করোনা সংক্রমণ উদ্বেগজনক হারে বেড়ে যাওয়ায় সোমবার (২৮ জুন) থেকে সীমিত লকডাউন এবং বৃহস্পতিবার (১ জুলাই) থেকে সর্বাত্মক লকডাউন—সরকারের পক্ষে থেকে এমন সিদ্ধান্ত আসায় এদিন লেনদেনের শুরুতেই শেয়ারবাজারে বিক্রির চাপ বেড়ে যায়।
অপর দুই সূচকের মধ্যে বাছাই করা ভালো কোম্পানি নিয়ে গঠিত ডিএসই-৩০ সূচক ৩০ পয়েন্ট কমে দুই হাজার ১৬৮ পয়েন্টে অবস্থান করছে। আর ডিএসইর শরিয়াহ সূচক ১৪ পয়েন্ট কমে এক হাজার ২৮৭ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে।
সূচকের এই বড় দরপতনের দিনে তালিকাভুক্ত ৫০টি বীমার মধ্যে মাত্র পাঁচটির শেয়ার দাম বাড়ার তালিকায় নাম লিখিয়েছে। বিপরীতে ৪৪টির দাম কমেছে। বাকি একটির শেয়ার লেনদন হয়নি।
অপরদিকে ব্যাংক খাতে তালিকাভুক্ত ৩১টি ব্যাংকের মধ্যে দাম বেড়েছে মাত্র তিনটির। বিপরীতে দাম কমেছে ২৪টির। আর চারটির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে। তালিকাভুক্ত ৩৭টি মিউচ্যুয়াল ফান্ডের মধ্যে ৩৬টিরই দাম কমেছে। বাকি একটির লেনদেন হয়নি।
এদিকে সব খাত মিলে ডিএসইতে দাম বাড়ার তালিকায় নাম লিখিয়েছে ৫৪টি। বিপরীতে দাম কমেছে ৩০৬টির। আর ১২টির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে। বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের দরপতন হলেও ডিএসইতে বেড়েছে লেনদেনের পরিমাণ। দিনভর বাজারটিতে লেনদেন হয়েছে এক হাজার ৭৪০ কোটি ১৮ লাখ টাকা। আগের দিন লেনদেন হয় এক হাজার ৫৯৭ কোটি ৯৫ লাখ টাকা। সেই হিসাবে লেনেদেন বেড়েছে ১৪২ কোটি ২৩ লাখ টাকা।
টাকার অঙ্কে ডিএসইতে সবচেয়ে বেশি লেনদেন হয়েছে বেক্সিমকোর শেয়ার। কোম্পানিটির ১০৩ কোটি দুই লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। দ্বিতীয় স্থানে থাকা ডাচ-বাংলা ব্যাংকের ৩৮ কোটি ৯৩ লাখ টাকার লেনদেন হয়েছে। ৩৮ কোটি ৪৩ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেনের মাধ্যমে তৃতীয় স্থানে রয়েছে মালেক স্পিনিং।
এছাড়া ডিএসইতে লেনদেনের দিক থেকে শীর্ষ দশ প্রতিষ্ঠানের তালিকায় রয়েছে- কাট্টলী টেক্সটাইল, ম্যাকসন স্পিনিং, আর্গন ডেনিম, কুইন সাউথ টেক্সটাইল, ড্রাগন সোয়েটার, মতিন স্পিনিং এবং লংকাবাংলা ফাইন্যান্স।
অপর শেয়ারবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের সার্বিক মূল্য সূচক সিএএসপিআই কমেছে ২৯৭ পয়েন্ট। বাজারটিতে লেনদেন হয়েছে ২১৪ কোটি ৮ লাখ টাকা। লেনদেনে অংশ নেয়া ৩১১টি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ৫৮টির দাম বেড়েছে। বিপরীতে দাম কমেছে ২৪১টির এবং ১২টির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে।