শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলছে না ১৩ জুন

শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলছে না ১৩ জুন

নিজস্ব প্রতিবেদক : আগামী ১৩ জুন থেকে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলার ঘোষণা দিয়েছিলেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি। পাঠ কার্যক্রম সাজাতে সেভাবেই কাজ শুরু করেছিলো মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর ও প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর। তবে ১৬ জুন পর্যন্ত সরকার কঠোর বিধিনিষেধ আরোপ করায় ১৩ জুন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলছে না।

শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী এবিষয়ে বলেন, যেহেতু বিধিনিষেধ বেড়েছে, তাই ঘোষিত সময়ে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলা সম্ভব নয়। পরবর্তী সময়ে আলোচনা করে সময় জানানো হবে।

এদিকে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলবে কি না বা খোলা কতটা যৌক্তিক হবে, সে বিষয়ে ইতোমধ্যে নানা গুঞ্জন চলছিলো। এর আগে গত সপ্তাহে জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন সাংবাদিকদের জানিয়েছেন, করোনা নিয়ন্ত্রণে না আসা পর্যন্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলবে না।

এ বিষয়ে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতরের মহাপরিচালক আলমগীর মুহম্মদ মনসুরুল আলম বলেন, সরকারের ঘোষিত তারিখে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দিতে সব ধরনের প্রস্তুতি আছে। প্রস্তুতি হিসেবে স্কুল পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন করা হচ্ছে। তবে সবকিছু নির্ভর করছে পরিস্থিতির ওপর।

করোনা সংক্রমণের কারণে এক বছরের বেশি সময় ধরে দেশের সব ধরনের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রয়েছে। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেওয়ার দাবিতে দেশের বিভিন্ন জায়গায় মানববন্ধনসহ নানা কর্মসূচি পালিত হচ্ছে। এর আগে শিক্ষামন্ত্রী জানিয়েছিলেন, শিক্ষার্থীদের টিকা দেয়ার পরেই বিশ্ববিদ্যালয় খোলা হবে।

তবে সংশ্লিষ্টরা জানান, বেশ কিছুদিন ধরে দেশে করোনা সংক্রমণ ঊর্ধ্বমুখী এবং মৃত্যু বাড়ছে। ভারতের সীমান্তবর্তী জেলাগুলোতে করোনার ভারতীয় ধরন ছড়িয়ে পড়া নিয়ে নতুন করে উদ্বেগ দেখা দিয়েছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে না আসায় মানুষের চলাচল ও সার্বিক কার্যক্রমে চলমান বিধিনিষেধ ১৬ জুন পর্যন্ত বাড়িয়েছে সরকার।

উল্লেখ্য, করোনাভাইরাসের কারণে গত বছরের ১৭ মার্চ থেকে দেশের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ। এরপর দফায় দফায় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ছুটি বাড়ানো হয়েছে। দীর্ঘ ছুটির কারণে প্রাথমিক থেকে উচ্চশিক্ষা পর্যন্ত প্রায় ৪ কোটি শিক্ষার্থী মারাত্মক সমস্যায় পড়েছে। ক্লাস-পরীক্ষা বন্ধ থাকায় শিক্ষার্থীদের অনেকে ঘাটতি নিয়ে ওপরের ক্লাসে উঠছে। কতটুকু শিখল, সেটাও যাচাই করা যাচ্ছে না।

সম্প্রতি একটি বেসরকারি গবেষণায় দেখা গেছে, করোনাভাইরাসের কারণে বন্ধ প্রাথমিকের ১৯ শতাংশ এবং মাধ্যমিকের ২৫ শতাংশ শিক্ষার্থী শিখতে না পারার বা শিখণ ঘাটতির ঝুঁকিতে আছে। এমন অবস্থায় শিক্ষার এই ক্ষতি পুষিয়ে নিতে দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনার তাগিদ দিচ্ছেন শিক্ষাবিদেরা।

More News...

পেঁয়াজ কেজিতে দাম কমেছে ২০ টাকা

বাজার নিয়ন্ত্রণে আমদানি করা হবে ৮৩ হাজার টন চাল