আসলে শিরোনামটি ধার করা একদল ক্ষুদে ব্রাজিল ও আর্জেন্টিনা সমর্থকদের জটলা থেকে। যেখানে সমর্থকদের সর্বোচ্চ বয়স হবে হয়তো ১২ কি ১৪ বছর।
ওরা বাংলাদেশের কোন ফুটবলারের নাম জানে না। কিন্তু নেইমার-মেসি ছাড়াও ব্রাজিল-আর্জেন্টিনার আরও কয়েকজনের নাম বলে-বলে তর্কে জমে আছে। তাদের সেই ফুটবলময় তর্ক উপভোগ করা থেকে নিজেকে বঞ্চিত করা যায়? কিছু বুঝতে না দিয়ে তাইতো একটু দূরে দাঁড়িয়ে পড়া।
৮ জন ক্ষুদে ফুটবলভক্ত। তার মধ্যে দুইজন মেয়ে। তর্কের ক্ষেত্রে ছেলে-মেয়ে কেউ কম যায় না। বাসার বড়দের সঙ্গে ভোরে যে তারা খেলা দেখে, সেটাও বোঝা গেলে কথাবার্তায়। নেইমার প্রতিপক্ষের ডিফেন্ডারদের কিভাবে ঘোল খাইয়ে বলটা দিইয়েছিল গোল করার জন্য দেখছিস না? সঙ্গে অন্য পক্ষ থেকে জবাব, মেসির ফ্রি-কিকটাও তো দেখেছো কিভাবে জালে জড়াল?
আরে তোরা তো অল্পের জন্য বেঁচেছিস। আর্জেন্টিনাকে টাইব্রেকারে জিততে হয়েছে। তারপর তোদের মেসিকে তো আবার রক্তও ঝরাতে হয়েছে। আমরা তো সরাসরিই জিতেছি। এই আর্জেন্টিনার জন্য নেইমার একাই যথেষ্ট। ব্রাজিলিয়ান ক্ষুদে সমর্থকের এমন খোঁচায় চুপ ছিল না আর্জেন্টাইন সমর্থকরা, ‘কোন মতে তো এক গোলে জিতেছে ব্রাজিল। ফাইনালে মেসিকে আটকাতেই পারবে না তোদের ব্রাজিল।’
তবে তারা যে দেশের ফুটবলের খোঁজখবর রাখে না। বাংলাদেশের ফুটবলারদের চিনো তোমরা? ‘বাংলাদেশের খেলা তো দেখি না’- বলেই সরে গেলেন একজন। তর্কের জটলাটাও ভেঙে গেল মুহূর্তে।