দৌলতদিয়া ঘাটে ঢাকামুখী জনস্রোত

দৌলতদিয়া ঘাটে ঢাকামুখী জনস্রোত
Jpeg

গোয়ালন্দ (রাজবাড়ী) প্রতিনিধি : চলমান কঠোর বিধিনিষেধের মধ্যেই ১ আগস্ট থেকে পোশাক কারখানা খুলে দেওয়ার ঘোষণায় দৌলতদিয়া ফেরিঘাটে যাত্রী ও ছোট যানবাহন ব্যাপক চাপ সৃষ্টি হয়েছে।

শনিবার সকাল ৭টা থেকেই দৌলতদিয়া ঘাটে দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের হাজারো যাত্রী বিভিন্ন উপায়ে ঘাটে পৌঁছালে রীতিমতো জনস্রোতের সৃষ্টি হয়।

ভিড়ের ব্যাপকতা এতটাই বেশি যে পন্টুনগুলোতে তিল ধারণের জায়গা নেই। পন্টুনে যাত্রীদের জটলা থাকার কারণে রো রো ফেরিগুলো ঘাটে ভিড়তে হিমশিম খাচ্ছে।

৫নং ফেরি ঘাটে দেখা যায়, ভাষা সৈনিক বরকত ফেরি ৩ থেকে ৪টি গাড়ি আর হাজারের বেশি যাত্রী নিয়ে দৌলতদিয়া ঘাট থেকে ছেড়ে যায় পাটুরিয়ার উদ্দেশে। ফেরিগুলো আনলোড হওয়ার আগেই যাত্রীরা হুড়মুড় করে উঠে পড়ছে। এতে সৃষ্টি হচ্ছে না বিপত্তির।

দূরপাল্লার যানবাহন বন্ধ থাকায় দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে প্রাইভেটকার, মাইক্রোবাস, মোটরসাইকেল নিয়ে ছুটছেন নিজ নিজ গন্তব্যে। করোনাভাইরাসের সংক্রমণ প্রতিরোধে ফেরি এবং ফেরিঘাটে যাত্রীরা মানছেন না কোনো ধরনের স্বাস্থ্যবিধি।

পোশাক শ্রমিক হান্নান বলেন, ‘কাল থেকে গার্মেন্টস খোলা, চাকরি বাঁচাতে হবে। আজ যেতে না পারলে বেতন কাটা হবে। তাই যত যা হোক আমাকে যেতেই হবে। পেটে ক্ষুধা থাকলে লকডাউন মানার সময় নেই।’

আসলাম হোসেন নামের এক যাত্রী বলেন, গণপরিবহন চালু থাকলে আজ আমরা এত কষ্ট করে যেতাম না। এক প্রকার বাধ্য হয়ে এই ভিড়ের ভেতর যেতে হচ্ছে। লকডাউনে গার্মেন্টস খোলার ঘোষণা দিয়ে যে অবস্থাটা হয়েছে, তাতে আমাদের মতো লোকজনদের পড়তে হচ্ছে বিপাকে।

বিআইডব্লিউটিসি দৌলতদিয়া কার্যালয়ের ব্যবস্থাপক শিহাব উদ্দিন বলেন, যাত্রীর সংখ্যা বেড়ে যাওয়ায় আমরা ১৬টি ফেরি চালু করে দিয়েছি। সকাল ১০ টা পর্যন্ত ৯টি ফেরি চলাচল থাকলেও পরে চাপের কারণে ১৬টি ফেরি চালু রয়েছে। হঠাৎ যাত্রীর চাপ বেড়ে যাওয়ায় ফেরি থেকে আনলোড করা সমস্যা হচ্ছে।

More News...

খালেদা জিয়া গুরুতর অসুস্থ: মির্জা ফখরুল

কুড়িগ্রামের খাবারে বেজায় খুশি ভুটানের রাজা