জন্য বৃহস্পতিবার কারাগার থেকে আদালতে হাজির করা হয়। অন্যদিনের মতো এদিনও তার সঙ্গে দেখা করতে আদালতে আসেন শতবর্ষী নানা শামসুল হক।
বৃহস্পতিবার ঢাকা মহানগর হাকিম আতিকুল ইসলাম শুনানি শেষে তৃতীয় দফায় এক দিনের রিমান্ডের আদেশ দেন।রিমান্ড মঞ্জুরের আদেশ দেওয়ার পর আইনজীবী আদালতে উপস্থিত নানা শামসুল হককে পরীমনির সঙ্গে দেখা করতে দেয়ার অনুমতি চান।
এসময় পরীমনি বিচারককে বলেন, ‘আমি আমার নানা ভাইয়ের সঙ্গে কথা বলতে চাই।’
বিচারক ৫ মিনিট কথা বলার অনুমতি দেওয়ার পর পরীমনির নানা কাঠগড়ার বাইরে থেকে তার সঙ্গে কথা বলেন। এ সময় পাশে ছিলেন পরীমনির খালাতো ভাই।
পরীমনি কান্না জড়ানো কণ্ঠে নানাকে বলেন, ‘নানা ভাই, তুমি এ শরীর নিয়ে কেন আসলা?’
উত্তরে নানা বলেন, ‘তোকে দেখার জন্য আসলাম। তুই হতাশ হইস না। তোর জন্য দেশবাসী আছে।’
পরীমনি বলেন, ‘তুমি এত চিন্তা করো না। শরীর আরও খারাপ করবে।’
নানার সঙ্গে কথা বলা শেষ করার পর পরীমনিকে কাঠগড়া থেকে নামিয়ে সিএমএম আদালতের সামনের রাস্তা দিয়ে হাজতখানায় নিয়ে যায়। তবে হাজতখানার সামনের রাস্তায় জটলার মধ্যে পরীমনি পড়ে যান। মিডিয়াকর্মীদের ব্যাপক উপস্থিতির জন্য পুলিশ দ্রুততার সঙ্গে তাকে নেওয়ার কারণেই মূলত পরিমনি পড়ে যান।
এর আগে আজ সকাল ৮টা ২৫ মিনিটে পরীমনিকে গাজীপুরের কাশিমপুর মহিলা কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে ঢাকা মহানগর হাকিম আদালতে হাজির করা হয়। এ সময় তাকে রাখা হয় আদালতের হাজতখানায়। এরপর রিমান্ড আবেদনের শুনানির জন্য বেলা সাড়ে ১১টার দিকে তাকে আদালতের কাঠগড়ায় নেওয়া হয়। কাঠগড়ায় উঠেই অঝোরে কাঁদতে থাকেন পরীমনি। বারবার তাকে হাত দিয়ে চোখের পানি মুছতে দেখা যায়।