১৮ মাস পর সন্তানের মুখ দেখলেন মা

১৮ মাস পর সন্তানের মুখ দেখলেন মা

অনলাইন ডেস্ক : ‘ভীষণ, ভীষণ উত্তেজিত আমি আজ। পুরো দুনিয়া যেন হাতে পেয়েছি।’ কথাটা বলতে বলতেই ছেলে, ছেলে–বউ ও নাতিকে জড়িয়ে ধরলেন সু ব্লেক। প্রায় দু বছর পর পরিবারের সঙ্গে মিলিত হয়েছেন তিনি। সু ব্লেকের মতো অনেককেই আজ সোমবার লন্ডনের হিথ্রো বিমানবন্দরে আবেগাপ্লুত হতে দেখা গেল।

করোনাভাইরাসের কারণে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে যুক্তরাজ্যের যোগাযোগ বন্ধ হয়ে গিয়েছিল। ভ্রমণ সতর্কতা জারি হয়েছিল। কিন্তু এখন পরিস্থিতি কিছুটা ভালো হওয়ায় এই ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা কিছুটা শিথিল করা হয়। যুক্তরাষ্ট্র থেকে অনেকেই ছোটেন ব্রিটেনের উদ্দেশে। আর এতে আজ সোমবার হিথ্রো বিমানবন্দরে এক অভূতপূর্ব দৃশ্যের অবতারণা হয়।

বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়, ভ্রমণ নির্দেশনায় কিছু বদল আসার পর সোমবার হিথ্রো বিমানবন্দরে যুক্তরাষ্ট্র থেকে আসা অনেকে নিজ পরিবারের সঙ্গে মিলিত হন। একটানা ১৮ মাসের বিচ্ছেদ কাটিয়ে পরিবারের সদস্যরা দেখেন পরস্পরকে।

প্রায় দুই বছর পর সন্তানকে সামনাসামনি দেখে আবেগাপ্লুত হয়ে পড়েন মা। আজ সোমবার লন্ডনের হিথ্রো বিমানবন্দরে
প্রায় দুই বছর পর সন্তানকে সামনাসামনি দেখে আবেগাপ্লুত হয়ে পড়েন মা। আজ সোমবার লন্ডনের হিথ্রো বিমানবন্দরে। ছবি: রয়টার্স
শুরুতে উল্লেখ করা সু ব্লেক যেমন এসেছেন যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্ক থেকে। একটানা দু বছর নিজের সন্তানসহ পরিবারের কারও দেখা পাননি তিনি। ফলে এত দীর্ঘ বিরতির পর আপনজনকে দেখে আর আবেগ ধরে রাখতে পারেননি। শারীরিক দূরত্ব মেনে চলার বিষয় আর কাজ করেননি। জড়িয়ে ধরেছেন পরস্পরকে।

মানুষের এই আবেগ স্পর্শ করেছে হিথ্রো বিমানবন্দরের প্রধান নির্বাহী জন হলান্ড–কেও। রয়টার্সকে তিনি বলেন, ‘মানুষের যাতায়াতকে চলুন আবার স্বাভাবিক করে দিই।’

ব্রিটেনে করোনাভাইরাসে এখন পর্যন্ত প্রায় ১ লাখ ৩০ হাজার মানুষ মারা গেছে। আজ সোমবার দেশটি বিশ্বের বেশ কিছু দেশের সঙ্গে যোগাযোগ পুনঃস্থাপন করেছে। এ সম্পর্কিত নির্দেশনায় বলা হয়েছে, ইউরোপীয় ইউনিয়নভুক্ত দেশগুলো থেকে আসা ব্যক্তিদের মধ্যে যারা টিকা নিয়েছেন, তাঁদের কোয়ারেন্টিনে থাকতে হবে না। তবে ফ্রান্স ও যুক্তরাষ্ট্রের ক্ষেত্রে বিষয়টি আলাদা।

ব্রিটিশ সরকারের এই পদক্ষেপকে স্বাগত জানিয়েছেন করোনায় বিচ্ছিন্ন হয়ে যাওয়া পরিবারগুলোর সদস্যেরা। আর এয়ারলাইন কোম্পানিগুলো এতে উচ্ছ্বসিত হয়েছে স্বাভাবিকভাবেই।

ব্রিটেনের দরজা খোলার অপেক্ষায় ছিলেন ৩১ বছর বয়সী লেখক কোলিন কাস্ত্রো। তিনি ও তাঁর স্বামী আজই লন্ডনে এসেছেন মা–বাবার সঙ্গে দেখা করতে। বললেন, ‘এটা সত্যি দারুণ। অনেক লম্বা সময় চলে গেছে। আমার সন্তান ভূমিষ্ঠ হওয়ার অপেক্ষায়। এই সময়ে মায়ের কাছে আসতে পেরে দারুণ লাগছে।’

More News...

কোন ক্ষেপণাস্ত্র দিয়ে ইরানে হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল?

৫০ লাখ ডলার মুক্তিপণ দিয়ে মুক্ত বাংলাদেশি জাহাজ