ছিল সলিং রাস্তা, এখন তা খাল

ছিল সলিং রাস্তা, এখন তা খাল

মনিরামপুর (যশোর) প্রতিনিধি : মনিরামপুরের দূর্বাডাঙা ইউনিয়নের খাল বাটবিলা গ্রামের সাথে কেশবপুরের গড়ভাঙা গ্রামকে যুক্ত করেছে একটি রাস্তা। দুই উপজেলার মানুষের যোগাযোগের সংক্ষিপ্ত পথ এটি। আড়াই কিলোমিটার রাস্তাটি সংস্কার হয়নি গত ২০ বছরে। শুকনো মৌসুমে কোনোরকম চলাচল করা গেলেও বিপত্তি ঘটে বর্ষাকাল। একটু বৃষ্টি হলেই রাস্তাটিতে হাঁটু পানি জমে, কোথাও বা কেমর পানি। রাস্তার দুই ধারের মাছের ঘেরের পাড় উঁচু হওয়ায় পনি সরতে না পেরে সৃষ্ট হয় এই জলাবদ্ধতা। রাস্তা দিয়ে চলাচল করতে না পারায় বিকল্প হিসেবে ঘেরের পাড় বেছে নিয়েছেন পথচারীরা।

সরেজমিন জানা যায়, বহুবছর ধরে ব্যক্তি মালিকানা জমির উপর দিয়ে হেঁটে যাতায়াত করতেন খাল বাটবিলা ও গড়ভাঙাসহ আশপাশের গ্রামের মানুষ। একপর্যায়ে চলাচলের পথটি ১৯৯০ সালে রাস্তা হিসেবে রেকর্ড হয়। এরপর ২০০০ সালের দিকে ইটের সলিং বুনে চলাচল সহজ করা হয়। পরে রাস্তার দুই পাশে তৈরি হয় বড় বড় মাছের ঘের। মাছ রক্ষা করতে গিয়ে ঘেরের পাড় উঁচু করায় এখন রাস্তাটি খালে পরিণত হয়েছে। রাস্তাটির এক কিলোমিটার মনিরামপুরের মধ্যে। বাকিটা কেশবপুর উপজেলার।

খাল বাটবিলা গ্রামের বিরেন্দ্রনাথ ঢালি বলেন, প্রথমদিকে বিলের সমান ছিল রাস্তাটি। ১৮-২০ বছর আগে রাস্তা উঁচু না করে সলিং বুনা হয়েছে। পরের বছর বৃষ্টিতে রাস্তা তলিয়ে ইট ভেসে গেছে।

তিনি বলেন, হরিনার খাল দিয়ে বিলের পানি বের হয়ে কেশবপুরের শ্রী নদীতে পড়ত। এখন নদীতে নাব্যতা না থাকায় খাল দিয়ে পানি সরছে না। বিলের পানি আটকা থাকছে। তাই ঘের মালিকরা মাছ রক্ষায় উঁচু করে পাড় বেধেছেন।

রমেশ ঢালি বলেন, রাস্তার দুই পাশের ঘের ভেসে যায় বলে পাড় উঁচু করেছে ঘের মালিকরা। বৃষ্টির পানি নিচে যাচ্ছে না। রাস্তায় আটকে থাকে। আরেক ভুক্তভোগী স্থানীয় বাসিন্দা অশোক ঢালি বলেন, বছরে ৫-৭ বার মাপামাপি হয়। কয়দিন আগেও মাইপে গেছে। কাজ হয় না।

স্থানীয় দূর্বাডাঙ্গা ইউপি সদস্য মাসুদুর রহমান মিন্টু বলেন, রাস্তা রক্ষার জন্য ঘের মালিকদের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দিয়েছি। অনেক দেন-দরবার করেছি। কিন্তু অবস্থার পরিবর্তন হয়নি। দূর্বাডাঙা ইউপি চেয়ারম্যান গাজী মাজহারুল বলেন, ২০ বছর আগে রাস্তাটি সলিং করা হয়েছে। তারপর আর কাজ হয়নি। কিছুদিন আগে মাপামাপি হয়েছে। আশা করি দ্রুত কাজ শুরু হবে।

More News...

ট্রেনে ঢাকায় ফিরছেন অনেকে, স্টেশনে ভিড়

দ্বীপ উন্নয়ন-কৃষি জমি সুরক্ষা আইন করতে সংসদকে হাইকোর্টের পরামর্শ