সিরাজগঞ্জে শাহজাদপুরে ২ গ্রুপের রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষে আহত ২০, আটক ৩

সিরাজগঞ্জে শাহজাদপুরে ২ গ্রুপের রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষে আহত ২০, আটক ৩
সেলিম রেজা, সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি : সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুরে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে ২ গ্রুপের রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষে ২ জন আহত হয়েছে, এ ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে ৩ জনকে আটক করেছে শাহজাদপুর থানা পুলিশ,
জানা যায়, শনিবার (২৬ জুন) শাহজাদপুর উপজেলার পোরজনা ইউনিয়নের বড় মহরাজপুর গ্রামের আব্দুল জলিল গ্রুপ ও মোজাম্মেল গ্রুপের মধ্যে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে দীর্ঘদিন যাবত বিরোধ চলে আসছিল,
শুক্রবার (২৫ জুন) দুপুরে উপভয় পক্ষ সংঘর্ষে জড়িয়ে পরে। খবর পেয়ে শাহজাদপুর থানার উপ-পরিদর্শক পোরজনা ইউনিয়নের বিট অফিসার সাইফুল ইসলামের নেতৃত্বে পুলিশের একটি দল ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনে।
এরই ধারাবাহিকতায় পরদিন শনিবার সকাল ৮টায় উভয় পক্ষের বিপুল সংখ্যাক মানুষ দেশীয় অস্ত্রশস্ত্রে সজ্জিত হয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পরে, সংঘর্ষের ঘটনায় উভয় পক্ষের প্রায় ২০ জন আহত হয়।
খবর পেয়ে শাহজাদপুর থানার উপ-পরিদর্শক আসাদুর রহমান, উপ-পরিদর্শক আব্দুল মান্নান, উপ-পরিদর্শক কাঞ্চন কুমার, উপ-পরিদর্শক সাইফুল ইসলাম সহ বিপুল সংখ্যাক পুলিশ সদস্য ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে বিচক্ষনতার সাথে দ্রুত আইনশৃংখলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
সরেজমিনে পরিদর্শন করে জানা যায়, আব্দুল জলিল মোল্লা গ্রুপ ও মোজাম্মেল গ্রুপের কারণে দীর্ঘদিন যাবৎ এই এলাকায় অস্থিরতা বিরাজ করছে এবং আইনশৃংখলার চরম অবনতি হয়েছে। এদের বিরুদ্ধে আইনগত পদক্ষেপ নিয়ে দ্রুত বড় মহারাজপুর গ্রামে শান্তি ফিরিয়ে আনতে পুলিশের প্রতি আহবান জানান এলাকাবাসী।
বড় মহারাজপুর গ্রামের আব্দুল জলিল মোল্লা জানান, কোন রকম উস্কানী ছাড়াই মোজাম্মেল গ্রুপের লোকজন আমাদের পক্ষের জামাত আলীকে মারধর করে। শনিবার সকালে তারা আবার আমাদের লোকজনের উপর হামলা চালায়,
তিনি আরও জানান, আমি একজন মুক্তিযোদ্ধা জেনেও পুলিশ আমার সাথে চরম দুর্ব্যবহার করেছে। আমি দোষী পুলিশ সদস্যের শাস্তি চাই,
অপর গ্রুপের প্রধান বড় মহারাজপুর গ্রামের মোজাম্মেল প্রামাণিকের বাড়িতে গেলেও তার বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি,
শাহজাদপুর থানার উপ-পরিদর্শক আসাদুর রহমান জানান, শনিবার সকালে আমরা জানতে পারি যে বড় মহারাজপুর গ্রামের জলিল গ্রুপ ও মোজাম্মেল গ্রুপ প্রায় ৪ শতাধিক লোকের সমাগম ঘটিয়ে সংঘর্ষে লিপ্ত রয়েছে,
আমরা দ্রুত ঘটনাস্থলে এসে উভয় পক্ষকে ছত্রভঙ্গ করতে সক্ষম হই। পরে জানতে পারি জনৈক আব্দুল জলিল মোল্লার বাড়িতে ২০/৩০ জন লোক দেশীয় অস্ত্র মজুদ করছে আবারও সংঘর্ষে লিপ্ত হওয়ার উদ্দেশ্যে,
আমরা আব্দুল জলিল মোল্লার বাড়িতে তল্লাশী করতে চাইলে তার ছেলে আমাদের সাথে চরম দুর্ব্যবহার করে। পরে আমরা তার বাড়ি থেকে বেশকিছু দেশীয় অস্ত্র উদ্ধার করি, তিনি মুক্তিযোদ্ধা পরিচয় দেওয়ার পরে তার সাথে কোন অসৌজন্যমূলক আচরণ করা হয়নি। এই বিষয়ে শাহজাদপুর থানার অফিসার ইনচার্জ শাহিদ মাহমুদ খান জানান, সংঘর্ষের ঘটনায় ঘটনাস্থল থেকে তিনজনকে আটক করা হয়েছে
তারা হলেন- মোকাররম আলী (৩৪) পিতা মৃত জাফর মোল্লা, নাজমুল হোসেন (২০) পিতা ইসুব ফকির, জামাত আলী (৫১) পিতা হজরত মোল্লা। উভয় পক্ষই মামলার পস্তুতি নিচ্ছে।

More News...

পেঁয়াজ কেজিতে দাম কমেছে ২০ টাকা

বাজার নিয়ন্ত্রণে আমদানি করা হবে ৮৩ হাজার টন চাল