নিজস্ব প্রতিবেদক : চট্টগ্রামে ১০ ট্রাক অস্ত্র মামলার অন্যতম আসামি কারাবন্দী ব্রিগেডিয়ার (অব.) আব্দুর রহিম করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন। আজ রোববার সকাল সোয়া ৮টার দিকে রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান তিনি।
কারা মহাপরিদর্শক (আইজি-প্রিজন) ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. মোমিনুর রহমান মামুন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, আব্দুর রহিমের লাশ হাসপাতাল মর্গে রাখা হয়েছে।
কয়েক দিন আগে আসামি ব্রিগেডিয়ার (অব.) আব্দুর রহিম কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগার-২ থেকে অসুস্থ হন। পরে করোনা পজিটিভ হওয়ায় তাকে রাজধানীর শহীদ সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালের ৫ নম্বর ওয়ার্ডে করোনা ইউনিটে ভর্তি করা হয়। পরবর্তী সময়ে অবস্থা খারাপ হওয়ায় তাকে হাসপাতালের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) স্থানান্তর করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন থেকে আজ সকালে তিনি মারা যান।
২০০৪ সালের ১ এপ্রিল সিইউএফএল ঘাট থেকে আটক করা হয় ১০ ট্রাকভর্তি অস্ত্রের চালান। এ নিয়ে কর্ণফুলী থানায় ১৮৭৮ সালের অস্ত্র আইন ও ১৯৭৪ সালের বিশেষ ক্ষমতা আইনে চোরাচালানের অভিযোগ এনে দুটি মামলা হয়। ২০১৪ সালের ৩০ জানুয়ারি আদালত সাবেক শিল্পমন্ত্রী ও জামায়াতে ইসলামীর আমির মতিউর রহমান নিজামী, সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুত্ফুজ্জামান বাবরসহ ১৪ জনকে মৃত্যুদণ্ডের আদেশ দেন। পাশাপাশি প্রত্যেককে পাঁচ লাখ টাকা করে জরিমানা করা হয়। এ ছাড়া অস্ত্র আটক মামলার দুটি ধারায় তাদের যাবজ্জীবন ও সাত বছর কারাদণ্ড হয়েছিল।
অস্ত্র চোরাচালান মামলার মোট আসামি ছিলেন ৫২ জন। এদের মধ্যে ৩৮ জনকে আদালত মুক্তি দেন। মৃত্যুদণ্ড পাওয়া বাকি আসামিরা হলেন- উলফার সামরিক কমান্ডার পরেশ বড়ুয়া, সাবেক শিল্পসচিব নুরুল আমিন, প্রতিরক্ষা গোয়েন্দা মহাপরিদপ্তরের (ডিজিএফআই) সাবেক মহাপরিচালক মেজর জেনারেল (অব.) রেজ্জাকুল হায়দার চৌধুরী, জাতীয় নিরাপত্তা গোয়েন্দা সংস্থার (এনএসআই) সাবেক মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার (অব.) আবদুর রহিম, পরিচালক উইং কমান্ডার (অব.) সাহাব উদ্দিন আহাম্মদ, উপপরিচালক মেজর (অব.) লিয়াকত হোসেন, এনএসআইয়ের মাঠ কর্মকর্তা আকবর হোসেন খান, সিইউএফএলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মহসিন উদ্দিন তালুকদার, মহাব্যবস্থাপক (প্রশাসন) কে এম এনামুল হক, হাফিজুর রহমান, দীন মোহাম্মদ ও হাজি আবদুস সোবহান। মামলাটি বর্তমানে উচ্চ আদালতে বিচারাধীন।