রপ্তানি বেড়েছে ১১২ শতাংশ, তবু অর্জিত হচ্ছে না লক্ষ্যমাত্রা

রপ্তানি বেড়েছে ১১২ শতাংশ, তবু অর্জিত হচ্ছে না লক্ষ্যমাত্রা

নিজস্ব প্রতিবেদক : গত এপ্রিলের মতো রপ্তানি আয়ে বড় ধরনের উল্লম্ফন হয়েছে সমাপ্ত মে মাসেও। এ মাসে রপ্তানি বেড়েছে ১১২ শতাংশ। মহামারি করনোর কবলে গতবছরের মে মাসে রপ্তানি আয় কমে যায় ব্যাপক। ওই সময়ে রপ্তানি কম ছিল আগের বছরের একই মাসের তুলনায় ৬২ শতাংশ। এই দুর্বল ভিত্তির কারণে সমাপ্ত মে মাসে রপ্তানি এত বেশি হয়েছে।

প্রকৃতপক্ষে এতটা রপ্তানি স্বাভাবিক চিত্র নয়। ঠিক একই কারণে গত এপ্রিলে রপ্তানি বেশি হয়েছে ৫০৩ শতাংশ। টানা গত দুই মাস অস্বাভিক হারে রপ্তানি বাড়ার ফলে চলতি অর্থবছরের জুলাই থেকে মে পর্যন্ত গত ১১ মাসের সার্বিক রপ্তানি আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় বেশি হয়েছে প্রায় ১৪ শতাংশ।

রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) হালনাগাদ তথ্য অনুযায়ী, একক মাসে রপ্তানি হয়েছে ৩১১ কোটি ৮০ লাখ ডলারের পণ্য। গত বছরের মে মাসের রপ্তানি আয় ছিল ১৪৭ কোটি ডলার। সবমিলে গত ১১ মাসের সার্বিক রপ্তানি আয় দাঁড়িয়েছে তিন হাজার ৫১৮ কোটি ডলার। অর্থাৎ চলতি অর্থবছরের রপ্তানি লক্ষ্যমাত্রা অর্জন করতে হলে বছরের বাকি মাস চলতি জুনে আরও ৫৮২ কোটি ডলার রপ্তানি আয় করতে হবে। সেটা প্রায় অসম্ভব।

প্রবণতা অনুযায়ী প্রতি মাসে গড়ে ৩০০ কোটি ডলারের মতো পণ্য রপ্তানি হয়ে থাকে। অর্থাৎ চলতি অর্থবছরেও রপ্তানি লক্ষ্যমাত্রা অর্জিত হচ্ছে না। এ বছর চার হাজার ১০০ কোটি ডলারের রপ্তানি লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়।

ইপিবির তথ্য অনুযায়ী, প্রধান পণ্য তৈরি পোশাকের রপ্তানি বেড়েছে ১১ শতাংশ। ২ হাজার ৮৫৬ কোটি ডলারের পোশাক রপ্তানি হয়েছে এ সময়। করোনায় বিশ্ববাজারে নিট পণ্যের চাহিদা বৃদ্ধি পাওয়ায় পোশাকের এই ক্যাটাগরির রপ্তানি বেড়েছে ২০ শতাংশ। ওভেনের বেড়েছে ২ শতাংশের মতো। তৈরি পোশাকের পাশাপাশি আলোচ্য ১১ মাসে পাট ও পাটজাত পণ্য, হিমায়িত খাদ্য, চামড়া ও চামড়াজাত পণ্য, কৃষি প্রক্রিয়াজাত পণ্য, চামড়া ও চামড়া পণ্য এবং ওষুধের রপ্তানিও বেড়েছে।

More News...

ওবায়দুল কাদেরের মস্তিষ্ক অলস-হৃদয় দুর্বল : রিজভী

ট্রেনে ঢাকায় ফিরছেন অনেকে, স্টেশনে ভিড়