প্রধানমন্ত্রীর আশ্রয়ণ প্রকল্পের ঘর পেল মোহনগঞ্জের ৭৫ পরিবার

প্রধানমন্ত্রীর আশ্রয়ণ প্রকল্পের ঘর পেল মোহনগঞ্জের ৭৫ পরিবার

জাহাঙ্গীর আলম, নেত্রকোণা প্রতিনিধি : প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আশ্রয়ণ-২ প্রকল্পের আওতায় নেত্রকোণার মোহনগঞ্জ উপজেলায় ৭৫টি গৃহহীন পরিবারের মধ্যে ঘর নির্মাণ কাজ চলছে। এদিকে ঘর বরাদ্দ পেয়ে বেশ আনন্দেই দিন কাটছে হাওরা লের সহায় সম্বলহীন দরিদ্র মানুষের। অন্যের বাড়িতে জন্ম নিয়ে অন্যের বাড়িতেই বেড়ে উঠা মানুষগুলো স্বপ্ন দেখতে শুরু করেছেন একটু সুন্দর ভাবে বেঁচে থাকার।
জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষ্যে হাওর বাওর অধ্যুষিত মোহনগঞ্জ উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নে আশ্রয়ণ-২ প্রকল্প এর আওতায় বরাদ্দকৃতদের মাঝে প্রধানমন্ত্রীর উপহার ঘর বুঝিয়ে দিতে কাজ করে যাচ্ছে উপজেলা প্রশাসন। গৃহহীন, ছিন্নমূল, অসহায় দরিদ্র জনগোষ্ঠীর পুনর্বাসন, ঋণপ্রদান ও প্রশিক্ষণের মাধ্যমে জীবিকা নির্বাহে সক্ষম করে তোলা এবং আয় বাড়ে এমন কার্যক্রম সৃষ্টির মাধ্যমে দারিদ্র্য দূরীকরণ এসব উদ্দেশ্যকে সামনে রেখে প্রতিটি পরিবারকে একটি সেমিপাকা ঘর নির্মাণ করে দেওয়া হচ্ছে। প্রতিটি ঘর নির্মাণে ব্যয় ধরা হয়েছে এক লাখ ৭১ হাজার টাকা। এই প্রকল্পের আওতায় ঘর প্রতি দুটি কক্ষ, একটি রান্না ঘর, টয়লেট ও সামনে খোলা বারান্দা রয়েছে। রয়েছে পয়ঃনিষ্কাশন ও বিদ্যুতের ব্যবস্থাও। সরকারের এই প্রকল্পে একেকটি ঘর যেন একেকজন গৃহহীন মানুষের বাস্তবে পরিণত হওয়া স্বপ্ন। গৃহহীনরা পাকা দালান পাবে, এটি তারা কখনো কল্পনাও করেনি। এমতাবস্থায় ঘর পাওয়ার আনন্দে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন তারা।
উপজেলার গাগলাজুর এলাকার উপকারভোগী রাহেলা বেগম বলেন, ‘‘পরের বাড়িতে থাকতাম, নিজের বলতে কিছুই আছিন না। অহন প্রধানমন্ত্রী আমারে একটা ঘর দিছে। নিজের বলতে কিছু একটা অইছে। ভাবতেই ভালা লাগে, তাই মাননীয় প্রধানমন্ত্রীরে ধন্যবাদ”।
উপকারভোগী তাজুল ইসলাম বলেন, জীবনেও কোনদিন ভাবিনাই আমার একটা দালান ঘর অইবো। কিন্তু প্রধানমন্ত্রীর ইচ্ছায় আমার অহন একটা ঘর অইছে। চিরকৃতজ্ঞ অইয়া থাকলাম প্রধানমন্ত্রীর কাছে।
আলমগীর নামের অপর এক উপকারভোগী বলেন, আমার আগে থাকার মত কোন জায়গা আছিন না। তাই পরিবার পরিজন লইয়া ঢাকা গেছিলামগা। কিন্তু করোনার কারনে চাকরি হারাইয়া আবার গ্রামে ফেরত আসি। এই পরিস্থিতিতে মাইনষের বাড়িতে থাকতাম। সরকার আমারে একটা ঘর দিছে। এহন আমি খুব খুশি।
গৃহহীন ৭৫টি পরিবারের স্বপ্ন এবার সত্যি হওয়ার পথে। এভাবেই একে একে পূর্ণ হবে সকল গৃহহীন মানুষের স্বপ্ন, সরকারি-বেসরকারি উদ্যোগে তৈরী হবে কর্মসংস্থান, আস্তে আস্তে ঘুচে যাবে দুঃখ-দুর্দশা, এমনটাই প্রত্যাশা সর্বস্তরের জনসাধারণের।
এব্যাপারে মোহনগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ আরিফুজ্জামান বলেন, ৭৫টি ঘরের কাজই বর্তমানে শেষ পর্যায়ে। আমরা ঘরগুলোর গুণগত মান বজায় রেখে তৈরী করতে চেষ্ঠা করে যাচ্ছি। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর অঙ্গীকার বাস্তবায়নে আমরা দৃঢ় প্রতিজ্ঞ।

More News...

কুড়িগ্রামের খাবারে বেজায় খুশি ভুটানের রাজা

বিড়ি শিল্পে ট্যাক্স প্রত্যাহারসহ চার দাবিতে রংপুর শ্রমিকদের মানববন্ধন