চতুর্থ দিনের মতো কঠোর বিধিনিষেধ চলছে

চতুর্থ দিনের মতো কঠোর বিধিনিষেধ চলছে

নিজস্ব প্রতিবেদক : করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রোধে সরকার ঘোষিত সাত দিনের কঠোর বিধিনিষেধের চতুর্থ দিন আজ। প্রথম দুই দিন রাস্তা ফাঁকা থাকলেও শনিবার সকাল থেকেই সড়কে মানুষ ও যানবাহনের সংখ্যা বৃদ্ধি পায়। চতুর্থ দিনেও তা অব্যাহত আছে।

রোববার সরেজমিনে রাজধানীর মাতুয়াইল, রায়েরবাগ, শনির আখড়া এলাকা ঘুরে দেখা যায়, কঠোর বিধিনিষেধের প্রথম দুই দিন রাস্তাঘাট জনশূন্য থাকলেও আজ তার ব্যতিক্রম। সড়কে প্রাইভেট যানবাহন, ট্রাক, কাভার্ড ভ্যান, পিকআপ, রিকশা চলতে দেখা গেছে।

তবে কঠোর বিধিনিষেধ কার্যকরে মাঠে রয়েছেন পুলিশ, সেনাবাহিনী, বিজিবি ও র‌্যাব সদস্যরা। লকডাউনের শুরু থেকেই বিভিন্ন জায়গায় টহল দিতে দেখা গেছে তাদের। রাজধানীর বিভিন্ন জায়গায় চেকপোস্ট বসিয়ে তল্লাশি চালানো হচ্ছে। জরুরি প্রয়োজন ছাড়া বাইরে বের হলে জরিমানা এবং গ্রেপ্তারও করা হচ্ছে। তবে জরুরি পরিষেবায় নিয়োজিতরা পরিচয়পত্র দেখিয়ে ও প্রয়োজনীয়তার বিষয়টি তল্লাশির সময় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে জানিয়ে গন্তব্যে বা কর্মস্থলে যেতে পারছেন।

জরুরি প্রয়োজন ছাড়া অযৌক্তিক কারণে বাইরে বের হওয়ায় রাজধানীতে প্রথম দিন ৫৫০ এবং দ্বিতীয় দিন ৩২০ জনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। এদিকে র‌্যাবের অভিযান ও ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযানে দেশব্যাপী বৃহস্পতিবার ১৮২ জনকে জরিমানায় ১ লাখ ৩২ হাজার ৩৯৫ টাকা এবং শুক্রবারের অভিযানে ২১৩ জনের জরিমানায় ২ লাখ ১৫ হাজার ৫৪০ টাকা আদায় করা হয়।

সরকারি নির্দেশ অমান্য করে অযথা এবং অযৌক্তিক কারণে বাইরে বের হয়ে সংক্রমণের ঝুঁকি বাড়ানোর অভিযোগে শনিবারও রাজধানী থেকে ৬২১ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের আটটি বিভাগের সমন্বিত অভিযান ও ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযানে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। তৃতীয় দিনে ৩৪৬ জনকে ১ লাখ ৬ হাজার ৪৫০ টাকা জরিমানাও করা হয় বলে জানায় ডিএমপি।

অন্যদিকে লকডাউনের তৃতীয় দিনে নিষেধাজ্ঞা অমান্য করায় সারাদেশে ২৭৭ জনকে প্রায় দুই লাখ টাকা জরিমানা করেছে র‍্যাব। সারা দেশে ৩১টি ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে র‍্যাবের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটরা এই অর্থদণ্ড প্রদান করেন।

উল্লেখ্য, করোনা সংক্রমণের দ্বিতীয় ঢেউ নিয়ন্ত্রণে সরকার এ বছর প্রথমে ৫ এপ্রিল থেকে ধাপে ধাপে বিধিনিষেধ দিয়ে আসছে। দেশব্যাপী বিধিনিষেধের পাশাপাশি এবার স্থানীয় প্রশাসন বিভিন্ন এলাকায় বিশেষ বিধিনিষেধ জারি করছে। কিন্তু করোনা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসছে না। এমন পরিস্থিতিতে শুরু হয়েছে কঠোর বিধিনিষেধ। যা চলবে ৭ জুলাই মধ্যরাত পর্যন্ত।

More News...

ওবায়দুল কাদেরের মস্তিষ্ক অলস-হৃদয় দুর্বল : রিজভী

ট্রেনে ঢাকায় ফিরছেন অনেকে, স্টেশনে ভিড়