শর্তসাপেক্ষে মেডিকেল কলেজ খোলার পরামর্শ কোভিড বিষয়ক জাতীয় কমিটির

শর্তসাপেক্ষে মেডিকেল কলেজ খোলার পরামর্শ কোভিড বিষয়ক জাতীয় কমিটির

নিজস্ব প্রতিবেদক : মেডিকেল কলেজ খোলার চিন্তাভাবনা করছে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। এর জন্য কোভিড মোকাবিলায় গঠিত জাতীয় কারিগরি পরামর্শক কমিটির মতামত চেয়ে চিঠি দেওয়া হয়েছিল। জবাবে কমিটি স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলা সাপেক্ষে প্রাথমিকভাবে দ্বিতীয় ও পঞ্চম বা শেষ বর্ষের ক্লাস শুরু করার পক্ষে মত দিয়েছে।

গতকাল শুক্রবার রাতে কারিগরি পরামর্শক কমিটির পক্ষ থেকে পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ কথা জানানো হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, কোভিড–১৯ সংক্রান্ত জাতীয় কারিগরি পরামর্শক কমিটির ৪৪তম অনলাইন সভা গত ১২ আগস্ট রাত ৯টায় অনুষ্ঠিত হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন কমিটির সভাপতি অধ্যাপক মোহাম্মদ সহিদুয়ার। কমিটির সদস্যদের উপস্থিতিতে বিস্তারিত আলোচনা শেষে সভায় কিছু সুপারিশ গৃহীত হয়। এর মধ্যে মেডিকেল কলেজ খুলে দেওয়ার পক্ষে কমিটির মত দেওয়া হয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্য শিক্ষা বিভাগ ২১ আগস্ট বা কাছাকাছি সময়ে এমবিবিএস/বিডিএস কোর্সের দ্বিতীয় বর্ষ ও পঞ্চম বর্ষ/শেষ বর্ষের ক্লাস চালুর বিষয়ে জাতীয় কারিগরি পরামর্শক কমিটির মতামত চেয়ে চিঠি দেয়। কমিটির সদস্যরা এ বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেন। এরই মধ্যে এসব শিক্ষার্থীকে দুই ডোজ কোভিড টিকা দেওয়া হয়েছে। স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলা সাপেক্ষে প্রাথমিকভাবে এই দুই বর্ষের ক্লাস শুরু করার পক্ষে মত দিয়েছে কমিটি।

সেই সঙ্গে সংক্রমণ বিস্তার মোকাবিলায় কিছু সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নেওয়ার কথা বলা হয়েছে। এর মধ্যে– ক্লাস শুরুর আগে সব ছাত্র/ছাত্রীর সংক্রমণ প্রতিরোধ ও নিয়ন্ত্রণের ওপর প্রশিক্ষণ দেওয়া; শতভাগ সঠিকভাবে মাস্ক পরা ও সামাজিক দূরত্ব নিশ্চিত করাসহ স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ করা; হাসপাতালের ওয়ার্ডে, ক্লাসে ছাত্র/ছাত্রীদের সঠিকভাবে সুরক্ষা সামগ্রী ব্যবহার নীতি করা; ছাত্র/ছাত্রীদের সংক্রমণের ওপর নজর রাখা; সংক্রমিত ছাত্র/ছাত্রীদের চিকিৎসা/আইসোলেশন এবং তাঁদের সংস্পর্শে আসা ছাত্র/ছাত্রীদের ১৪ দিন কোয়ারেন্টিনের ব্যবস্থা করা এবং তিন স্তরের সঠিক মাস্ক উৎপাদন ও বিক্রি নিশ্চিত করার জন্য ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তরের পদক্ষেপ নেওয়ার কথা বলেছে জাতীয় কারিগরি পরামর্শক কমিটি।

এছাড়া কমিটি দ্রুত বিধি নিষেধ শিথিল করার/তুলে নেওয়ার সিদ্ধান্তে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। এর ফলে সংক্রমণ আবার বৃদ্ধি পাওয়ার আশঙ্কা করছে কমিটি। সুফল পেতে লকডাউন আরও ১–২ সপ্তাহ চলমান রাখার সুপারিশ করা হয়েছে।

ভ্যাকসিন ক্যাম্পেইন বিষয়ে বিভিন্ন মতামত দেওয়ায় জনমনে কিছুটা বিভ্রান্তি সৃষ্টি হয়েছে– এ ধরেনর বিভ্রান্তি নিরসনে টিকা কার্যক্রমের সঙ্গে সংশ্লিষ্টদের এ বিষয়ে সরাসরি গণমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলার পরামর্শ দিয়েছে কমিটি। পাশাপাশি গর্ভবর্তী ও দুগ্ধদানকারী নারীদের টিকা প্রদানের ব্যবস্থা আরো সহজ ও নিরাপদ করার জন্য পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।

More News...

হার্ট অকেজো হওয়ার কারণ জানলে অবাক হবেন –

চার বছরে যক্ষ্মামুক্ত ৭ হাজার রোগী