তিস্তার তীররক্ষা বাঁধে ধস, ঝুঁকিতে মাদরাসাসহ শতাধিক ঘরবাড়ি

তিস্তার তীররক্ষা বাঁধে ধস, ঝুঁকিতে মাদরাসাসহ শতাধিক ঘরবাড়ি

নিজস্ব প্রতিবেদক : ভারী বর্ষণ ও উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে রংপুরের গঙ্গাচড়ায় তিস্তা নদীর ডান তীররক্ষা বাঁধের ব্লক-পিচিং ধসে গেছে। এতে ভাঙন ঝুঁকিতে মাদরাসা ও পোস্ট অফিসসহ প্রায় শতাধিক ঘরবাড়ি।

শুক্রবার (১৩ আগস্ট) রাত ৯টার দিকে উপজেলার কোলকোন্দ ইউনিয়নের সাউদপাড়ায় বাঁধের মার্জিনাল ডাইকের প্রায় ৫০ মিটার ব্লক-পিচিং ধসে যায়। ভাঙন ঠেকাতে শনিবার (১৪ আগস্ট) সকাল থেকে জিও ব্যাগ ফেলার কার্যক্রম শুরু করেছে পানি উন্নয়ন বোর্ড।

স্থানীয় সূত্র জানায়, গত কয়েকদিনের ভারী বর্ষণ ও পাহাড়ি ঢলে শুক্রবার সকাল থেকে তিস্তা নদীর পানি বৃদ্ধি পায়। এতে নদী অববাহিকার নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়। ওইদিন রাতে গঙ্গাচড়া উপজেলার কোলকোন্দ ইউনিয়নের সাউদপাড়ায় তিস্তা নদীর ডান তীররক্ষা বাঁধের মার্জিনাল ডাইকের প্রায় ৫০ মিটার ব্লক-পিচিং ধসে যায়।

অপরদিকে ওই ইউনিয়নের বিনবিনা চর থেকে লালমনিরহাটের তুষভান্ডার যাওয়া সড়কের ৫০ মিটার ভেঙে আশেপাশের এলাকা প্লাবিত হয়।

খবর পেয়ে শনিবার সকাল থেকে রংপুর পানি উন্নয়ন বোর্ড থেকে সাউদপাড়ায় ও বিনবিনা-তুষভান্ডার সড়কে জিও ব্যাগ ফেলার কার্যক্রম শুরু করে।

সাউদপাড়া ইসলামিয়া বহুমুখী আলিম মাদরাসার সহকারী শিক্ষক আসাদুল হক আনসারী জানান, ডান তীর রক্ষা বাঁধ ধস দেখা দিয়েছে। দ্রুত ভাঙন ঠেকানো না গেলে মাদরাসাসহ আশপাশের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান ও ঘরবাড়ি নদীতে বিলীন হয়ে যাবে।

স্থানীয় বাসিন্দা আলিফ উদ্দিন, আব্দুল হাকিম, হাফিজুলসহ অনেকেই জানান, ভাঙন আতঙ্কে তারা রাত জেগে বসে থাকেন। দ্রুত ভাঙন ঠেকাতে কার্যকরী পদক্ষেপ না নিলে নদীতে তাদের ঘরবাড়ি বিলীন হয়ে যাবে।

রংপুর পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপসহকারী প্রকৌশলী শহিদুর রহমান জাগো নিউজকে জানান, ভাঙন ঠেকাতে একহাজার জিও ব্যাগ ফেলার প্রস্তুতি নেয়া হয়েছে। এরইমধ্যে ধসে যাওয়া ব্লক-পিচিং এলাকায় প্রায় ৩০০ জিও ব্যাগ ফেলা হয়েছে। দ্রুত সময়ের মধ্যে বাকিগুলো ফেলা সম্ভব হলে ভাঙন ঠেকানো যাবে।

বিনবিনা-তুষভান্ডার সড়কেও জিও ব্যাগ ফেলার কার্যক্রম অব্যাহত রয়েছে বলেও জানান শহিদুর রহমান।

 

More News...

ওবায়দুল কাদেরের মস্তিষ্ক অলস-হৃদয় দুর্বল : রিজভী

ট্রেনে ঢাকায় ফিরছেন অনেকে, স্টেশনে ভিড়