উখিয়ায় গনজমায়েতে জুয়ার আড্ডা, স্বাস্থ্যবিধির বালাই নেই

উখিয়ায় গনজমায়েতে জুয়ার আড্ডা, স্বাস্থ্যবিধির বালাই নেই

মোঃ শহিদ,  উখিয়া : উখিয়ায় রোহিঙ্গা ক্যাম্পসহ স্থানীয় লোকালয়ে ছড়িয়ে পড়েছে প্রাণঘাতী মহামারী করোনাভাইরাস।  দিন দিন উদ্বেগজনক হারে বাড়ছে নোভেল করোনা।  এই মুহুর্তে স্বাস্থ্যবিধিকে তোয়াক্কা না করে স্কুল কলেজ ও বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায় বেকারত্ব সময়ে শিশু-কিশোর, যুবকদের চলচে স্মার্ট মোবাইলের মাধ্যামে লুডু, অনলাইন ফ্রি ফায়ার গেইম নিয়ে জুয়া বানিজ্য।

সরেজমিনে ঘুরে দেখা যায়, উখিয়া উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নের গ্রাম্য চায়ের দোকানের ভিতরে, রাস্তার মোড়ে, গোপন আস্তানায় মেতে উঠেছে গনজমায়েত আসর বসিয়ে মোবাইল গেমিং জুয়া খেলায় । স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান, মেম্বারদের বাধা-নিষেধকে উপেক্ষা করে চলছে কিশোর গ্যাংদের আড্ডা। লুডু’কে ও ফ্রি ফায়ারকে বানিয়েছে জুয়ার উপকরণ। টাকার বাজিতে খেলছে মোবাইলের পরিচিত এই গেইমটি। যুব-সমাজের বেপরোয়া বেড়ে চলছে দিন দিন। এরা জমায়েত হয়ে রিতীমতো আড্ডা দিয়ে যাচ্ছে। করোনার কঠিন সংকটময় সময়ে গ্রামিণ কেসিনো খ্যাত- জুয়া, লুডু, দাবা’র দাপট বন্ধ হয়নি। টার্চফোনেই চলছে দেদারছে লুডু খেলা ও ফ্রি ফায়ার। এ খেলায় মজে তাদের নেই করোনার ভয়। শিক্ষিত, অশিক্ষিত, অর্ধশিক্ষিত, কিশোর, যুবক সকলেই মগ্ন লুডু ও ফ্রি ফায়ার নামক এই গেইম নিয়ে ।

সচেতন মহলের মন্তব্য, বর্তমান করোনাকালীন সময়ে শিশু-কিশোরদের বাবা মায়ের কঠোর নজরদারীতে রাখা প্রয়োজন অন্যতায় বিপদ। কারণ এই যোগে সবকিছুই সহজেই হাতের মুঠোই চলে এসেছে স্মার্টফোন মুবাইলের মাধ্যমে। সেখানে চলে অনলাইন জুয়া, বিভিন্ন গেইমিং থেকে শুরু করে অনেক অপকর্ম । এসব জুয়া,গেইম, মূলত বেকারত্ব মানুষের নেশা হয়ে পড়ে কারণ মানুষর কাজকর্ম থাকলে এসব থেকে বিরত থাকা যায়। তাই সচেতন হওয়া জরুরী।

বিশেষজ্ঞের মতে, যেখানে করোনা একটি ছোঁয়াচে রোগ! হাঁচি-কাশিতে ছড়ায়। কোন কিছু স্পর্শ করাতে করোনার ভয় হয়, সেখানে টার্চ মোবাইলে আঙ্গুলের টিপ্পনীতে গেইম খেলেছি নাকি করোনাকে স্বাগত জানাচ্ছি। বিজ্ঞানীদের গবেষণায় এসেছে- কোন ধাতব পদার্থে করোনার জীবাণু নয় দিন পর্যন্ত জীবিত থাকে। আর টার্চফোন সে তো জিবাণুর উত্তম বাহক। লুডুর আড়ালে করোনার সাথে জীবন নিয়ে খেলছি না তো?

সারাদেশজুড়ে চলছে করোনার আতংক। বলা হচ্ছে হোম কোয়ারেন্টাইনে থাকতে। সঙ্গত্যাগ করে, দূরত্বের গুরুত্ব বজায় রাখতে বলেছে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক। সম্প্রতি বাংলাদেশকে ঝুঁকিপূর্ণ অভিহিত করে লকডাউন ঘোষণা করেছে। নিজে বাঁচুন, অপরকে বাঁচান, বাড়িতে থাকুন, নিরাপদে থাকুন- কিন্তু কে শুনে কার কথা। দিন যাচ্ছে গতর হয়ে নভেল করোনা ভাইরাসে বাড়ছে নতুন আক্রান্তের সংখ্যা, থেমে নেই মৃত্যুর মিছিল। নিতান্ত বাধ্য হয়ে ঘরে থাকা মানুষগুলো এ কঠিন সময়ে দমেনি একটুও। থেমে যায়নি তাদের অপকর্ম।

এদিকে উখিয়া উপজেলা প্রশাসন থেকেও কঠোর নির্দেশনা দিয়েছেন ইউএনও নিজাম উদ্দিন আহমেদ। পাঠকের জন্য হুবহু তুলে ধরা হলো।

সম্মানিত উখিয়া উপজেলাবাসী,

রোহিঙ্গা ক্যাম্পে করোনাভাইরাস সংক্রমণ আশংকাজনকভাবে বৃদ্ধি পাচ্ছে। ইতিমধ্যে কয়েকটি ক্যাম্প লকডাউনের আওতায় আনা হয়েছে। স্থানীয় জনগোষ্ঠীর মাঝেও সংক্রমনের উর্ধ্বগতি লক্ষনীয়।
দয়া করে বিভিন্ন যানবাহন ও বাজারসহ সকল ধরনের হোটেল, দোকানপাটে শ্রমিক-কর্মচারী হিসেবে রোহিঙ্গাদের কাজে নিয়োজিত করা থেকে বিরত থাকুন।
নিজেদের সুরক্ষার জন্যই এই পদক্ষেপ নেয়া জরুরী। উপজেলা প্রশাসনকে সহযোগিতা করার জন্য সকলকে অনুরোধ করা হলো।

More News...

রোববার থেকে চালের বস্তায় তথ্য দেওয়া বাধ্যতামূলক

বিএনপি বাঙালি সংস্কৃতিকে সহ্য করতে পারে না: কাদের