অনলাইন ডেস্ক : অক্সফোর্ড–অ্যাস্ট্রাজেনেকার করোনাভাইরাসের টিকার ১৯ হাজার ৬১০ ডোজ পুড়িয়ে ধ্বংস করেছে মালাবি। মেয়াদ পার হয়ে যাওয়ায় সেগুলো পুড়িয়ে ফেলা হয় বলে বুধবার বিবিসির এক প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে।
টিকা ধ্বংস করার পক্ষে যুক্তি হিসেবে মালাবির স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষ বলেছে, এটা জনগণকে আশ্বস্ত করবে যে তাঁরা যে টিকা পাচ্ছেন, সেটা নিরাপদ।
আফ্রিকার দেশগুলোর মধ্যে মালাবিই প্রথম প্রকাশ্যে টিকা ধ্বংস করল। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) শুরুতে মেয়াদোত্তীর্ণ টিকা ধ্বংস না করার পরামর্শ দিলেও পরে সেই অবস্থান থেকে সরে এসেছে।
মালাবিতে টিকা নেওয়ার হার কম। এই ঘটনার পর টিকার প্রতি মানুষের আস্থা বাড়বে বলে আশা করছেন দেশটির স্বাস্থ্যকর্মীরা।
১ কোটি ৮০ লাখ জনসংখ্যার মালাবিতে এখন পর্যন্ত ৩৪ হাজার ২৩২ জনের করোনাভাইরাস সংক্রমণ শনাক্ত হয়েছে। এতে মৃত্যু হয়েছে ১ হাজার ১৫৩ জনের। গত ২৬ মার্চ আফ্রিকান ইউনিয়ন থেকে অ্যাস্ট্রাজেনেকার ১ লাখ ২ হাজার ডোজ টিকা পায় মালাবি। তার প্রায় ৮০ শতাংশ টিকা দেওয়া হয়ে গেছে। এসব টিকার মেয়াদ ছিল ১৩ এপ্রিল পর্যন্ত।
মালাবির স্বাস্থ্যসচিব ডা. চার্লস এমওয়ানসাম্বো বিবিসিকে বলেন, এটা দুর্ভাগ্যজনক যে টিকাগুলো ধ্বংস করতে হলো। তবে এতে ঝুঁকি এড়ানো গেছে। তিনি বলেন, মেয়াদোত্তীর্ণ টিকা থাকার খবর প্রকাশের পরই তাঁরা লোকজনকে টিকা নিতে আসতে বারণ করে দেন।
চার্লস এমওয়ানসাম্বো বলেন, ‘আমরা যদি সেগুলো পুড়িয়ে না ফেলতাম, মানুষ ভাবতেন আমরা মেয়াদোত্তীর্ণ টিকা ব্যবহার করছি।’
বুধবার টিকাগুলো পোড়ানোর সময় কাছেই দেশটির স্বাস্থ্যমন্ত্রী খুমবিজে চিপোন্দাকে দেখা যায়।
তবে এরপরও মালাবিতে টিকা নিয়ে মানুষের মধ্যে সংশয় কাজ করছে। মালাবির রাজধানী লিলংবির রাস্তায় এমন কিছু মানুষের দেখা পেয়েছে বিবিসি।
তাঁদের মধ্যে পেশায় দোকানদার এক ব্যক্তি বলেন, ‘আমি টিকা নিতে চাই, কিন্তু আমি কীভাবে নিশ্চিত হব যে হাসপাতালে গেলে আমাকে মেয়াদোত্তীর্ণ টিকা দেওয়া হবে না?’