বাধ্য হয়েই টি-টোয়েন্টি খেলতে হচ্ছে মুশফিককে!

বাধ্য হয়েই টি-টোয়েন্টি খেলতে হচ্ছে মুশফিককে!

নিজস্ব প্রতিবেদক: আগে কথা ছিল, তিনি খেলবেন না। জিম্বাবুয়ে যাওয়ার প্রায় ১৫ দিন আগে থেকেই গুঞ্জন, মুশফিকুর রহীম টি-টোয়েন্টি সিরিজ থেকে ছুটি নিচ্ছেন।
কিন্তু টেস্ট শেষ হওয়ার দু’দিন না যেতেই আজ (মঙ্গলবার) দুপুর গড়িয়ে বিকেল নামার আগে ক্রিকেট পাড়ায় হঠাৎ গুঞ্জন, সিদ্ধান্ত পাল্টেছেন মুশফিক।জিম্বাবুয়ের সাথে টি-টোয়েন্টি সিরিজেও খেলবেন ‘মিস্টার ডিপেন্ডেবল’।
খবর চাউর হয়েছে যে, মুশফিক নিজে থেকেই জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজ খেলার ইচ্ছে প্রকাশ করেছেন। কেন কী কারণে মুশফিকের সিদ্ধান্ত বদল?
মুশফিক এখনও আনুষ্ঠানিক বিবৃতিতে এমন আগ্রহের কথা প্রকাশ করেননি। হারারে থেকে মুশফিককে উদ্ধৃত করে এমন কোনো বিজ্ঞপ্তি বা ভিডিওবার্তাও আসেনি। এমনকি বিসিবির কোনো দায়িত্বশীল কর্তা এ ব্যাপারে আনুষ্ঠানিক বিবৃতি দেননি।
তবে খোঁজ নিয়ে ও কথা বলে জানা গেছে প্রকৃত কারণ। আসলে ইচ্ছে করে নয়, বাধ্য হয়েই সিদ্ধান্ত পাল্টেছেন মুশফিক। আসলে পরিস্থিতিই এমন যে, তিনি যদি টি-টোয়েন্টি সিরিজ না খেলে দেশে ফিরেও আসেন, তাহলে তার পক্ষে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে আগামী জুলাই মাসের প্রথম সপ্তাহে অনুষ্ঠেয় ৫ ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজে অংশ নেয়া কঠিন হবে। হাওয়া থেকে পাওয়া খবর বা গুঞ্জন নয়। বিসিবির ক্রিকেট অপারেশন্স কমিটি চেয়ারম্যান আকরাম খান আর প্রধান নির্বাচক মিনহাজুল আবেদিন নান্নু দিয়েছেন এ তথ্য।
মঙ্গলবার বিকেলে জাগো নিউজের সাথে আলাপে আকরাম ও নান্নু জানিয়েছেন, ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়া কড়া শর্ত বেঁধেই বাংলাদেশে আসছে। তাদের অনেক কড়াকড়ি শর্ত আছে বাংলাদেশে খেলতে আসার আগে। সেগুলো শতভাগ পূর্ণ হলেই কেবল অসিরা খেলতে ঢাকা আসবে।
বাংলাদেশ জাতীয় দলের ক্রিকেটারদের জন্যও কঠিন শর্ত জুড়ে দিয়েছে অস্ট্রেলিয়া। সেটা হলো, অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে বাংলাদেশ জাতীয় দলের হয়ে যারা টি-টোয়েন্টি দলে থাকবেন, তাদের অবশ্যই ১৫ দিনের কোয়ারেন্টাইনে থাকতে হবে।
আর তাই আগামী ২৭ জুলাই হারারেতে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে তৃতীয় ও শেষ টি-টোয়েন্টি ম্যাচ শেষে ২৯ জুলাই সরাসরি হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে টিম হোটেলে বাবলে বা জৈব সুরক্ষা বলয়ে চলে যেতে হবে বাংলাদেশ দলকে। কেউ এক মুহূর্তের জন্য নিজ বাসায়ও যেতে পারবেন না। কাজেই কেউ যদি জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি সিরিজের দলে না থাকেন, তার পক্ষে ওই জৈব সুরক্ষা বলয়ে ঢোকা কঠিন হবে। ঘুরিয়ে বললে তার প্রবেশাধিকার থাকবে না।
মানে হলো, মুশফিক জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি সিরিজ না খেললে তার পক্ষে ১৫ দিনের জৈব সুরক্ষা বলয়ে থাকা হবে না। সেক্ষেত্রে অস্ট্রেলিয়ার শর্ত পূরণ করে জাতীয় দলের সঙ্গে যোগও দিতে পারবেন না উইকেটরক্ষক এই ব্যাটসম্যান।

শুধু মুশফিক একা নন, অস্ট্রেলিয়ার সাথে টি-টোয়েন্টি সিরিজ খেলতে হলে সবাইকেই জিম্বাবুয়েতে জৈব সুরক্ষা বলয়ে টিম হোটেলে কাটাতে হবে। এর বাইরে থেকে কারও অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে দলে ঢোকার সুযোগ নেই।

মানে আরেকটা জিনিস খুব পরিষ্কার, জিম্বাবুয়েতে এখন জৈব সুরক্ষা বলয়ে থাকা ওয়ানডে আর টি-টোয়েন্টি সিরিজের জন্য থাকা বহরের বাইরে থেকে কারও আর অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি সিরিজে দলভুক্ত হওয়ার সুযোগও নেই

More News...

ওবায়দুল কাদেরের মস্তিষ্ক অলস-হৃদয় দুর্বল : রিজভী

ট্রেনে ঢাকায় ফিরছেন অনেকে, স্টেশনে ভিড়