৫০ বছর অপেক্ষা করেও মিলেনি একটি ব্রিজ

৫০ বছর অপেক্ষা করেও মিলেনি একটি ব্রিজ

লক্ষ্মীপুর জেলা প্রতিনিধিঃ লক্ষ্মীপুরের রায়পুর উপজেলার দক্ষিণ চরবংশী, চরমোহনা ইউপির, সোনাপুর ইউপির ও সদর উপজেলার চররুহিতা ইউপির সীমান্ত এলাকায় বয়ে গেছে ডাকাতিয়া নদী। কয়েক যুগ পার হলেও তৈরী হয়নি একটি ব্রিজ কিংবা সেতু।একটি ব্রিজের অভাবে বদলায়নি দক্ষিণ চরবংশী ইউনিয়নের চরলক্ষ্মী, চরমোহনা ইউনিয়নের দক্ষিণ চরমোহনা ও বাবুর টেক,সোনাপুর ইউনিয়নের পশ্চিম রাখালিয়া,চরররুহিতা ইউনিয়নের চরমন্ডলসহ কয়েকটি গ্রামের লক্ষাধিক মানুষের ভাগ্য।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়,প্রায় ২’শ ৫০ ফুট লম্বা নদীতে রয়েছে একটি নৌকা।এই নৌকায় করে প্রতিদিন জীবনের ঝুঁকি নিয়ে পারাপার হতে হচ্ছে কয়েক গ্রামের লক্ষাধিক মানুষকে।এদের মধ্যে রয়েছে প্রান্তিক কৃষক,শ্রমজীবী মানুষ,স্কুল-মাদ্রাসার ছাত্র-ছাত্রী, পথচারী,নারী ও শিশু। সবেচেয়ে বেশি ঝুঁকিপূর্ণভাবে পার হচ্ছেন নারী ও শিশু।

স্থানীয়দের সাথে কথা বলে জানা যায়, দক্ষিণ চরবংশী,চরমোহনা ও ইউনিয়নের সীমান্ত এলাকায় রয়েছে ফসলের মাঠ, হাটবাজার, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসহ গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা। গ্রামের মানুষের যাতায়াতের সুবিধার জন্যে ডাকাতিয়া নদীতে নৌকায় করে ঝুঁকিপূর্ণ ভাবে প্রতিদিন যাতায়াত করতে হয় তাদের।চার ইউনিয়নের সীমান্ত এলাকায় হওয়ায় কোনো চেয়ারম্যান এবিষয়ে গুরুত্বারোপ করেন না বলেও অভিযোগ করেন স্থানীয়রা।

৭০ বছর বয়সী এক বৃদ্ধা নারী জানান, ব্রিজ না থাকায় প্রতিদিনই ঝুঁকি নিয়ে শিশুদের নৌকায় করো নদীর এপাড় থেজে ওপাড়ে পাড়ি দিতে হয় তাদের।ডাকাতিয়া নদী গর্ভে কয়েক জন পানিতে পড়ে ইতিপূর্বে মারা যায়।ব্রিজটি হলে মৃত্যুর কবল থেকে শিশুদের রক্ষা পাবে বলে ও মন্তব্য করেন ওই নারী।

জানা যায়, সাবেক এমপি আবুল খায়ের ভূঁইয়ার সময়ে উপজেলা সার্ভেয়ার এসে সার্ভে করে গেলেও বাস্তবতায় তা এখনো পর্যন্ত শূন্যের কোটায়। দীর্ঘ কয়েক যুগ সময় অপেক্ষা করেও রয়েছে মিলছে না একটি ব্রিজ।তবুও গ্রামবাসী স্বপ্ন দেখছেন একটি ব্রিজের।

এব্যাপারে দক্ষিণ চরবংশী ইউপি চেয়ারম্যানের নিকট জানতে চাইলে তিনি জানান, আমার পূর্বেই অনেক চেয়ারম্যান,মেম্বার পরিষদে প্রতিনিধিত্ব করেছেন। তারাও এই সমস্যার সমাধান করতে পারেনি। বহু বছর যাবত সমস্যা চলেই আসছে।শুধু মাপজোক আর আশ্বাসের মাধ্যমে এর সমাপ্তি হয়েছে।আমাদের দলীয় এমপির সাথে এই বিষয়ে কথা হবে।

জানতে চাইলে উপজেলার উপ-সহকারী প্রকৌশলী কর্মকর্তা জানান, ব্রিজের বিষয়ে ইতিপূর্বে ফাইল তৈরী করা হয়েছে।ফাইল পাস হয়ে আসলে কাজ শুরু হবে।

More News...

রোববার থেকে চালের বস্তায় তথ্য দেওয়া বাধ্যতামূলক

বিএনপি বাঙালি সংস্কৃতিকে সহ্য করতে পারে না: কাদের