ভারতের দাবি, নিহত হওয়া বিচ্ছিন্নতাকামী পাঁচজন পাকিস্তান-ভিত্তিক লস্কর-ই-তৈয়্যবার সদস্য। এর আগে গত ১ জুলাই রাতে রাজপোড়া এলাকায় যৌথ অভিযান শুরু করে ভারতীয় বাহিনী। এ অভিযানে নিহত হয় ভারতীয় সেনাবাহিনীর এক সদস্য ও পাঁচ সশস্ত্র যোদ্ধা।
এর আগে গত ২৪ জুন দিল্লিতে কাশ্মীর ইস্যু নিয়ে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে সর্বদলীয় বৈঠক করেন উপত্যকার নেতারা। সেখানে কাশ্মীরকে ফের রাজ্যের মর্যাদা ফিরিয়ে দেয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। কাশ্মীরের সাংবিধানিক বিশেষ মর্যাদা প্রত্যাহারের প্রায় দুই বছর পর এমন প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন তিনি। তবে কখন মর্যাদা ফিরিয়ে দেয়া হবে তা খোলাসা করেননি নরেন্দ্র মোদি। তিনি বলেন, উপযুক্ত সময়ে তা ফিরিয়ে দেয়া হবে।
তিন ঘণ্টার এ বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন আটটি দলের ১৪ জন নেতা। ছিলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ ও লেফটন্যান্ট গভর্নর মনোজ সিনহা। কাশ্মীরের পক্ষে উপস্থিত ছিলেন জম্মু-কাশ্মীরের তিন প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী ফারুখ আবদুল্লাহ, ওমর আবদুল্লাহ ও মেহবুবা মুফতি।
বৈঠক শেষে কংগ্রেস নেতা গুলাম নবি আজাদ বলেন,তাদের মোট পাঁচটি দাবি ছিল। অবিলম্বে জম্মু-কাশ্মীরকে রাজ্যের মর্যাদা ফিরিয়ে দিতে হবে, গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার জন্য বিধানসভা নির্বাচন দিতে হবে, কাশ্মীরি পণ্ডিতদের পুনর্বাসনের ব্যবস্থা করতে হবে, সব রাজনৈতিক বন্দিদের মুক্তি দিতে হবে ও আধিপত্য আইনে বদল আনতে হবে।
২০১৯ সালের আগস্টে ভারত জম্মু ও কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা বাতিল করে। ফলে কাশ্মীর এতদিন যে বিশেষ অধিকার পেত তা খারিজ হয়ে যায়। একই সঙ্গে জম্মু-কাশ্মীর রাজ্যটিকে ভেঙে দুইটি পৃথক কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে পরিণত করা হয়। এর একটি হলো লাদাখ এবং অপরটি জম্মু-কাশ্মীর। অঞ্চলটির সার্বিক উন্নয়নের জন্যই ভারত এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছে বলে জানায় নরেন্দ্র মোদির বিজেপি সরকার।