রকমারি মাস্কে অতিমারির বিপদ

রকমারি মাস্কে অতিমারির বিপদ

নিউজ ডেস্ক : করোনায় বিশ্বজুড়ে মৃত্যুর সংখ্যা ৩৪ লাখ ছাড়ালো। জরুরি ব্যবহারের আনুমোদন পাওয়া ভ্যাকসিনগুলো কতটুকু কার্যকরী তা এখনো নিশ্চিত হওয়া যাচ্ছে না।

এ অবস্থায় সামাজিক দূরত্ব আর মাস্ক ব্যবহারের বিকল্প এখনো অজানা। বিশেষ করে মাস্ক ব্যবহারের বাধ্যবাধকতা নিয়ে বিশেষজ্ঞরা সবাই একমত। কিন্তু এই ক্ষেত্রে প্রশ্ন হচ্ছে কোন মাস্ক ব্যবহার করবেন?

মুখে মাস্ক লাগিয়ে লোকজন নিশ্চিন্তে ঘুরে বেড়াচ্ছেন। রাস্তার মোড়ে মোড়ে, গলির দোকানে বিক্রি হচ্ছে রকমারি মাস্ক। কারও পছন্দ কাপড়ের মাস্ক কারও আবার সার্জিক্যাল বা মেডিক্যাল গ্রেড মাস্কেই আস্থা বেশি। কিন্তু মেডিক্যাল গ্রেড পরলেই কি করোনা থেকে বেঁচে থাকা সম্ভব?

সাম্প্রতিক গবেষণা বলছে, করোনা থেকে বাঁচতে সাধারণ মেডিক্যাল গ্রেড মাস্ক মোটেই যথেষ্ট নয়। একমাত্র তিনস্তর বিশিষ্ট মেডিক্যাল গ্রেড মাস্কই করোনা থেকে সর্বোচ্চ সুরক্ষা দিতে পারে। এ কথা প্রযোজ্য কাপড়ের মাস্কের ক্ষেত্রেও। পথে-ঘাটে, ফুটপাতে যেসব কাপড়ের মাস্ক পাওয়া যায়, সেগুলোও নিশ্চিন্ত রক্ষাকবচ নয় বলে গবেষকদের অভিমত।

তিনস্তরের মাস্ক ছাড়া রক্ষাকবচ যে জোরালো হবে না, তা অবশ্য শুরু থেকেই বলে আসছেন চিকিৎসক ও জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা। তবে ক্যালিফর্নিয়া বিশ্ববিদ্যালয়, সান দিয়েগোর তিনজন গবেষক, তিনস্তরের মাস্কের কার্যকারিতা গবেষণাগারে হাতেকলমে প্রমাণ করে দেখালেন।

‘সায়েন্স অ্যাডভান্সেস’ নামে একটি আমেরিকান বিজ্ঞান বিষয়ক জার্নালে প্রকাশিত গবেষণাপত্রে গবেষকদের দাবি, মুখে কোনও মাস্ক না থাকলে কাশি বা হাঁচির মাধ্যমে যে ড্রপলেট বের হয়, তারমধ্যে অনেক কণাই আকারে বড়, ফলে সঙ্গে সঙ্গেই সেগুলো মাটিতে পড়ে যায়। কিন্তু এক বা দুই স্তরের মাস্ক পরে কাশি বা হাঁচি দিলে মাস্কে তা আটকায় না। বরং যেসব কণা মাস্ক ভেদ করে বেরিয়ে আসে, সেগুলো ভেঙে আরও ছোট হয়ে যায়। এই ছোট কণা (এরোসল) হালকা হওয়ায় মাটিতে না পড়ে বাতাসে ভেসে থাকে অনেকক্ষণ। ফলে অন্য কারও শরীরে সেগুলোর সংস্পর্সে আসারও আশঙ্কা অনেক বেশি।

মাস্ক তিনস্তরের হতেই হবে, তা যে কাপড়েরই তৈরি হোক না কেন। শুধু তিন স্তরের মাস্কই প্রায় সমস্ত ড্রপলেট আটকাতে সক্ষম। একমাত্র তিনস্তরের মাস্কই প্রায় সম্পূর্ণ রূপে মুখনিঃসৃত কণার বাইরে আসা আটকাতে পারে। সব মেডিক্যাল গ্রেড মাস্ক কিন্তু তিনস্তরের হয় না। এক বা দুই স্তরের হলে সার্জিক্যাল মাস্কও নিরাপদ নয়। কোভিড পরিস্থিতিতে মাস্কের চাহিদা বেড়ে যাওয়ায় ব্যবসাও বেড়েছে। তাতেই যেন তেন প্রকারে তৈরি মাস্ক দেদার বিক্রি হচ্ছে বাজারে। কাপড়ের বা মেডিক্যাল গ্রেড, যেমাস্কই কিনুন, হাতে ধরে পরীক্ষা করে নেবেন, সেটিতে তিনটি স্তর রয়েছে কি না।

তাহলে কি তিন স্তরের না হলে মাস্ক আদৌ পরাই যাবে না? এক বা দুই স্তরের মাস্ক পরে থাকলে অন্তত ৩০ শতাংশ ড্রপলেট আটকানো যায়। মাস্ক একেবারে না পরার থেকে সেটা নিশ্চয়ই ভালো।

More News...

হার্ট অকেজো হওয়ার কারণ জানলে অবাক হবেন –

চার বছরে যক্ষ্মামুক্ত ৭ হাজার রোগী