খালেদা জিয়ার অবস্থা অত্যন্ত ভালনারেবল : মির্জা ফখরুল

খালেদা জিয়ার অবস্থা অত্যন্ত ভালনারেবল : মির্জা ফখরুল

নিজস্ব প্রতিবেদক : চিকিৎসকদের বরাত দিয়ে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর জানিয়েছেন, খালেদা জিয়া অত্যন্ত অসুস্থ, ডাক্তাররা বলছেন, তার অবস্থা অত্যন্ত ভালনারেবল। তিনি খালেদা জিয়ার মুক্তির পাশাপাশি তার উন্নত চিকিৎসার দাবি জানিয়েছেন।

বৃহস্পতিবার রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন বিএনপি চেয়ারপারসনের সর্বশেষ শারীরিক অবস্থা তুলে ধরে এক অনুষ্ঠানে দলটির মহাসচিব এই দাবি জানান।

ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের ৪২ নং ওয়ার্ডে বেরাইদ এলাকায় বিএনপি মহানগর উত্তরের উদ্যোগে দেশব্যাপী বৃক্ষরোপণ কর্মসূচির উদ্বোধন উপলক্ষে এই অনুষ্ঠান হয়। দপ্তরের দায়িত্বপ্রাপ্ত সাংগঠনিক সম্পাদক এমরাণ সালেহ প্রিন্স জানান, আগামী সেপ্টেম্বর পর্যন্ত এই কর্মসূচি চলবে। প্রতিটি জেলায় পাঁচ হাজার করে নিমগাছ রোপণ করতে জেলা ও মহানগর নেতাদের কাছে চিঠি পাঠানো হয়েছে। নিমগাছের উপকার সম্পর্কে জানিয়ে একটি লিফলেটও বিতরণ করতে বলা হয়েছে।

মির্জা ফখরুল বলেন, সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া করোনা হওয়ার পরে তাকে এভারকেয়ার হাসপাতালে নিয়ে নেওয়া হয়। আল্লাহর রহমতে করোনার সংক্রমণ থেকে তিনি বেরিয়ে এসেছেন। কিন্তু দীর্ঘ ৪ বছর তার চিকিৎসা না হওয়ায় ও কারাগারে রাখার কারণে তিনি অনেকগুলো রোগে আক্রান্ত হয়েছেন। তার হার্টে সমস্যা তৈরি হয়েছে, তার কিডনি ও লিভারে সমস্যা তৈরি হয়েছে এবং তার একটা পুরোনো অসুখ যেটা তাকে অত্যন্ত কষ্ট দেয়- আর্থরাইটিসও রয়েছে। এই সবগুলো মিলিয়ে উনি অত্যন্ত অসুস্থ আছেন। ডাক্তাররা বলছেন, তিনি অত্যন্ত ভালনারেবল আছেন।

মির্জা ফখরুল বলেন, আপনারা জানেন যে, ওনার পরিবার আবেদন করেছেন সরকারের কাছে, তাকে বিদেশে চিকিৎসার সুযোগ দেয়া হোক। সরকার রাজনৈতিক প্রতিহিংসার কারণে তাকে সেই সুযোগ থেকে বঞ্চিত করেছে। তাকে সেই সুযোগ দেয়নি। সরকারকে আহ্বান জানাব, রাজনৈতিক প্রতিহিংসা বাদ দিয়ে নেত্রীর সুচিকিৎসার ব্যবস্থা করা হোক, তাকে মুক্তি দেয়া হোক।

এ সময় দেশবাসীর কাছে খালেদা জিয়ার আশু আরোগ্য কামনায় দোয়া চেয়েছেন বিএনপি মহাসচিব।

পোস্ট কোভিড জটিলতায় আক্রান্ত হয়ে গত ২৭ এপ্রিল বেগম খালেদা জিয়া বসুন্ধরায় এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি হন। হৃদ্‌রোগ বিশেষজ্ঞ শাহাবুদ্দিন তালুকদারের নেতৃত্বে ১০ সদস্যের মেডিকেল বোর্ডের তত্ত্বাবধানে তিনি চিকিৎসা নিচ্ছেন।

এই হাসপাতালে ভর্তির ৬ দিন পরে (৩ মে) শ্বাসকষ্ট অনুভব করলে তাকে সিসিইউতে থাকতে হয় এক মাস। পরে অবস্থার উন্নতি হলে গত ৩ জুন বিশেষ কেবিন ফিরিয়ে আনা হয় তাকে। গত ১০ এপ্রিল গুলশানের বাসা ফিরোজায় করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হন। করোনামুক্ত হন ৯ মে।

More News...

বিএনপি বাঙালি সংস্কৃতিকে সহ্য করতে পারে না: কাদের

ওবায়দুল কাদেরের বক্তব্য উদ্দেশ্যমূলক : রিজভী