ফ্যাক্টচেক: ইসরায়েল ইস্যুতে অ্যাটেনবরোর নামে প্রচারিত মন্তব্যটি ভুয়া

ফ্যাক্টচেক: ইসরায়েল ইস্যুতে অ্যাটেনবরোর নামে প্রচারিত মন্তব্যটি ভুয়া

ব্রিটেনের কিংবদন্তি ব্রডকাস্টার এবং প্রকৃতিবিদ স্যার ডেভিড অ্যাটেনবরোর নামে অনলাইনে একটি মন্তব্য প্রচার করছে বিভিন্ন গণমাধ্যম। বাংলাদেশসহ বিভিন্ন দেশে বহু বছর ধরে প্রচার হয়ে আসা এই মন্তব্য তার নয় বলে জানিয়েছে এএফপি ফ্যাক্টচেক।

ফেইসবুক, ইনস্টাগ্রামে মে মাসে নতুন করে ছড়িয়ে পড়া পোস্টে দাবি করা হয়, ইসরায়েল এবং হামাস ইস্যুতে তিনি ইসরায়েলি বাহিনীর সমালোচনা করেছেন। এই মন্তব্য ২০১৪ সালে বাংলাদেশের ইংরেজি দৈনিক দ্য ডেইলি স্টারের চিন্তিত (Chintito) বিভাগের ‘Humans vs the State’ শিরোনামের একটি লেখায়ও ব্যবহার করা হয়।

এএফপি বলছে ডেইলিস্টার ‘ভুলক্রমে’ ‘বিভ্রান্তিকরভাবে’ কোটটি ব্যবহার করেছে। একই বছর আরব নিউজের একটি লেখায়ও কোটটি ব্যবহার করা হয়।

‘ফিলিস্তিনে গণহত্যা থামাও’ শিরোনামের ওই পোস্টে অ্যাটেনবরোকে কোট করে বলা হয়, ‘আমি জানি না ইসরায়েলের মতো এত হিংস্র কোনো প্রাণী আছে কি না-এমনকি কুমিরও নয়।’

ওই পোস্টে ইসরায়েলি বাহিনীর বোমার আঘাতে ধ্বংস হওয়া বিভিন্ন স্থাপনার কথা তুলে ধরা হয়।

বর্তমানে টেলিভিশন সিরিজের বিষয় হিসেবে প্রাকৃতিক ইতিহাসের যে জনপ্রিয়তা, তা আজকের অবস্থায় নিয়ে আসতে স্যার ডেভিড অ্যাটেনবরো নিরলস কাজ করে গেছেন। ডেভিড অ্যাটেনবরো ১৯৭৯ সালে অভূতপূর্ব ক্যামেরা কৌশল আর অভিনব ছবির মাধ্যমে প্রাণিজগতের অকৃত্রিম বিবরণ সমৃদ্ধ প্রামাণ্যচিত্র ‘লাইফ অন আর্থ’ নির্মাণ করেন। বলা হয় সে সময় প্রায় ৫০ কোটি মানুষ প্রামাণ্যচিত্রটি সরাসরি উপভোগ করেন। প্রাণীদের সঙ্গে তার আচরণ দেখে ‘একে-অপরে বন্ধু’ মনে হতো!

ইসরায়েল ইস্যুর ওই পোস্টের বিষয়ে বিবিসি অ্যাটেনবরোর সঙ্গে যোগাযোগ করে। বিবিসির একজন মুখপাত্র পরে এএফপিকে বলেছেন, ‘এটি আসলে মিথ্যা। তিনি ওই কথা বলেননি।’

যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক ফ্যাক্টচেকিং প্রতিষ্ঠান স্নোপেস বলছে, এটি ২০১৪ সালে প্রথম ছড়ায় ইরানি আউটলেট প্রেস টিভি। পরে তারা আর্টিকেলটি ডিলিট করে দিলেও বিভিন্ন দেশের গণমাধ্যমে এখনো ব্যবহার করা হচ্ছে।

More News...

সাইবার নিরাপত্তা বিল পাস, থাকছে বিনা পরোয়ানায় গ্রেপ্তারের বিধান

বাংলাদেশে সুবিধার চেয়ে ঝুঁকি বেশি