টিআর-কাবিখা প্রকল্পে নয়-ছয়! রায়গঞ্জে ১০৬ প্রকল্প বাস্তবায়নে অনিয়ম ।

টিআর-কাবিখা প্রকল্পে নয়-ছয়! রায়গঞ্জে ১০৬ প্রকল্প বাস্তবায়নে অনিয়ম ।
সেলিম রেজা, সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি : সিরাজগঞ্জের রায়গঞ্জে টিআর কাবিখার অধিনে গ্রামীন জনপদে ১০৬ প্রকল্প বাস্তবায়নে ব্যাপক অনিয়ম দূর্নিতীর অভিযোগ উঠেছে। ২০২০-২১ অর্থ-বছরে এ উপজেলার রান্তাঘাট ও অবকাঠামো রক্ষনাবেক্ষণও সংস্কারের কাজে জন্য ৩য় পর্যায়ে টিআর-কাবিখা ও সাধারন কাবিটা এমপি কোঠায় বরাদ্দকৃত এসব প্রকল্পে পিআইও মোঃ গোলাম রব্বানীর যোগসাজসেঁ নানা অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে ইউপি চেয়ারম্যন-মেম্বার ও সরকার দলীয় নেতা-কর্মীদের বিরুদ্দে।
উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তার কার্যালয় সুত্রে জানা যায়,রায়গঞ্জ উপজেলার ৯ টি ইউনিয়ন ও একটি পৌর-সভায় টিআর সাধারন কোঠায় ৬২ প্রকল্পের বিপরীতে ৩৭ লাক্ষ৩৯ হাজার ও ৬৯টি প্রকল্পের জন্য ৫৭ লাক্ষ৭৩ হাজার এবং কাবিখা এমপি কোঠায় ২১টি প্রকল্পের জন্য ৫৯ লাক্ষ ২৯ হাজার টাকা বরাদ্ধ দেওয়া হয়।
এসব প্রকল্প বাস্তবায়নে যথাযত তদারকি না থাকায় বেশীর ভাগ কাজেই অনিয়ম-দূর্নিতীর অভিযোগ উঠেছে বরাদ্দের অর্থ উত্তোলন করে তা নয় ছয় হয়েছে বলে জানান স্থানীয়রা,
সরেজমিনে গিয়ে জানাযায় ,উপজেলার নলকা উনিয়িনের দত্তকুশা কালীপুর এবতেদায়ী মাদ্রাসা হতে প্রাথমিক বিদ্যালয় পর্যন্ত রাস্তা মেরামত ও সিসি করনের কাজের বিপরীতে কাবিখা সাধারন কর্মসুচীর আওতায় ৫লাক্ষ ৮০ হাজার টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়।বাস্তবে সেখানে সেরকম কাজ হয়নি। এলাকা বাসীরা ও জানেনা এখানে উনন্নয়ন কাজের জন্য অর্থ বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে,
এ ব্যাপারে এলাকার বাসিন্দা আশরাফ হোসেন ,ইদ্রীস আলী জানান, কি কাজ কোথায় হচ্ছে কত বরাদ্দ এর কিছুই জানি না, প্রকল্পের কোন বোর্ড টানানো হয় নি, এ কারনেই জনগনকে অবহতি না করে,কৌশলে দুর্নীতি করা হচ্ছে। আমরা চাই সঠিক তদারকি করে প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হোক।
তবে এই প্রকল্প সভাপতি ও চেয়ারম্যন আব্দুল জব্বার বলেন,প্রকল্পে যাই লেখা থাক না কেন? পিআইও নির্দেশে পাকা রাস্তা হতে শুধু ৪২ মিটার রাস্তা সিসির করা হয়েছে। নিনি আরো জানান,অফিস খরচ,আওয়ামীলীগ নেতা ও সাংবাদিকদের খরচ প্রকল্পের অর্থ থেকেই দিতে হয়। তাই সঠিক ভাবে কাজ করা যায়না ,নয়-ছয় তো করতেই হবে।
এ দিকে ধানগড়া ইউনিয়নের জয়ানপুর পুর্বপাড়া ফরজের বাড়ী হতে আব্দুল বাতেন কুড়ানের বাড়ী পর্যন্ত পাকা রাস্তা পুনঃ নির্মানের টিআর কাবিখা সাধারন কোঠায় ১লাক্ষ ৫০ হাজার টাকার বরাদ্দ দেওয়া হয়।এখানেও কোন রকম মাটির কাজ হয়নি বলে জানিয়েছেন এলাকা বাসী । স্থানীরা জয়নাল আবেদীন জানান,রাস্তার কাজ দাবী করে কোন লাভ হয়না। তাই এলাকা বাসীরা নিজেদের উদ্ব্যগে রাস্তাটি মেরামত করেছে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে প্রকল্প সভাপতি ইউপি সদস্য আব্দুস সালাম জানান,প্রকল্পের বিষয়ে আমার কোন কিছুই জানা নাই। এবিষয়ে চেয়ারম্যান ওবাইদুল ইসলাম জানান,স্থানীরা নীজ উদ্যেগে রাস্তাটি মেরামত করেছে এটা ঠিক। তবে তাদেরকে ৫ হাজার টাকা দেওয়া হয়েছে।
অপরদিকে এমপি কোঠায় বরাদ্দকৃত কাবিটা প্রকল্পে নলকা ইউনিয়নের পশ্চিম মথুরাপুর রশিদের বাড়ী হতে বাহেরের বাড়ী পর্যন্ত ৩ লাক্ষ ২৪ হাজার ৭শত টাকা এবং পুর্বমথুরা পুর দেলবারের বাড়ী হতে আজিজের বাড়ী পর্যন্ত রাস্তা সংস্কারের জন্য ৩ লাক্ষ টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়। কিন্তু এই প্রকল্প ২ টির কোন কাজ না করেই পুরো টাকা ভাগ করে নিয়েছেন নলকা ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সাবেক  সভাপতি ও সাধারন সম্পাদক,
তবে সাবেক চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন আওয়ামীগের সাবেক সভাপতি আবু বক্কার সিদ্দিক জানান কিছু কাজ করা হযেছে। বাকি কাজ করা হবে। যেহেতু ৩০ জুন পর্যন্ত সময় আছে।

More News...

রোববার থেকে চালের বস্তায় তথ্য দেওয়া বাধ্যতামূলক

বিএনপি বাঙালি সংস্কৃতিকে সহ্য করতে পারে না: কাদের