পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায়ের সঙ্গে দু’দিন আগেই দেখা করেন কৃষক নেতা রাকেশ টিকায়েত। তারপরই শুক্রবার ৪০টি কৃষক সংগঠনের যৌথমঞ্চ ‘সংযুক্ত কিষান মোর্চা’ জানিয়েছে, আগামী ২৬ জুন দেশজুড়ে রাজভবন ঘেরাও করবেন তারা।
এরপরই মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘কৃষকদের দাবিপূর্ণ না হওয়া পর্যন্ত এই আন্দোলনের পাশে থাকব। মোদি সরকারকে হটানোই এখন লক্ষ্য। এজন্য বিরোধী শাসিত রাজ্যগুলোর মুখ্যমন্ত্রীদের সঙ্গে কথা বলব। জোট বেঁধে কি করা যায় তা নিয়ে আলোচনা করতে হবে।’
বিক্ষোভ চলাকালীন রাজ্যপালদের কালো পতাকা দেখিয়ে কেন্দ্রের বিতর্কিত কৃষি আইনের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানাবেন কৃষকরা। তারপর রাজ্যপালের মাধ্যমে রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দের কাছে স্মারকপত্র পাঠানো হবে।
কৃষক নেতা ইন্দ্রজিৎ সিং বলেছেন, ২৬ জুন ‘লোকতন্ত্র বাঁচাও দিবস’ হিসেবে পালন করবেন তারা। তিনি বলেন, ২৬ জুন কৃষক আন্দোলনের ৭ মাস পূর্ণ হবে। ১৯৭৫ সালের ওই দিনই দেশজুড়ে জরুরি অবস্থা জারি করা হয়েছিল। কিন্তু এখন দেশে অঘোষিত জরুরি অবস্থা চলছে।
এর আগে ভারতের প্রজাতন্ত্র দিবসে রাজধানী দিল্লিতে কৃষক আন্দোলনে টিয়ার গ্যাস এবং লাঠি-চার্জ করে পুলিশ।
সে সময় ট্রাক্টর নিয়ে বিক্ষোভে অংশ নেন কৃষকরা। ওই কর্মসূচির আগে দিল্লির সিংঘু সীমানায় পুলিশের ব্যারিকেড ভাঙার অভিযোগ ওঠে বিক্ষোভরত কৃষকদের বিরুদ্ধে।