শিক্ষায় কর প্রত্যাহারে আল্টিমেটাম

শিক্ষায় কর প্রত্যাহারে আল্টিমেটাম

নিজস্ব প্রতিবেদক : আগামী ১০ জুনের মধ্যে বাজেটে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের ওপর কর প্রস্তাব প্রত্যাহারের দাবিতে আল্টিমেটাম দিয়েছে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা।

হুঁশিয়ারি দিয়ে তারা বলেছেন, প্রস্তাবিত বাজেটে ১৫ শতাংশ করারোপের প্রস্তাব প্রত্যাহার না করা হলে কঠোর আন্দোলন গড়ে তোলা হবে।

শুক্রবার দুপুরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মধুর ক্যানটিনে ‘নো ভ্যাট অন এডুকেশন’ ব্যানারে সংবাদ সম্মেলন করেন কয়েকটি প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। এ সময় তারা ছয় দফা দাবি তুলে ধরেন।

বৃহস্পতিবার সংসদে ২০২১-২২ অর্থবছরের বাজেট প্রস্তাব উপস্থাপন করেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল। এতে বেসরকারি কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ের আয়ের ওপর ১৫ শতাংশ করারোপের প্রস্তাব করা হয়।

লিখিত বক্তব্যে ইউরোপিয়ান বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী মুক্ত রেজোয়ান বলেন, আগামী ১০ জুন পর্যন্ত এ ভ্যাট প্রত্যাহার করে নিতে সরকারকে আমরা সময় দিচ্ছি। বেঁধে দেওয়া সময়ের মধ্যে দাবি না মেনে নিলে আমরা কঠোর আন্দোলনে যেতে বাধ্য হবো।

তিনি বলেন, বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় আইন-২০১০ এ স্পষ্টভাবে উল্লেখ আছে, বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়সমূহ সম্পূর্ণ অলাভজনক প্রতিষ্ঠান হিসেবে পরিচালিত হবে। যদি তাই হয়, তবে কী করে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর মালিকপক্ষ মুনাফা অর্জন করে।

এই শিক্ষার্থী বলেন, ২০১০ সালের আইন অনুযায়ী বলা যায়- বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর মালিকপক্ষ যে মুনাফা অর্জন করছে, তা সম্পূর্ণরূপে অবৈধ। গতকালের প্রস্তাবিত ১৫ শতাংশ করের মাধ্যমে সরকার ওই অবৈধ মুনাফা অর্জনের সুযোগ করে দিচ্ছে এবং অবৈধ মুনাফাকে বৈধ করার চেষ্টা করছে।

তিনি বলেন, আমরা এই সংবাদ সম্মেলন থেকে স্পষ্টভাবে বলতে চাই- করারোপের যে প্রস্তাবনা হয়েছে, তা শিক্ষার্থীদের ওপর বর্তালে কোনোভাবেই ছাত্রসমাজ মেনে না।

মুক্ত রেজোয়ান আরও বলেন, আমরা দেখতে পাচ্ছি- শিক্ষাখাতে প্রস্তাবিত বাজেট বিগত বাজেটের মোট জিডিপির তুলনায় ০.০৩৬ শতাংশ কমেছে। এই বাজেট কোনোভাবেই শিক্ষাবান্ধব বাজেট হতে পারে না। আমরা শিক্ষাখাতে মোট জিডিপির আট ভাগ দাবি করছি।

সংবাদ সম্মেলনে শিক্ষার্থীরা ছয়টি দাবি উত্থাপন করেন। দাবিগুলো হলো- বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের ওপর প্রস্তাবিত ১৫ শতাংশ কর বাতিল করতে হবে, বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের আয়-ব্যয় হিসাব ইউজিসিকে খতিয়ে দেখতে হবে, দেশের আর্থ-সামাজিক অবস্থা বিবেচনায় সব বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে অভিন্ন টিউশন ফি নীতিমালা প্রণয়ন করতে হবে, সব বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় অভিন্ন গ্রেডিং পদ্ধতি চালু করতে হবে, গবেষণা খাতে বরাদ্দ বাড়াতে হবে এবং করোনার সময়ে সব বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের শিক্ষাজীবন নিশ্চিতে প্রণোদনা প্রদান করতে হবে।

সংবাদ সম্মেলনে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, স্ট্যামফোর্ড ইউনিভার্সিটির শিক্ষার্থী শাওন বিশ্বাস, ইস্টার্ন ইউনিভার্সিটির শিক্ষার্থী শাহারিয়ার অপূর্ব, সাউথ এশিয়া ইউনিভার্সিটির শিক্ষার্থী শাজাহান শান্ত, ওয়ার্ল্ড ইউনিভার্সিটির শিক্ষার্থী রাকিবুল হাসান সুজন, আশা ইউনিভার্সিটির শিক্ষার্থী মো. আমান, গ্রিন ইউনিভার্সিটি শিক্ষার্থী প্রীতম ফকির প্রমুখ।

More News...

বিড়ির মূল্য এবং শুল্ক বৃদ্ধি প্রস্তাবের প্রতিবাদে জাতীয় প্রেসক্লাবে বিড়ি শ্রমিকদের মানববন্ধন

‘যৌন নিপীড়ক’ শিক্ষকের বিচার চান ঢাবি শিক্ষার্থীরা